Monday, August 31, 2020

সুবীর সরকার

 

‘সময়ের উল্টোস্রোতে সাঁতার শিখিনি’
সুবীর সরকার


 
‘কুমোরটুলির দেবদেবীর মুখের ছাঁচে মৃতমুখ
এ মুখে ঘাম নেই
ব্রণ নেই
ভাঁজ নেই
আগ্নেয়গিরির উড়ন্ত ছাই ভাসিয়েছে মানবতাকে’
মাননীয় পাঠক,এই কবিতাটি লিখেছেন তরুণ কবি নীলাদ্রি দেব।পুরো কবিতাটির শরীর জুড়ে দানা দানা সময়ের ভাষ্য ছড়িয়ে আছে।সেই ভাষ্যের ভেতর সময়াতীতের এক অনন্ত নিয়ে ঢুকেই পড়তে হয় পাঠককে।
নীলাদ্রি দেবের প্রথম কবিতার বই-‘ধুলো ঝাড়ছি LIVE’ ২০১৬ তে প্রকাশিত হয়।এই কবিতাটি সেই বইয়ের প্রথম কবিতা।২০২০ তে নুতন করে আবার ‘আলোপৃথিবী’ প্রকাশনা থেকে সেই বইটি আবারও পুনঃপ্রকাশিত হয়েছে।
শুরুর কবিতাটি পাঠ করেই আমরা বুঝে ফেলি সেই ২০১৬ তেই নীলাদ্রি দেব বুঝিয়ে দিয়েছিল,সে বাংলা কবিতা লিখতেই;বাংলা কবিতাতে থাকতেই এসেছে।
আজ নীলাদ্রির পাঠকেরা সেটা নিশ্চিতই বুঝে গেছেন।
১২ টি কবিতায় সাজানো এই বইটির প্রতীকি ও নান্দনিক প্রচ্ছদ করেছেন শ্রীহরি দত্ত।
১২ টি কবিতা থেকে ১২ টি মহাসড়ক বেরিয়ে আসে আর পৌঁছতে থাকে জন্ম ও মরণের দিকে।অনন্ত জিজ্ঞাসা আর যাপনের তাড়না কবিকে ধাওয়া করতে থাকে।কবি তার সামগ্রিকতাকে প্রশ্নে প্রশ্নে বিক্ষত করতে থাকেন।কি এক অস্থিরতা তাকে বুঝি ঘোরের ভেতর ডুবিয়ে মারে।
নষ্টালজিক যুক্তিফাটল দিয়ে নীলাদ্রি পাথর ঠুকতে ঠুকতে আদিম হয়ে ওঠেন।আর লিখে ফেলেন_
‘হাজার বছরের কান্নায় নদী
সে নদীর তীরে,শ্মশানে
        আমার অস্তিত্বের ছাই
কপালে লেপে রাখি
জলে ছায়া ফেলে দেখি
          অ-পূর্বপুরুষ’
কেমন হিম হয়ে উঠি।শিউরে উঠি।
এক নুতন ভাষায় কবি কথা বলছেন।এক চিরায়ত বোধের ধরাছোঁয়ার খেলা।
কবি লিখছেন_
‘এ হৃদয় এখন পরিযায়ী’
অথচ_
‘সময় বাঁচাতে পারেনি
বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর
   খুঁজে পায়নি আমাকে জীবিত
এখন লাশ
লাশের ভবিষ্যত টানে পরিবার
যদিও পরিবারও একদিন লাশ
 
সময়ের উল্টোস্রোতে সাঁতার শিখিনি’
প্রথম প্রকাশের সময় নীলাদ্রির বয়স ছিল ১৯ বা ২০।আমি বিষ্মিত হই,কি প্রখর সেই বয়সেই নীলাদ্রির দেখা,অনুভূতি আর গূঢ বাস্তবতা মোড়ানো প্যাশনেট।যাপনকথাকে সংহত করে এনে কথাটুকরোর যাদুতে মুড়ে সে বলে ওঠে_
‘প্রেম তলিয়ে যাচ্ছে ডাস্টবিনে
ডিপ ফ্রিজে শক্ত হচ্ছে স্বপ্ন
কর্মব্যস্ত দিনে আধঘন্টা সময় খাচ্ছে
             ধর্ষণ সংবাদ’
বাস্তবকে তুলে আনা।উপস্থাপিত করা।এও তো কবির দায়।অবশ্য একজন কবির কি আদৌ কোন দায় থাকে!
কবি তো অভিশপ্ত।নির্বাসিত অতিথি মাত্র।কাদা হয়ে শুয়ে থাকতে হয় কবিকে ড্রেনের ধারে।
যেমন নীলাদ্রি!তিনি অকপটে লিখলেন_
 
