উত্তর পূর্বের কবিতা
বসন্ত ও কুয়াশা
শতদল আচার্য
শিলচরে বসন্তে ও কুয়াশা নামে
কুয়াশা ভরা ভোরে
তোমার গাড়িতে এয়ারপোর্ট ।
যারা জানে না ,জীবনযাপন
প্রেম নামক শব্দটির সংজ্ঞা।
কথা বলা কয়েকটা মুহূর্ত
অনন্ত আকাশ জুড়ে ভালবাসা হয়
কিছু ভালবাসার গল্প ভেবে
বিকেলে ঘুমিয়ে যাওয়া
আমার বসন্ত যাপন ছিল না কোনদিন
বসন্ত নিয়ে এক ছবি ছিল
সমস্ত রাস্তায় পাতায় ঢেকে ,
একা কোন বন্ধুর হেঁটে যাওয়া ।
উত্তরণ
নীলাদ্রি ভট্টাচার্য
উত্তর নেই তবু আশ্রয় আছে
চৌহদ্দিতে এখন অগ্রহায়ণ শীত
বৈঠা তুলে অভিনব তুলতুল রোদ
ছোটো নৌকো
সুতোর মতো জলে গাঁথা।
দুপুরের চোখের ভেতর
পালিয়ে যাচ্ছে সাড়ে তিন হাতের ধোঁয়ায়
আবৃত চিনেমাটির গন্ধ অপার।
সেই ঘরে কিছু শাঁখের সন্ধে
বাতাসে কাঁপে
নিয়মিত গোপন স্বপ্নের তেমাথা
উপরে দাঁড়িয়ে আছে অবাক সন্ন্যাস
দুপাড়ে মাটি চাপা হৃদয়ের ঘাম।
খোঁজ
দেবাশিস সায়ন চক্রবর্তী
উত্তর কেনো চাও হে পরমাত্মার শৈশব
স্বাধিষ্ঠানে আমিত্বের গোড়ামি ভাসে,
পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ পড়ে মানসিকতা নরপিশাচ!
বৈষম্যের শ্লোগান আর পুকুর চুরি হরদম,
এই বল্কল গুলো উপড়ে ফেলি এসো।
ইন্দ্রি়য় শোধন করে নাও আয়না দেখে—
আনন্দ প্রেম, ভিক্ষা চাই তার কাছে চলো—
নিত্য শুদ্ধ অলিপান করে হারাই কেন?
এসো দুহাত তুলে বলি
“সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম”।
জন্ম বিজ্ঞানময়, জীবন রহস্যময়’
আর মৃত্যু সে তো চিদানন্দময়—
মৃত্যুকে, ভালোবেসে।
বিজয় ঘোষ
অন্তহীন মৃত্যুর খোঁজে ঘুরে বেড়াই। সে নিঃশ্বাস ফেলে।ঈষৎ উষ্ণ সেই শ্বাস।আমি ভয় পাই!অথচ মৃত্যু এক চরম সত্য। আমি জানি জন্ম নাও হতে পারে। কিন্তু মৃত্যু...
বৈশাখের নতুন সকাল।কত ফুল।অজস্র ভালোবাসা আর ফুলম গামোছা।
এরই মধ্যে মৃত্যু চেয়ে থাকে স্থির চোখে-----
তখন মনে হয় আমিও তাকে ভালোবাসি ইশারায় জানিয়ে দিই সে ভালোবাসার কথা...
বসন্ত ও কুয়াশা
শতদল আচার্য
শিলচরে বসন্তে ও কুয়াশা নামে
কুয়াশা ভরা ভোরে
তোমার গাড়িতে এয়ারপোর্ট ।
যারা জানে না ,জীবনযাপন
প্রেম নামক শব্দটির সংজ্ঞা।
কথা বলা কয়েকটা মুহূর্ত
অনন্ত আকাশ জুড়ে ভালবাসা হয়
কিছু ভালবাসার গল্প ভেবে
বিকেলে ঘুমিয়ে যাওয়া
আমার বসন্ত যাপন ছিল না কোনদিন
বসন্ত নিয়ে এক ছবি ছিল
সমস্ত রাস্তায় পাতায় ঢেকে ,
একা কোন বন্ধুর হেঁটে যাওয়া ।
উত্তরণ
নীলাদ্রি ভট্টাচার্য
উত্তর নেই তবু আশ্রয় আছে
চৌহদ্দিতে এখন অগ্রহায়ণ শীত
বৈঠা তুলে অভিনব তুলতুল রোদ
ছোটো নৌকো
সুতোর মতো জলে গাঁথা।
দুপুরের চোখের ভেতর
পালিয়ে যাচ্ছে সাড়ে তিন হাতের ধোঁয়ায়
আবৃত চিনেমাটির গন্ধ অপার।
সেই ঘরে কিছু শাঁখের সন্ধে
বাতাসে কাঁপে
নিয়মিত গোপন স্বপ্নের তেমাথা
উপরে দাঁড়িয়ে আছে অবাক সন্ন্যাস
দুপাড়ে মাটি চাপা হৃদয়ের ঘাম।
খোঁজ
দেবাশিস সায়ন চক্রবর্তী
উত্তর কেনো চাও হে পরমাত্মার শৈশব
স্বাধিষ্ঠানে আমিত্বের গোড়ামি ভাসে,
পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ পড়ে মানসিকতা নরপিশাচ!
বৈষম্যের শ্লোগান আর পুকুর চুরি হরদম,
এই বল্কল গুলো উপড়ে ফেলি এসো।
ইন্দ্রি়য় শোধন করে নাও আয়না দেখে—
আনন্দ প্রেম, ভিক্ষা চাই তার কাছে চলো—
নিত্য শুদ্ধ অলিপান করে হারাই কেন?
এসো দুহাত তুলে বলি
“সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম”।
জন্ম বিজ্ঞানময়, জীবন রহস্যময়’
আর মৃত্যু সে তো চিদানন্দময়—
মৃত্যুকে, ভালোবেসে।
বিজয় ঘোষ
অন্তহীন মৃত্যুর খোঁজে ঘুরে বেড়াই। সে নিঃশ্বাস ফেলে।ঈষৎ উষ্ণ সেই শ্বাস।আমি ভয় পাই!অথচ মৃত্যু এক চরম সত্য। আমি জানি জন্ম নাও হতে পারে। কিন্তু মৃত্যু...
বৈশাখের নতুন সকাল।কত ফুল।অজস্র ভালোবাসা আর ফুলম গামোছা।
এরই মধ্যে মৃত্যু চেয়ে থাকে স্থির চোখে-----
তখন মনে হয় আমিও তাকে ভালোবাসি ইশারায় জানিয়ে দিই সে ভালোবাসার কথা...
No comments:
Post a Comment