মানিক সাহার কবিতা
অনুবাদ কবিতা
সম্পূরন সিং কালরা (জন্ম 18 আগস্ট, 1934), তাঁর গুলজার নামেই জনপ্রিয়। হিন্দি চলচিত্রের প্রবাদপ্রতিম গীতিকার হলেও একজন কবি এবং চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি প্রথম সাড়িতেই অবস্থান করেন।
গুলজার প্রধানত উর্দু এবং পাঞ্জাবিতে লেখেন। এছাড়াও হিন্দীর বিভিন্ন উপভাষার পাশাপাশি ব্রজভাষা, খরিবোলি, হরিয়ানভি এবং মারওয়ারীতেও তাঁর লেখা রয়েছে। তাঁর কবিতার স্তবক বিন্যাসে আমরা ত্রিভেনীর ধরণ দেখতে পাই। তাঁর রচনাগুলি তিনটি সংকলনে প্রকাশিত হয়েছে। এবং তিনটিই খুব অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাঁর কাব্য সংকলনগুলির নামও খুব সুন্দরঃ চান্দ পোখরাজ কা, রাত পশমিনি কি এবং পন্দরাহ পাঁচ পঁচত্তর।
অনুদিত কবিতাগুলি 'রাত পশমিনি কি' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত। কাব্যের ভূমিকায় গুলজার রসিকতা করে লেখেনঃ আশা করছি, এবং দুঃশ্চিন্তাও করছি যে এখন লোক (এই কাব্যগ্রন্থ নিয়ে) কী বলবে, আর এর চেয়ে বড় ভয় এই হচ্ছে যে এমন না হোক যে কেউ কিছুই বলল না।
দুর্ঘটনা
সে কি পড়তে পড়তে চোখ বন্ধ করে নেবে?
না কি চোখ আরো বিস্ফারিত হবে?
না কি শুধু --- সব কিছু নিভে যাবে?
পড়তে পড়তেও সে লোকজনের আর্তনাদ শুনছিল।
আর, পোপটের দোকানের উপর পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া
রক্তের ছিঁটের উড়ে যাওয়াও দেখে নিয়েছিল!
রাতের একটা বাজল যখন, সে আবার
সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এল,
আর ফুটপাতে এসে দেখল,
চক দিয়ে আঁকা লাশের নকশা সেখানেই পড়ে আছে
যাকে সে ছাদের চিলেকোঠা থেকে নিচে ছুড়ে ফেলেছিল...!!
বেলুন
নিস্তব্ধতা ভরা ছিল এক বেলুনের মতো ঘরে,
তোর ফোন আসার শব্দ হওয়ার আগে পর্যন্ত।
বাসি এই পরিবেশ এক মুহূর্তের জন্য কেঁপে উঠেছিল
শ্বাস হালকা হয়ে গিয়েছিল, নাড়ি কাঁপছিল,
বিষন্নতার জাল চোখ থেকে নেমে গিয়েছিল কয়েক মুহূর্তের জন্য...
আবার তোমার আওয়াজকে শেষবারের মতো 'খুদা হাফিজ'
বলে চলে যেতে দেখেছিলাম!
এক নিস্তব্ধতা ভর্তি হয়ে আছে
বেলুনের মতো এক শরীরে,
তোমার শেষ ফোন আসবার পর থেকে...!
আত্মহত্যা
এক মুহূর্তের ঝগড়া ছিল -
চারপাশ এমনভাবে চমকে উঠল যেন
কাঁচ ভেঙে পড়ার শব্দ।
সমস্ত জায়গায় উড়তে থাকা, জ্বলতে থাকা গল্প!
দৃষ্টিতে, কথায়, আদব-কায়দায়
চিন্তা-ভাবনা আর নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের ভেতর।
রক্তের এক সম্পর্ক হওয়ার কথা ছিল, যা সেদিন
নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ---!
সেই শব্দের টুকরো উঠিয়ে মাদুর থেকে সেই মৃতদেহ
কেউ তার কব্জির শিরা কেটে নিয়েছে---
একটুও শব্দ করেনি,
যাতে কেউ জেগে না যায়!!