‘মৃত্যু পরোয়ানা চাই
ট্যাগ লাগাচ্ছি দেহে’
যে সময়ে তার জীবনযাপন,যে দেশকালের ভুবনে তাকে বেঁচে থাকতে হয়,যে সমস্ত সাদা ও কালোর মধ্যে তাকে পেরোতে হয় প্রতিদিন;সেই অতিক্রমণের পরতে পরতে সংশয়,ত্রাস ও নিরাপত্তাহীনতা কবিকে অস্থির করে তোলে,তিনি বিপন্ন হন আর ঘুম কিংবা ঘুমহীনতায় লিখে ফেলতে থাকেন,ঘন হয়ে ওঠা তীব্র এক ডিলিরিয়ামের ভেতর_
১।
‘এটিএম মেশিনের ভেতর আমাদের গ্রে ম্যাটার
সৎকারের জন্য লাইন দিয়েছে দালাল’
২।
‘অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে
    যাবতীয় অস্তিত্ব সংকট
কোনওরকম রঞ্জক দাগ কাটে না আর
তবুও শুধুই উদযাপন’?
৩।
‘রাত হয়ে এল
পরজন্মে জোনাকি হব’
তার শব্দব্যবহার,তার বুননের ম্যাজিক,তার অদ্ভূত মায়াবিন্যাস আর সঠিকভাবে থেমে যাওয়া নীলাদ্রিকে স্বতন্ত্র করে তুলেছে।সে তার চলবার রাস্তাটা তার হাঁটবার পথটা ঠিক খুঁজে নিচ্ছেন।
সুররিয়াল কবির মতন কখনো সে লিখছে_
‘দেহ
মন
দুটোই আমার
ব্যবহার করার ধরণ একান্ত ব্যক্তিগত
#
কে তুমি,নীতিনির্দেশদাতা’?
বহুরৈখিক যাপনের আলোআন্ধারে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে কবি নীলাদ্রি এক নুতনের দিকে,ভাষাপুল ডিঙিয়ে চলে যাচ্ছেন;তার শরীরে পাখির পালক আর জীবন্ত হয়ে থাকা এক নদীর আখ্যান,যা আদতে উপাখ্যানের মতন।
 
ধুলো ঝাড়ছি LIVE
নীলাদ্রি দেব
প্রকাশকঃআলোপৃথিবী
প্রকাশকালঃমার্চ-২০২০

প্রচ্ছদঃশ্রীহরি দত্ত
মূল্যঃ৩০ টাকা













বিরানভূমি,দাবার বোর্ড ও নেক্রপলিস

সুবীর সরকার

 

 

'আজকাল আমাদের গল্প দীর্ঘশ্বাস হয়ে 

ভেসে বেড়ায় নেক্রপলিসে 

 

হেরে গেছি বারবার বিশ্বাস করে 

 

ইদানিং সমস্ত দৃশ্য দাঁতমুখ চেপে 

ভালো আছি, দেখাতে পারি ম্যাজিক 

 

আদতে আমরা জিভহীন জনতা'

#

উপরের কবিতাটি লিখেছেন কবি পাপড়ি গুহ নিয়োগী।জন্ম ও যাপন উত্তরাঞ্চল।লিখে চলেছেন বাংলা ভাষায়।নিজস্ব স্বর আয়ত্ত তার।তার হাঁটবার রাস্তায় কান্না ও বিষাদের স্বরলিপি।বাংলা কবিতায় পাপড়ির নিজস্ব পাঠক রয়েছে।পরিচিত নাম সে।নিরন্তর নিরীক্ষায় আর কাটাকুটির ভেতর দিয়েই এই কবির জার্নি।একটা তীব্র ঘোর তাড়া করে বেড়ায় পাপড়ি কে।সে ঘোর জড়ানো টানেল দিয়ে তীক্ষ্ণ এক একাকীত্ব নিয়েই হেঁটে যায়,হেঁটে যেতে থাকে রৌদ্র কিংবা কুয়াশায়।নিজেকে ভাঙতে ভাঙতে নিজেকে খুঁজতে খুঁজতে নিজেকে খুঁড়তে খুঁড়তে কবি পাপড়ি গুহ নিয়োগী তার জার্নিকে চিরনতুন করে তুলতে থাকেন।শব্দ সচেতন,সময় সচেতন,দেশকাল সচেতন পাপড়ি এক দাবদাহের আর্তি বিছিয়ে দেন পাঠকের চলাচলের পরিসরে।সম্প্রতি সংগ্রহ করি পাপড়ির সদ্য প্রকাশিত এই বইটি।তারপর পাপড়ির অটোগ্রাফ নেই।ছবিও তোলা হয়।ছিলেন তরুণ কবি নীলাদ্রী দেবও।এই বইটি পাপড়ির অন্য বইগুলি থেকে অনেকটাই সরে এসেছে।পলিস বা নগররাষ্ট্রের কালো আগ্রাসনের খাবার নিচে নাগরিকের নিপীড়িত এক  অস্তিত্বসংকট পাপড়িকে উচ্চকিত করে তোলে।আসলে সাম্প্রতিক অস্থিরতা আর মানুষের বিপন্নতায় ভারি হয়ে ওঠা চারপাশ কবিকে ব্যাকুল ও আর্ত করে তুলেছে।পুড়ে পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া এক সময়পর্ব উঠে এসেছে এই 'নেক্রপলিস'-নামক কবিতার বইটিতে।অদ্বয় চৌধুরীর নান্দনিক ও সাংকেতিক প্রচ্ছদের ওপর অনেকটা সময় তাকিয়ে থাকতে বাধ্য হবেন পাঠক।

