গুচ্ছ কবিতা
খরিদ্দার কথন
চিরঞ্জীব হালদার
আলতাকে মনোহরণ ভাবিবার অনেক কারণ আছে।
দর্পণ ভাবেনি তিনিও মনের সমাহার।
উঠোনে না ফোটা বেলি
আমার থেকে সে মনকে কিঞ্চিৎ চেনে।
সুদখিনা এসো এসো
দর্পণে দেখে যাও করবী সভ্যতা।
আহো বউপাখি কতদিন দেখিনি তোমায়।
হে তন্বী ঋতম্ভরা আরো জোরে পাঁচালীর পাঠদান
মনের সমীপে।
কুসুম তোমার মন নাই
ওই দেখো উদিত কলঙ্ক চন্দ্র
গৃহী ও তাপস ।
দুজনেই পারদর্শী তোমার খেয়ালে।
ওহে মনিহারী দোকান
আমাকে একশত আলতা ও মন দিতে পারো।
৩1-3-21
প্রথা অসিদ্ধ কবিতা
চিরঞ্জীব হালদার
কেমন আছেন ফ্রিডা।
রাতের নিভৃত বাতিদান পোষা বিড়ালের মত
লোমশ লেজ দোলাতে দোলাতে এক গুচ্ছ
জাফরানি অন্ধকারের মধ্যে হাতড়ে চলেছে
তেরোই ফেব্রুয়ারী।
এসময় স্কুল ফেরত ছায়া কার সাথে জরুরি বিনিময় সেরে নেয়।
স্যাঁতস্যাতে সিঁড়ি ঘর উবু হয়ে বুঝতে চায় অরক্ষণীয়ার আবলুসি তরঙ্গ।
শীত কাপড়ের কোন আন্তরিকতা ছাড়াই কেটে যাবে
উনিশ শো ষাট।
হে গর্ভবতী জিরাফ বোবা আকাশের ভরনপোষন দিয়ে বুনে নেবেনা কারুকার্য।
কেমন আছো একথা শোনার মাত্র ফ্রিডা
তার সোহাগ কৌটোর সব পাখিদের
আয় আয় চৌ চৌ।
আর কী আশ্চর্য জানা হয়নি
আপনি আমার থেকে বসত করেন
দু'বিঘত দূর অচলায়তনী।
এমন নক্ষত্র বিভার সন্ধিক্ষণে আমাদের দেখা
হবেনা তাই কি হয়।
৩১-৩-২১
একটি নিরামিষ কবিতা
চিরঞ্জীব হালদার
বাঁদিকে গোলপার্ক ছাড়িয়ে হাঁটতে থাকুন চমৎকার পুরুষ ।
তিন'শ বছর আগের এটা কোন সারপেন্টাইন জলাধার নয়।
কোনও এলি-তেলী ষোড়শী আপনার প্রেমিকা হতে
না পেরে জলে ঝাঁপ দিলে জল পুলিশ ডাকবেন।
বাদলা পোকারা আসবে পাল্কী চেপে ।
সমবেত ড়ানা খোয়ানোর আগে পংক্তিভোজে ভিড়ে যাবে।
অভিপ্রেত বিরহের হরিণ পুরুষ।
মুগ্ধ নক্ষত্রের কাছে বিষাদের হলফনামা গচ্ছিত রেখে রচনা করো বিবাহের লঘু সঙ্গীত।
২৯-৩-২১
অতীন্দ্রিয় শবাধারে রচিত হোক তোমাদের
প্রথম মিলননিশি।
কতটা পান্ডিত্য তার পাল্কী জানেনা।
কাহারদের মখমলী স্বর সোনালী ঘাসের নিচে
শুয়ে আছে পিরামিড সম।
যবুথবু প্রান্তীয় যুবা নভর
আপনাকে
চিরঞ্জীব হালদার
কুরিডন ট্যাবলেট কেন খেতে হয়েছিল।
কুড়ি বিঘের যে বাস্তবতা তার সরল সাযুজ্য থেকে
যে বিশ্বাস তৈরি হয় তা আপনার পাঁচ-পাঁচটি বিনিদ্র রজনী।
বসন্ত ঝামরে পড়লে প্রেম আর পরিণয়ের ভেতর এক অদৃশ্য হাইপেন হয়ে ওঠে
মিথ্যে ঘটকালির এক একটি প্রক্রিয়া।
যে ছায়া দেখে
