আড্ডা করিডোর : সম্পাদনায় সব্যসাচী ঘোষ
শ্যামলছায়ার আড্ডা / প্রবীর রায়
জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলা মোড় থেকে একটু এগিয়ে গেলেই উকিলপাড়া। বড়্র রাস্তার ওপরেই বড় লোহার গেট খুলে সবুজ রাস্তা ধরেই শ্যামলছায়ার আড্ডাঘর। দেখতে দেখতে পঁচিশ বছরেরও বেশী হয়ে গেল এই আড্ডার বয়েস। আমার কর্মজীবনের অধিকাংশ সময়েই কেটেছে উত্তর বাংলায়। সে সময় এবং পরে স্থায়ী বাসস্থান শ্যামলছায়া।
আশীর দশকের শেষ দিকে জলপাইগুড়ি শহরের তিনজন সদ্য কৈশোর পার হওয়া ছেলে শুভ্র চট্টোপাধ্যায় নীলাদ্রি বাগচি দেবাশিস কুণ্ডুর সাথে সুযোগ পেলেই আড্ডা হত। তখন ওরা এরকা নামে একটা কাগজ করত। ওদের সাথে কবিতা ভাবনায় অনেক জায়গাতেই মিলে গেল। শুরু হল সংহত কবিতা আন্দোলন। এরকাকে কেন্দ্র করে শুরু হল আড্ডা। তখন কত নতুন লিখতে আসা কবিরা আসতো আড্ডায়। তাদের অনেকেই এখন কবিতা লিখছেনা। কেউকেউ শিল্পের অন্য শাখায় আছে।কোচবিহারে সুবীর সরকার আর আলিপুরদুয়ারের শৌভিক দে সরকারের দেখাও পেতাম মাঝে মাঝে।এরকাকে কেন্দ্র করেই জমে গেল শ্যামলছায়ার আড্ডা।
পরের দিকে ওদের প্রভাবেই খেলাধুলার জগত থেকে কবিতায় চলে এলো অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়। একসময় শ্যামলছায়া থেকে শেষ সংখ্যা বেরিয়ে বন্ধ হয়ে গেল এরকা।অতনুর সম্পাদনায় শ্যামলছায়া থেকে প্রকাশিত হতে শুরু করল এখন বাংলা কবিতার কাগজ। এখনকে কেন্দ্র করে আড্ডার পরিসর আরও বর্ধিত হল।
শুধু জলপাইগুড়ি নয়,পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে,এমনকি বাইরে থেকেও অনেকেই সুযোগ পেয়ে এই আড্ডায় নতুন ভাবনার খোরাক দিয়ে গেছেন। বিশেষ ভাবে মনে পড়ছে উত্তম দাশ অতীন্দ্রিয় পাঠক সজল বন্দ্যোপাধ্যায় আনন্দ ঘোষহাজরা অজিতেশ ভট্টাচার্য বারীন ঘোষাল স্বপন রায় রঞ্জন মৈত্র প্রনব পাল উমাপদ কর ধীমান চক্রবর্তী প্রবাল বসু কাজল চক্রবর্তী বিশ্বরূপ দে সবকার সন্দ্বীপ দত্ত … আরও কত কবি ও লিটল ম্যাগাজিন করা মানুষজন।
দীর্ঘ সময়ে এ যেন এক অনিবার স্রোত। পুরনো মুখ সরে গিয়ে নতুন মুখ এসেছে। কিছু পুরনো মুখ আবার ফিরে এসেছে কবিতায়। প্রতি রবিবারের আড্ডায় অনেকেই এসেছে দূর থেকে। মালবাজারের সব্যসাচী ঘোষ ময়নাগুড়ির দুর্জয় দাস । মেয়েরা ঘর সংসার সামলে প্রতি রবিবারে না পারলেও সুবিধে মত আড্ডায় চলে আসে। অনিন্দিতা গুপ্তরায় জয়শীলা গুহবাগচী শ্রেয়সী গাঙ্গুলী অর্পিতা বাগচির মত অনেকেই আছে এই তালিকায়। ১/
এই আড্ডায় নাটক আবৃত্তি ছবি আঁকিয়ে গাইয়ে সবার জন্যই অবারিত দ্বার। শুধু কবিতামনস্ক হলেই হল।এই আড্ডা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে করলাভ্যালী, নীর, অ পূ র কাগজ প্রকাশিত হয়েছে তাও কি কম আনন্দের। এই আড্ডার ইচ্ছাতেই প্রকাশিত হল জল্প ই পত্রিকা। নতুন লিখতে আসা কয়েকজন শুরু করল।এই পত্রিকা এখন অনেকেরই আগ্রহের বিষয়।
যে আড্ডা স্বাভাবিক ভাবে চলা শুরু করেছিল তার গতিও স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বাভাবিক। প্রতি রবিবারে মত আগামী প্রতিটি রবিবারও আড্ডায় আমাদের অপেক্ষা থাকবে নতুন কবির জন্য।