নিজের ভেতরের দহ ও দাহ লিখতে লিখতে এক না ফুরোন গল্প শোনান কবি_

‘অন্ধকারে কুকুরের ডাক রপ্ত করে ফেলেছি

আপনি ভাঙা ঘরেও ভিক্ষে চাইছেন’

বাঘিনি পরি,বনসাই,ইঁদুরের গলি,সম্পর্কের জ্যামিতি,লুটেরার হাঁ-মুখ,গরম ভাতের জন্য হাঁপিয়ে ওঠা মানুষ,ইচ্ছের মৃতদেহ,টাইটানিকের মতো ডুবে যাওয়া,রক্তমুখো মেশিনগানের শব্দ,আর সব নৈরাজ্য পেরিয়ে যেতে যেতে পাপড়ি দেখেন-

‘সম্পর্কের গর্তে চিতা জ্বলছে দেশে’

আর পাপড়ি নিজেকেই ছুঁড়ে দেন এক অমোঘ প্রশ্ন-

‘পাখিদের কি এনআরসি হয়

#

ইতিহাসে প্রমাণিত

জনসংখ্যা চিৎকার করে কাঁদতে পারে না’

আর তাই,নিজের অসহায়তা নিয়েই একজন কবিকে তার যাপনবিন্দুগুলি খুঁড়ে খুঁড়ে এক চূড়ান্ত আশ্রয়হীনতার দিকেই হয়তো চলে যেতে হয়!

কবি তার স্থির ও মগ্ন চোখে উদাসীন হয়ে পড়েন আর বিড়বিড় করে ব্লে ওঠেন-

‘জেনে গেছি

মাথা নীচু করে শাসকের সামনে দাঁড়াতে হয়’

৫১ টি কবিতা দিয়ে নির্মিত এই বইএর চমৎকার এক কথামুখ লিখেছেন স্বপন রঞ্জন হালদার।

 

পাপড়ি, মুগ্ধতা জানালাম আপনার কবিতার প্রতি।


 