মানুষ জেনে যায় রাষ্ট্র কীভাবে চালাকি গুলোকে বিশ্বাস যোগ্য করে তোলে ।
কিভাবে এক তরুণ তার প্রাণভোমরা পান্ডুলিপিকে
বালি ব্রীজ থেকে জলের গর্ভে নির্বাসিত করায়।
দু'চারজন বন্দি জোটাতে না পারলে
কারারক্ষীর শুকতলাও হাঁচি দিতে দিতে
আত্মহত্যার ব্যাকরণ মুখস্থ করবে।
আরও সত্যি কথা হলো অতিরিক্ত রাত্রি আপনাকেই ব্যায় করতে হবে হাভাতে ঠগীদের সমাজ কল্যানে।
হাড়-মাংসের কাঠামো খুলে দাঁড়িয়ে আছে দরদীয়া
সড়ক।
তার প্রতিটি বাতিস্তম্ভ থেকে চুঁইয়ে পরা শব্দের নাম
আপনি।
২৯-৩-২১
আপনাকে
চিরঞ্জীব হালদার
কুরিডন ট্যাবলেট কেন খেতে হয়েছিল।
কুড়ি বিঘের যে বাস্তবতা তার সরল সাযুজ্য থেকে
যে বিশ্বাস তৈরি হয় তা আপনার পাঁচ-পাঁচটি বিনিদ্র রজনী।
বসন্ত ঝামরে পড়লে প্রেম আর পরিণয়ের ভেতর এক অদৃশ্য হাইপেন হয়ে ওঠে
মিথ্যে ঘটকালির এক একটি প্রক্রিয়া।
যে ছায়া দেখে
মানুষ জেনে যায় রাষ্ট্র কীভাবে চালাকি গুলোকে বিশ্বাস যোগ্য করে তোলে ।
কিভাবে এক তরুণ তার প্রাণভোমরা পান্ডুলিপিকে
বালি ব্রীজ থেকে জলের গর্ভে নির্বাসিত করায়।
দু'চারজন বন্দি জোটাতে না পারলে
কারারক্ষীর শুকতলাও হাঁচি দিতে দিতে
আত্মহত্যার ব্যাকরণ মুখস্থ করবে।
আরও অতিরিক্ত রাত্রি আপনাকেই ব্যয় করতে হবে
হাভাতে ঠগীদের সমাজ কল্যানে।
হাড়-মাংসের কাঠামো খুলে দাঁড়িয়ে আছে দরদীয়া
সড়ক।
তার প্রতিটি বাতিস্তম্ভ থেকে চুইয়ে পরা শব্দের নাম
আপনি।
২৯-৩-২১
দোকানির নাম রাধা।
মুঠো মুঠো গুলাল নয়।
জামবাটিতে যেন থরে থরে সাজানো আছে
' হিত 'প্রত্যয়।
আমার প্রেমিকার নাম ১৩ ই চৈএ
আনলাকি সান্যাল।
২৯-৩-২১
পক্ক কদলি ও দোল সমারোহ
চিরঞ্জীব হালদার
রসালো ও টলোমলো গোঁসাই।
শুরু হোক খেলা।
গাছে গাছে অর্ধপক্ক কদলির সমারোহ।
পরন্তু কিছু পক্ষিও আছে আশেপাশে।
গোঁসাই হে শুরু হোক শিমুলে পলাশে।
খঞ্জনির পিপাসা পেলে ভেজা হাত ভোজবাজি জানে।
এসো দায়বদ্ধ আনন্দবীনা।
উড়ন্ত ছায়া থেকে সংগ্ৰহ করো টোপা কুল মধু।
বেলা বহমান।
আমরাও কদলির মত অপারক রয়ে যাবো অসীম ভবনে।
শুরু হোক শিমুলে পলাশে।
না রঙের দোল সমারোহ।
২৯-৩-২০
সেতু অথবা সার্কাস
চিরঞ্জীব হালদার
যে সেতু প্রায়ই নিজেকে ভুলে যায়।
তার মগজে ভিড় করা তারাদের কাছে হাঁটু গেড়ে
প্রার্থনা করে সেই সব মহৎ মানুষের জন্য।
রাষ্ট্রনৈতিক ধ্যান ধারণা একটা অন্তর্লীন চোরাস্রোত।
তার সুলভ সঙ্গতকার ব্ল্যাক কফি আর ভিজে বিড়ির নাদান স্মোক রিং।
একজন যখন তুমুল নীল বর্ণ