অনুবাদ কবিতা
সম্পূরন সিং কালরা (জন্ম 18 আগস্ট, 1934), তাঁর গুলজার নামেই জনপ্রিয়। হিন্দি চলচিত্রের প্রবাদপ্রতিম গীতিকার হলেও একজন কবি এবং চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি প্রথম সাড়িতেই অবস্থান করেন।
গুলজার প্রধানত উর্দু এবং পাঞ্জাবিতে লেখেন। এছাড়াও হিন্দীর বিভিন্ন উপভাষার পাশাপাশি ব্রজভাষা, খরিবোলি, হরিয়ানভি এবং মারওয়ারীতেও তাঁর লেখা রয়েছে। তাঁর কবিতার স্তবক বিন্যাসে আমরা ত্রিভেনীর ধরণ দেখতে পাই। তাঁর রচনাগুলি তিনটি সংকলনে প্রকাশিত হয়েছে। এবং তিনটিই খুব অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাঁর কাব্য সংকলনগুলির নামও খুব সুন্দরঃ চান্দ পোখরাজ কা, রাত পশমিনি কি এবং পন্দরাহ পাঁচ পঁচত্তর।
অনুদিত কবিতাগুলি 'রাত পশমিনি কি' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত। কাব্যের ভূমিকায় গুলজার রসিকতা করে লেখেনঃ আশা করছি, এবং দুঃশ্চিন্তাও করছি যে এখন লোক (এই কাব্যগ্রন্থ নিয়ে) কী বলবে, আর এর চেয়ে বড় ভয় এই হচ্ছে যে এমন না হোক যে কেউ কিছুই বলল না।
দুর্ঘটনা
সে কি পড়তে পড়তে চোখ বন্ধ করে নেবে?
না কি চোখ আরো বিস্ফারিত হবে?
না কি শুধু --- সব কিছু নিভে যাবে?
পড়তে পড়তেও সে লোকজনের আর্তনাদ শুনছিল।
আর, পোপটের দোকানের উপর পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া
রক্তের ছিঁটের উড়ে যাওয়াও দেখে নিয়েছিল!
রাতের একটা বাজল যখন, সে আবার
সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এল,
আর ফুটপাতে এসে দেখল,
চক দিয়ে আঁকা লাশের নকশা সেখানেই পড়ে আছে
যাকে সে ছাদের চিলেকোঠা থেকে নিচে ছুড়ে ফেলেছিল...!!
বেলুন
নিস্তব্ধতা ভরা ছিল এক বেলুনের মতো ঘরে,
তোর ফোন আসার শব্দ হওয়ার আগে পর্যন্ত।
বাসি এই পরিবেশ এক মুহূর্তের জন্য কেঁপে উঠেছিল
শ্বাস হালকা হয়ে গিয়েছিল, নাড়ি কাঁপছিল,
বিষন্নতার জাল চোখ থেকে নেমে গিয়েছিল কয়েক মুহূর্তের জন্য...
আবার তোমার আওয়াজকে শেষবারের মতো 'খুদা হাফিজ'
বলে চলে যেতে দেখেছিলাম!
এক নিস্তব্ধতা ভর্তি হয়ে আছে
বেলুনের মতো এক শরীরে,
তোমার শেষ ফোন আসবার পর থেকে...!
আত্মহত্যা
এক মুহূর্তের ঝগড়া ছিল -
চারপাশ এমনভাবে চমকে উঠল যেন
কাঁচ ভেঙে পড়ার শব্দ।
সমস্ত জায়গায় উড়তে থাকা, জ্বলতে থাকা গল্প!
দৃষ্টিতে, কথায়, আদব-কায়দায়
চিন্তা-ভাবনা আর নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের ভেতর।
রক্তের এক সম্পর্ক হওয়ার কথা ছিল, যা সেদিন
নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ---!
সেই শব্দের টুকরো উঠিয়ে মাদুর থেকে সেই মৃতদেহ
কেউ তার কব্জির শিরা কেটে নিয়েছে---
একটুও শব্দ করেনি,
যাতে কেউ জেগে না যায়!!
No comments:
Post a Comment