পাখি বিষয়ক দু'টুকরো
-তন্ময় ধর
১।
হাওয়ার গভীরে পাখির দাগ স্পষ্ট হচ্ছে
বৃত্ত আঁকতে আঁকতে তীব্র কেশে উঠছে আমাদের খিদের চামচ
রক্তের ছিটে থেকে সরে যাচ্ছে আঙুলের ভারসাম্য
আমার নখ বাড়ছে, তোমার ঠোঁটে লবণাক্ত মৌনতা
যৌনতা আসলে শুধু আঁশ
অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন থেকে কাঁটা বিঁধে যাচ্ছে আমাদের গলায়
স্থলপদ্মের রঙে আকাশ ভিজিয়ে দিচ্ছে অভিনয়
চাপা বরফের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে শূক
শূকপাখি থেকে মায়া অপসারিত করতে করতে
আমাদের উড়ান থেকে নেমে যাচ্ছে অপূর্ণ মাংসের দল
আর ধারণে অক্ষম এক জলের অতলে
ছায়া ফেলছে কালপুরুষের ধূসর আলজিভ
বৃত্ত আঁকতে আঁকতে তীব্র কেশে উঠছে আমাদের খিদের চামচ
রক্তের ছিটে থেকে সরে যাচ্ছে আঙুলের ভারসাম্য
আমার নখ বাড়ছে, তোমার ঠোঁটে লবণাক্ত মৌনতা
যৌনতা আসলে শুধু আঁশ
অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন থেকে কাঁটা বিঁধে যাচ্ছে আমাদের গলায়
স্থলপদ্মের রঙে আকাশ ভিজিয়ে দিচ্ছে অভিনয়
চাপা বরফের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে শূক
শূকপাখি থেকে মায়া অপসারিত করতে করতে
আমাদের উড়ান থেকে নেমে যাচ্ছে অপূর্ণ মাংসের দল
আর ধারণে অক্ষম এক জলের অতলে
ছায়া ফেলছে কালপুরুষের ধূসর আলজিভ
২।
ধরো, অদৃশ্য এক বর্শাফলকের শব্দ খুব আস্তে ফুটো করে দিচ্ছে পাখিজন্মের অহঙ্কার
পাখির খাবার খুঁজতে এসে শক্ত হয়ে উঠছে আলোসন্তান তুমি শস্যক্ষেত্রের ছায়া, আমি নীলকন্ঠের চোখ
আমাদের দারিদ্র্যের ভেতর সাপের চোখে নীল রঙ ছড়িয়ে দিচ্ছেন অন্ধ শিল্পী
খাঁচার ভেতরে সুন্দর করে সাজানো আমাদের প্রেম, খাদ্য ও জল
সতীর খন্ডিত শরীর থেকে কমলা রঙ নিয়ে আমাদের সুখের ওপর ফেলে দিচ্ছে অচিন পাখি
শূন্য খাঁচার ভেতর থেকে তুলাপিঞ্জি ধানের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে
হালকা হচ্ছে অভিনীত লালাগ্রন্থি
উড়তে সক্ষম হচ্ছে অভিনয়
উরুর মাংস থেকে আগুন নিয়ে যাচ্ছে এক অদৃশ্য জাদুকর
আমি শূন্যতা, তুমি দিনরাত্রিচক্র
আমাদের ক্ষতস্থান থেকে মরণাহতা রাজকন্যার রঙ নিচ্ছেন অজন্তার শিল্পী
No comments:
Post a Comment