নেক্রপলিসঃপাপড়ি গুহ নিয়োগী

প্রকাশকঃবৈভাষিক

মূল্যঃ১২০ টাকা











দেশকালসময়ের অদ্ভুত এক ভাসানযাত্রা
সুবীর সরকার

উদয়ার্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা কবিতায় এক প্রখর তারুণ্যের নাম। উত্তরাঞ্চলের কোচবিহারে বসেই সে কাজ করে চলেছে বাংলা কবিতা নিয়েই।অর্জন করেছে নিজস্ব স্বর। নিজস্ব উচ্চারণ।সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে উদয়ার্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘নাম ধরে ডাকা বারণ’। তার প্রথম কবিতার বই ‘মৃত্যুর পর যে ঘোড়ায় চড়ে তুমি দেশ পেরোবে(২০১৬)’-টিতেই উদয়ার্ণব বন্দ্যোপাধ্যায় তার মেজাজ ও জাত চিনিয়ে দিয়েছিলেন। নূতন করে আবার পাঠ করলাম চড়ে তুমি দেশ পেরোবে’। খুব সচেতন পাঠকের জন্যই তার কবিতা। অত্যন্ত সময় ও সমাজসচেতন এই কবি চারপাশের সবকিছু, সমস্ত অন্ধকার ও আলোর দিকে সজাগ নজর রেখে চলেন। মানুষের বিষাদ ও বিপন্নতাগুলিকে তীব্রভাবে ছুঁয়ে যান তিনি। তার কবিতা আমাদেরকে ভাবায়।গভীর এক প্রশ্নের দিকে নিয়ে যায়। কবি বলেন_
‘আমি চিৎকার করছিলাম শান্ত ধ্বংসস্তূপের কাছে
যে আমাকে আরো গভীরে শুইয়ে দিতে চেয়েছিল’।
কি ঝরঝরে অমোঘ উচ্চারণ! প্রখর মেধার বিচ্ছুরণ তার কবিতায়। মজা, ম্যাজিক ও হিউমার দিয়ে দেশকালসময়ের অন্তর্দেশ চিনিয়ে দিতে থাকেন উদয়ার্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘তার স্বচ্ছ চোখের ভেতর উপচে পড়ছে দুস্তর মরুভূমি। সে
একবার আকাশের দিকে তাকালো এবং মাটির দিকে। গোটা
বিশ্ব যখন জ্বলন্ত খ্যাদ্যের উদাহরণ, সে ঠুকরে ঠুকরে
প্রথমে খেতে শুরু করলো নিজের পরিবার’।
জায়মান এক সুর খেলে বেড়াতে থাকে তার কবিতায়।কত কত দেখা তার। দেখা সমূহ থেকেই নূতন এক জার্নি শুরু করেন কবি। আর আমাদের শোনাতে থাকেন—
‘তোমার স্বপ্ন ঘিরে সারি সারি সাজানো চিতা।
তবুও তুমি ভরসা রাখ তোমার দেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থার উপর’।
এই শক্তিশালী কবি বাংলা কবিতাকে তীব্র করে তুলতে তুলতে এক প্রবল বাঁকের দিকে নিয়ে যায়।কবিতার পরতে পরতে তীব্র টান ও টানাপোড়েন গুঁজে দিতে দিতে বাংলা কবিতাকে আবহসঙ্গীতের ভেতর ছেড়ে দিচ্ছেন কবি। আর বলছেন_
‘তুমি যখন প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে ওঠো
আমি বন্ধুত্বের হাত খুঁজি
#
আর সবাই ভয়ংকর ডাকাত হয়ে গেলে
আমার অন্ধকার লোভ হয়’।
মারী ও মড়কের এই দেশ, এই বিশ্ব, প্রতিপল যেখানে ধর্ষিত হয় মানুষ আর মানবতা। পুঁজির দাপটে বিপন্ন হয়ে পড়েন ভূমিলগ্ন জনমানুষ। সেই প্রতারিত ও বিপন্ন মানুষের কথা, তাদের যাপন, তাদের ভাঙা জীবন আর তুমুল স্বপ্ন দেখবার চিরকালীন আকাঙ্খা উদয়ার্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতায় উঠে আসে আন্তরিকভাবেই—
‘এই জায়গাটা আমি চিনি। এই দেশটার নাম
বাবা বলে গেছেন। বাবা বলে গেছেন, এই দেশটা
আমাদের সব কিছু কেড়ে নিয়েছে, এবং এখানকার
মানুষজন’...
১২ টি কবিতা দিয়ে জমিয়ে তোলা এই বইটির সবচেয়ে বড় দিক হলো উদয়ার্ণব বন্দ্যোপাধ্যায় তার কবিতায় প্রতিবাদের এক দীর্ঘ সংগীত শুনিয়ে গেছেন, কিন্তু কোন কবিতাই কিন্তু স্লোগান হয়ে যায়নি। তার শব্দের ভেতর সুর ও সুরেলা প্রপাতের ধ্বনি তুমুল আচ্ছন্ন করে তোলে। উদয়ার্ণব লেখেন—
‘এখন গোটা দেশ জুড়ে তুমুল হইচই
আর আমার শহর জুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর
নারকীয় খেলা
আমাদের ঘুম
আমাদের স্বপ্ন
আমাদের লড়াই
শুধুমাত্র একটি পরিচয় বহন করে চলেছে
আমরা ভারতীয় নই
এদেশ আমাদের কখনো হতে পারে না’...
এই সততা, এই সাহস আর মানুষের বিপন্নতাকে ছুঁইয়ে যাবার তাগিদ—এটাই তো একজন কবির বর্ম ও ধর্ম হওয়া উচিত। প্রতীকি প্রচ্ছদ এই বইটির অনবদ্যতা বাড়িয়েছে। কুর্নিশ, কবি উদয়ার্ণব; আপনাকে...

আলোচিত কাব্য: মৃত্যুর পর যে ঘোড়ায় চড়ে তুমি দেশ পেরোবে



কবি: উদয়ার্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রকাশক: কবিস্টেশন, মালদা
প্রচ্ছদ: বাবাই ২
মূল্য: ২৫ টাকা
যোগাযোগ: ৯৮০০৮৭৭০৯৬/৭৯০৮৭৮৯৭৭


1 comment:

  1. উদয়ার্ণবের বইটির রিভিউ 'প্রথম কাব্যির পরশ' বিভাগে ইবলিশ চতুর্থ সংখ্যায় ছাপা হয়েছিল। ব্লগে এখানে দ্বিতীয়বারের জন্যে প্রকাশিত হলো। এতে ভালোই। আর দু'দশজন পড়বার সুযোগ পাবেন।

    ReplyDelete