সাধারণ নারী
অমৃতা মন্ডল
সেই দুর্গা, সেই কালী। সেই অন্নপূর্ণা দেবী। যে রূপ তাঁর প্রয়োজন সেই রূপ ধারণ করেন। এ হচ্ছে ঘরের গৃহিনী। কারোও মা, কারোও জীবনসঙ্গিনী, কারোবা দিদি। লক্ষী হয়ে ঘর আলো করে। অন্নপূর্ণা হয়ে সকলের মুখে খাবার তুলে ধরে। সরস্বতী হয়ে বিদ্যাবুদ্ধিতে মন জয় করে। সতী হয়ে মহাদেবের পাশে থাকে। পার্বতী হয়ে সন্তানের খেয়াল রাখে। কালী হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওযাজ তোলে। দশভূজা হয়ে সকলের সেবা করে। প্রয়োজনে অসুরের বিনাশ করে। সে আমাদের মা হয়ে ঘরে থাকে। প্রয়োজনে দুর্গারূপী চিন্ময়ী মা হয়ে ওঠে।
"নারীর সম্মান, অবহেলা করে যে নারীরে তাহারেই করো পূজা। সম্মান যদি করেই থাকো, দিও তাঁরে নির্দিষ্ট জায়গা। লান্ছিত করো, অবহেলা করো, করো তার সম্মানহানী। শ্রদ্ধা যদি করে থাকো, ঘর বন্দী কেন সে নারী?"
ঘরের লক্ষী। সেও এক নারী, করো তারে অত্যাচার? সে যদি রূপ নেয় মা কালীর রক্ষে পাবেনা আর। লজ্জা, সম্মান, দয়া, মায়া নারীর প্রকৃত পরিচয়। অত্যাচারের ফলে তার সহ্যের বাঁধ যদি ভাঙো চোখের জলে চন্ডীর অবতার নিতে দেরি হবেনা আর। যে রূপেই থাকুক সে সম্মান করো তাঁকে। আর করো যদি অবহেলা রাবণরূপী হও় যদি সমাজে তুমি বার বার, পাবেনা নিস্তার। দুর্গা রূপে এক সাধারণ নারীর হাতে নিশ্চিত তোমার বিনাশ।
No comments:
Post a Comment