অন্যজনা সূর্যমুখী ক্ষেত থেকে তুলে আনা নকশীকাঁথা।
সেই সব মহৎ মানুষেরা যাদের গোড়ালি
কয়েকশো কিলোমিটার হেঁটে আসার পর
শেষ চালে কিস্তিমাত করবেন
যার বন্ধুতালিকায় বিপরীত কালসাপের তন্বী প্রেমিকা।
ধরে নিন প্রতিরাতে বৃষ্টি মেলে দেয় নাভিগন্ধ।
সেতু ভুল করে ঢুকে পড়েবে ভবিতব্য সার্কাসের তাঁবুতে।
তখন
রিং মাস্টার বাঘের খাঁচায় আর স্মৃতি ফিরে পাওয়া
ক্ষুধার্ত পশুদের নীল জলাধারে নামার অনকন্ট্রোল তোড়জোড়।
তখন কী আর্কিমিডিসের বাড়ি খুঁজতে খুঁজতে সেতুটা আবার ঘুমিয়ে পড়বে।
বউঠাকুরানী হাটের ঘড়ি যে আমার হতে পারে
কে জানতো।
উদ্ভট কবিতার অবতারনা
চিরঞ্জীব হালদার
এক বাস্তববাদী ফাইলে
জরুরি অসত্য গুলো ভিলুকআপ মারার পর
দেখা গেল বুকের বাঁদিকে আমফানে বয়ে য়াওয়া সব ত্রাণ কর্মীরা রাতারাতি বামনে পরিণত।
সাপ্লাই চেইন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদ্যুৎ এক অশরীর আত্মা ।
তাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে হ্যাংওভার কাটাতে
আপাতকালীন দ্বীপে পাঠান হয়েছে।
তড়িঘড়ি ব্যাকআপ ফাইল কারককে ডাকতে গিয়ে দেখি
সে প্রেয়সীর ওড়না অনুসন্ধানে নিরুদ্দেশ।
তেনার আবার নীলনয়না হিসাব বেশ নামডাক ছিল।
সেখানে কয়েকটা মাছরাঙা শবের মৌরুসিপাট্টা।
এখন আমার সিস্টেমে আঁশ গন্ধ জরুরি।
ম্যারেজ রেজিষ্টার এর পাশে ঘুর ঘুর করা
পি ডি এফ ফাইল গুলো কনভার্টার এর
অপেক্ষায় ঝিমোচ্ছে।
আমার বিশ্বস্ততার নাম হরিচরন।
তার জল গামছার খুঁটে ভেলীগুড় আর ন্যতানো
মুড়ি ।
তারা এখন শূন্য থেকে অনন্ত শূন্যের ঝাপসা
মরুহিংলাজ।
24-3-21
মূর্খ
চিরঞ্জীব হালদার
এক বান্ডিল প্রলম্বিত মূর্খামির দাম কত হতে পারে। ভেবে বলবেন ভদ্রমহোদয় ।
মাছি ও নীল রং ভুল করে ঢুকে গেছে তদ্ধিত প্রত্যয়ে।
শ্রমিক মানুষ আর ক্ষুধিত শয্যা প্রত্যেকেই উদিত হন।
চাইলে জেন্ডার ঘটিত গন্ডোগোল
অকৃতদার ঘুম আর গৃহী সারস কে নিয়ে রচনা লিখবেন ভদ্রমহোদয়।
21-3-21
উপবিষ্ট যদি কোন সমাস হতো।
উপবেশন মুদ্রা ঘিরে মিথুন মেঘ
চৌষট্টি বর্ণে কলতান শুরু করেছে
হে বসন্ত তুমি তার নিষিদ্ধ আপেল।
অপরিসর বান্ধব লুব্ধক তারাদের জামা পরে
হরিনের নাভি বরাবর যেতে যেতে
মটর ক্ষেতে মিলিয়ে যাচ্ছে
হারিয়ে যেও না নিলাম্বরী
ইতিহাস
চিরঞ্জীব হালদার
কথা বলো লুডোর ঘনক।
তোমার স্বীকারোক্তি শুনে কেঁদে ওঠে সরল মানুষ।
তুমি কি দেখোনি জিরো সঞ্চয়ী কেমন জিতে যায় ।