শ্যামলছায়ার আড্ডা / প্রবীর রায়
জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলা মোড় থেকে একটু এগিয়ে গেলেই উকিলপাড়া। বড়্র রাস্তার ওপরেই বড় লোহার গেট খুলে সবুজ রাস্তা ধরেই শ্যামলছায়ার আড্ডাঘর। দেখতে দেখতে পঁচিশ বছরেরও বেশী হয়ে গেল এই আড্ডার বয়েস। আমার কর্মজীবনের অধিকাংশ সময়েই কেটেছে উত্তর বাংলায়। সে সময় এবং পরে স্থায়ী বাসস্থান শ্যামলছায়া।
আশীর দশকের শেষ দিকে জলপাইগুড়ি শহরের তিনজন সদ্য কৈশোর পার হওয়া ছেলে শুভ্র চট্টোপাধ্যায় নীলাদ্রি বাগচি দেবাশিস কুণ্ডুর সাথে সুযোগ পেলেই আড্ডা হত। তখন ওরা এরকা নামে একটা কাগজ করত। ওদের সাথে কবিতা ভাবনায় অনেক জায়গাতেই মিলে গেল। শুরু হল সংহত কবিতা আন্দোলন। এরকাকে কেন্দ্র করে শুরু হল আড্ডা। তখন কত নতুন লিখতে আসা কবিরা আসতো আড্ডায়। তাদের অনেকেই এখন কবিতা লিখছেনা। কেউকেউ শিল্পের অন্য শাখায় আছে।কোচবিহারে সুবীর সরকার আর আলিপুরদুয়ারের শৌভিক দে সরকারের দেখাও পেতাম মাঝে মাঝে।এরকাকে কেন্দ্র করেই জমে গেল শ্যামলছায়ার আড্ডা।
পরের দিকে ওদের প্রভাবেই খেলাধুলার জগত থেকে কবিতায় চলে এলো অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়। একসময় শ্যামলছায়া থেকে শেষ সংখ্যা বেরিয়ে বন্ধ হয়ে গেল এরকা।অতনুর সম্পাদনায় শ্যামলছায়া থেকে প্রকাশিত হতে শুরু করল এখন বাংলা কবিতার কাগজ। এখনকে কেন্দ্র করে আড্ডার পরিসর আরও বর্ধিত হল।
শুধু জলপাইগুড়ি নয়,পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে,এমনকি বাইরে থেকেও অনেকেই সুযোগ পেয়ে এই আড্ডায় নতুন ভাবনার খোরাক দিয়ে গেছেন। বিশেষ ভাবে মনে পড়ছে উত্তম দাশ অতীন্দ্রিয় পাঠক সজল বন্দ্যোপাধ্যায় আনন্দ ঘোষহাজরা অজিতেশ ভট্টাচার্য বারীন ঘোষাল স্বপন রায় রঞ্জন মৈত্র প্রনব পাল উমাপদ কর ধীমান চক্রবর্তী প্রবাল বসু কাজল চক্রবর্তী বিশ্বরূপ দে সবকার সন্দ্বীপ দত্ত … আরও কত কবি ও লিটল ম্যাগাজিন করা মানুষজন।
দীর্ঘ সময়ে এ যেন এক অনিবার স্রোত। পুরনো মুখ সরে গিয়ে নতুন মুখ এসেছে। কিছু পুরনো মুখ আবার ফিরে এসেছে কবিতায়। প্রতি রবিবারের আড্ডায় অনেকেই এসেছে দূর থেকে। মালবাজারের সব্যসাচী ঘোষ ময়নাগুড়ির দুর্জয় দাস । মেয়েরা ঘর সংসার সামলে প্রতি রবিবারে না পারলেও সুবিধে মত আড্ডায় চলে আসে। অনিন্দিতা গুপ্তরায় জয়শীলা গুহবাগচী শ্রেয়সী গাঙ্গুলী অর্পিতা বাগচির মত অনেকেই আছে এই তালিকায়। ১/
এই আড্ডায় নাটক আবৃত্তি ছবি আঁকিয়ে গাইয়ে সবার জন্যই অবারিত দ্বার। শুধু কবিতামনস্ক হলেই হল।এই আড্ডা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে করলাভ্যালী, নীর, অ পূ র কাগজ প্রকাশিত হয়েছে তাও কি কম আনন্দের। এই আড্ডার ইচ্ছাতেই প্রকাশিত হল জল্প ই পত্রিকা। নতুন লিখতে আসা কয়েকজন শুরু করল।এই পত্রিকা এখন অনেকেরই আগ্রহের বিষয়।
যে আড্ডা স্বাভাবিক ভাবে চলা শুরু করেছিল তার গতিও স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বাভাবিক। প্রতি রবিবারে মত আগামী প্রতিটি রবিবারও আড্ডায় আমাদের অপেক্ষা থাকবে নতুন কবির জন্য।
No comments:
Post a Comment