শূন্য মাধ্যমে আলো ও প্রকৃত খেলোয়াড় তোমাকেই প্রতিদ্বন্দী ভাবে।
শোক প্রস্তাব বলে কিছু নেই।
হেসে উঠো যেভাবে হেসে ওঠে হেরে যাওয়ার পর বসন্তের জ্যোৎস্না সরণি
২১-৩-২১
অন্ধ
চিরঞ্জীব হালদার
যেখানে কোন তিলের অস্তিত্ব নেই।
বেসামাল লন্ঠন কথা বলে।
আমরা কেহ কখনো বমি করবো না এই শর্তে
অন্ধ নাকচাবি ফিরে পাবো।
পুড়ে যাওয়া অন্তর্বাস কথা দিয়েছে
ফিরিয়ে দেবে পুঁথি পাঠিকার নোলক।
বেসামাল লন্ঠন নিভে যাওয়ার আগে
ভুল মানুষীর থেকে ছিনিয়ে নেয়
মুগ্ধ লিপ্সা।
আসলে লন্ঠন বুঝতে পারেনা
অন্ধকার তার প্রকৃত প্রণয়ী।
২১-৩-২১
লন্ঠন
চিরঞ্জীব হালদার
যেখানেই যাই না কেন ঝাড়লন্ঠন সঙ্গ ছাড়ে কই।
ওই যে দারুপাত্র ঘিরে নিভের্জাল ভিতু সমাহার।
পাঁচজন এক হলে জ্বলে ওঠে মদ্যপ আলো।
আহা সেই কবে কেটে গেছে সবার লিলিথ।
চূড়ান্ত রমনের আগে ভাস্বরতা বাজি রাখে
ঢালু পথ।
নিভৃত আলোর নিচে নিবৃত্ত মানুষ সেজেছে লন্ঠন।
১৪-৩-২১
পুঁচকে মেয়ে কুঁচকে থাকে
সুচকে বলে ঝাঁটা
কুল গাছকে ভুল করে সে
বলবে সজনে ডাঁটা।
নাভি
চিরঞ্জীব হালদার
নাভির কোন কার্যক্রম নেই।
নিস্পাপ গ্ৰহনের হেতু স্মিতভাষী।
প্রতিহারীর পোষাকে গাঢ় সে এক নাভি বান্ধবী। ।
চেতনা ও শরীরের পিঙ্গল সংশ্রবে ওঠে নামে তন্ময় পিপাসা।
অনাদি চরণ এঁকে চলে বেতস নাভির পাশে
গাভী ও মানুষের ভ্রমর বৈভব।
কোন পাপ নেই যা আছে তা জানে চরাচর।
কথা বলো নাগ ও অর্জুন
কুমারসম্ভবে।
১৪-৩-২১
নলকূপ
চিরঞ্জীব হালদার
অনেক গুলো দেবালয় পার হওয়ার পর বোঝা গেলো নলকূপ ও মিথ্যা বলে।
যদিও পুরুষজল স্বভাবে তৃষ্ণা বান্ধবী।
সেজে ওঠো বিষকন্যা ।
তোমার ও সন্তান আছে
জাগাও নলকূপ।
মিথ্যা বলার আগে মনে রেখো বিদুর তোমার সন্তান।
১৪-৩-২১
আয়না
চিরঞ্জীব হালদার
একা গর্দভ আয়না কে জিজ্ঞেস করে
তার রূপ সম্পর্কে দু'চার কথা বলতে।
এক গুঞ্জাইস নাইন এম এম জিজ্ঞেস করে
তার তলপেটে সমুদ্রের নাকছাবি লুকানো।
দু'চারটে ভালো ঘুম পাড়ানীয়া গান শেখাতে পারো।
এক তোতলাকে বলা হয়েছে
এই দুজনের মনোরঞ্জনে
জাতীয় সঙ্গীত গাইতে।
ডিনার টেবিল থেকে শুনতে পাই
অট্টহাসিতে আয়না টা অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে।
১৩-৩-২১
সাজান চিতা তুমি বলো।
কোন স্বর ছাড়াই নির্মিত হয় ঘাট।
তার স্তরে স্তরে কারা লুকিয়ে রাখে লুটেরার হৃদয়ের অতিকথন।
তাকে পলাশ বালিকা বললে হেসে উঠবে চোদ্দুই ফেব্রুয়ারি।
আমাদের অবদমিত মিলনের ইতিহাস
আরাবল্লীর কদম শাহের শানিত দোপাট্টার উপর প্রবাহিত শতাব্দী প্রাচীন স্বপ্নেরা এখন গুনগান শুরু করলে উঠে আসবেন মোনালিসা।
ভালোবাসার কোন বংশধর হয়না
তাজমহল হয় না
যা আছে তা দিয়ে দুচোখের পয়ার লিখে পাঠিয়ে দিও মণিকর্ণিকা ঘাটে।
মৃতকন্যার অভুক্ত লিপি বাহক এসো
মাঝি ও পালহীন অলৌকিক জলযান
সব শোক ভাসিয়ে ফিরে যাব কৃত্তিনাশায়।
রুক্সিনি বাউল তুমি সব জানো।
তুমি সব জানো আট কুঠুরি।
কোথায় কোকিলের ডাক কোথায় শৃগালের হাই।
তোমার সাজগোজের ভিতর আটপৌরে নদীর ছলাৎ ছল।
বিকল্প কলাকৌশল ও সময়ের ভেতর প্রগাঢ় তিতির ডেকে চলে।
কে কাহার প্রকৃত মিত্র।
অযুত শাসনের পর হরিণ শাবক থেকেও হাই আর ওঠেনা।
অজিত বর্ণমালা
এই বিবাহ বাসরে আমাদের লক্ষ্যভেদ নিমিত্ত মাত্র।
10-3-21
অবসন্তের কবিতা
চিরঞ্জীব হালদার
মা বলেছে 'থুন' এর আগে ' মি' বসানো বারন।
আছে নাকি উপযুক্ত তেমন কিছু কারন।
সিগমুন্ড এক দাড়িওলার ভারিক্কি যে ঋষি
জার্মানিতে থাকেন ছেলে মায়ের কোন পিসি।
দ্রাবিড় লিপি লিখতে গিয়ে লেখা হলো 'লিবি'
কে যে কখন 'ডো' বসালো টের পায়নি বিবি।
হতাশ ব্রা'য়ের দিগন্তে রূপ শঙ্খ খিটিমিটি।
নদীকে লেখা অষ্টাদশীর প্রাচীন 8 চিঠি।
মেঘ করলে আকাশ জুড়ে যেসব বলা বারন
বসন্ত জাগ্রত দ্বারে বলেনি ভবতারন।
৭-৩-২১
আর কি
।ঠম
বলো তিতির সমাচার ।
বলো কড়িকাঠ
নিষিদ্ধ নেউলের কথা কিছু বলো।।
কি বলবে বলে ফেলো ব্রিগেডিয়ার।
বলো ঘুমন্ত পিস্তল
বলো পাগল ছেলের মা
নুসরাত জাহান ।
ঈর্ষাকাতর মেঘ
কিছুই বলবে না যদি কেন স্তব্ধ মোবাইল ফোন আকন্ঠ মাতাল।
নিষিদ্ধ ছবির আত্মপক্ষ সমর্থনে বলো।
না
্ বলো
কেন ছিদ্র রেখেছিলে বেহুলা বাসরে।
৫_৩-২১
কোন কবিতা লিখবো না বলে ডালিমের কাছে যায়নি।
পরিতোষ তোমার প্রাচীন পুঁথিতে জলের তন্তু।
বঙ্গীয় ভীটের পশ্চিম দিকে যে অদ্ভুত পুষ্করিণী
তার টলটলে দেহে তোমার সুপুরিবনের মেধা
ভেসে থাকে কলা পাতার নৌকায়।
তোমার না বলা বর্গের সমকোণে কারা যেন বনভোজন শুরু করেছে ।
সেই সমাবেশ আর চিৎকারের ঋদ্ধিময়তা দিয়ে যে অন্নের আয়োজন
তার শুভ্রতা ধার করে রমনার গাছেরা হেসে ওঠে।
তোমার ক্যাথোড জুড়ে একুশ দর্পণ।
যদি হৃদি ভেসে যায়
পরিতোষ ধার দিও নিহত শরনার্থীর মেক আপ।
৫-৩-২১
না কবিতার প্রস্তাবনা
চিরঞ্জীব হালদার
চিন্তার শ্রুতিলিখন আঁকতে আঁকতে
হেলিকপ্টার অদৃশ্যবাদীদের দলে ভিড়ে গেলে
সকাল তার অন্তর্বাস পরে নেওয়ার অপেক্ষায়।
রাতের আবলুসীময়তা না কাটিয়ে ফড়িংটা
ভিজে পাতাদের বাক্যালাপের ভেতর গুনগুন শুরু করেছে।
পরাজিত পোশাকের থেকে বেরিয়ে আসা
এক গণিতকুশলী কে দেখি ফুল না আসা উচ্ছে
ক্ষেতের পাশে ঝিমোচ্ছে।
হামানদিস্তার সাথে উত্তর নামেলা অঙ্কগুলো
প্রায়ই বিতন্ডা লাগে।
এমন এক সকালের নাছোড় ঘ্যান-ঘ্যানানি গুলো
বুকের বাঁ দিকে জমায়েত শুরু করার আগে
অচেনা নাম্বারের কলব্যাক গুলো ঝালিয়ে নিতে হবে।
অবলুপ্ত বাসরুটে দুঃস্বপ্ন গুলো খালাস করতে না পারলে খেলনা দোকানী তোমাকে ধারও দেবেনা।
জানো দিদান কেন যে এনারা সবাই কাকতাড়ুয়াকে ভয় পায়।
৪-৩-২১
বসন্তের কবিতা
চিরঞ্জীব হালদার
সুপ্ত লাটাই থেকে গলগল হৃদি উড়ে যায়।
হাতে- হাত সহচরী ডেকেছে বসন্ত।
ক্ষুধার্ত পিচকারী।
কার্যত নাবালিকা ।
আব্বুলিস খেলাঘর
প্রেমিকে প্রেমিক।
শ্মশান ভরদ্বাজ তুমি আজ তুঙ্গ ফাল্গুন।
সব দেহ সুপ্ত শামুক।
মানুষের পদশব্দ শুনে গুটিয়েছো পিঙ্গল সমীপে।
দৃশ্যত লাটাই থেকে গলগল হৃদি উড়ে যায়।
৩-৩-২১
মধুবাতা
চিরঞ্জিব হালদার
দিকে দিকে আয়োজন।
ফুলেরা নিরোধক পরে ফুটে আছে।
মানুষ ও মানুষীর তদ্রুপ মোহ।
সাজানো ক্যনভাস ও ক্যনেস্তেরা।
কুয়াশা ও গর্ভবতী।
তার ও সন্তান কিছু কাজ জানে।
ময়দানে আজ কাহার আয়োজন।
মোড়ক বহির্ভূত ফুল ও বীজধান তোমাদের গুনগান করে ঋতায়তে।
৩_৩_২১
যাও পাখি
চিরঞ্জীব হালদার
লার্ক পাখির মতো।
অবগুন্ঠিত বন্দর তার
এক একটি পালক।
খসে পড়ে জলের গোচর।
তেমন জাদুবয়ান নও।
তোমার আজ্ঞাবাহী যাত্রাপথ
করুণ ফুলের গুনগানে চেয়ে থাকে।
রোদের অস্ফুট সংলাপ মাতৃসদনে ঢুকে পড়লে
বেদগানে ভিজে ওঠে চরাচর।
যাও পাখি শূন্যতা জয় করা ক্রান্তদর্শী দিন
ঠোঁটে নিয়ে ফিরি করো
ভাসমান মঙ্গল।
আমরা বাহক মাত্র।
এসো খোদিত হও সলাজ সদন।
২-৩-২১
অনভিপ্রেত খনিজে বৃষ্টি হয়।
বৃষ্টি ও তার পতন সুচারু সাজিয়ে রেখো ডিভান বিন্যাসে।
খনিজেরা প্রথাগত মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে ফিরে আসে ।
মৃত্যুও পতিত হয় ।
অন্ধকার পতিত হয়।
অনভিপ্রেত গ্লেসিয়ারে বৃষ্টি হয়।
পতনের মধ্যে হয় ।
আবাদ মানুষ।
মানুষে মানুষে বৃষ্টি হয় ।
সিক্রেট কথন গুলো নিভৃত ভিডিওতে ভিজে উঠে।
ডেকে আনে পরামানিক ।
চুল ও চলন।
ধ্বনির ভেতর ধ্বনি পতিত জমিন।
বৃষ্টিও আনত অভিপ্রায়ে।
ম্যাটফিনিশ টপনট ছড়িয়েছে ধীরে ধীরে।
কোন কারন ছাড়াই হাই তোলে ।
বৃষ্টিও ঝুমকো দুল পতনের কথা বলে পারস্পরিক।
১-৩-২১
No comments:
Post a Comment