গল্প
মৃণালিনীর লেখা
আমি লেখাটি ফিরিয়ে দিতেই বলল, "কেন ছোট হয়ে গিয়েছে, ছাপতে শুরুকরুক, আমি মানে আমার সব সব ঘটনালিখলে একটা চমকপ্রদ উপন্যাস হবে।জানো তো সবাই জানতে চায় সত্যি কথা।মিথ্যে পরিবর্তন ও সময় অনুযায়ী গতিশীলহলেও সবাই চায় প্রকৃত সত্য জানতে। তাইএই কাহিনি ছাপা হলে সময় মানুষ ওসামাজিক অবস্থায় উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।মানুষ জানবে এক অদ্ভুত সত্য কথা।"
মৃণালিনীর লেখা
"চিতা থেকে বলছি"
সবাই জিজ্ঞেস করে কবে থেকেলিখতে শুরু করেছি? কেউ কোন দিনজিজ্ঞেস করেনি কবে থেকে তিলে তিলেপ্রশ্ন ও তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গবাণ, সমাজ ওপারিপার্শ্বিকতার স্লো প্রয়োজন শিরায়শিরায় জমে পলিমাটিতে ভরাট করেফেলেছে। বাবার মৃত্যুর পর সব হারিয়েএকমাত্র পরিবার। সমাজের সহানুভূতি,পুলিশের পকেট ভারী করে রিপোর্টে ঘুষনেবার সততা ভরা চোখের দৃষ্টি,রাজনীতিজ্ঞদের দরজায় ঘুরে পরমাত্মারউপদেশ "সব ভুলে যাও" শুনে শুনে একটিমানুষ কী করতে পারে?
বালিসের তুলো জমে শক্ত হয়ে গিয়েছ।ক্ষমতায় উপবেশনকারীদের দেখা যায়সমাজের জন্যে রক্ত দান, বিভিন্ন স্কুলেগিয়ে প্রাইজ বিতরণ, স্টে জে সমাজ ওদেশের কল্যাণ সাধনে দামি সুট, সোনারঘড়ি নাড়িয়ে নাড়িয়ে বক্তব্য মোড় বদল,বাড়িতে মহাধুমধামে কুকুরের জন্মদিনপালন করতে...আসলে দেশ দশের আত্মারশান্তি নয়, আত্নপ্রচার।" এক দু মিনিটেরমধ্যে কথাগুলো বলতে বলতে পুরোএকপাতা লিখে আমায় দেখিয়ে বলল, "নাও এই লেখা। বিশুদ্ধ সত্য, একবিন্দুডালডা নেই।"পরে দেখলাম প্রত্যেকটিলাইন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও সেই সময়েরবাস্তব দলিল।
আমি লেখাটি ফিরিয়ে দিতেই বলল, "কেন ছোট হয়ে গিয়েছে, ছাপতে শুরুকরুক, আমি মানে আমার সব সব ঘটনালিখলে একটা চমকপ্রদ উপন্যাস হবে।জানো তো সবাই জানতে চায় সত্যি কথা।মিথ্যে পরিবর্তন ও সময় অনুযায়ী গতিশীলহলেও সবাই চায় প্রকৃত সত্য জানতে। তাইএই কাহিনি ছাপা হলে সময় মানুষ ওসামাজিক অবস্থায় উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।মানুষ জানবে এক অদ্ভুত সত্য কথা।"
কাগজটি ফিরিয়ে দিয়ে বললাম,আমি তো সম্পাদক নই। একজন সাধারণলেখিকা। একটু হেসে বললাম, আপনারগল্পে বিশুদ্ধতার পরিমাণ এতো বেশি যেকোন সম্পাদকের হজম হবে না মানে তিনিমতেই ছাপতে রাজী হবেন না। যদি ছেপেওদেয় তাহলে পাঠকের কাছে মুখোরচকগল্পগুজব ছাড়া আর কোন প্রতিক্রিয়াপাওয়া যাবে না।বলে আমি উঠতেই যাবএমন সময়ে লক্ষ্য করলাম মুহূর্তের মধ্যেতিনি তার সামনের বড় বড় দাঁত বের করেরক্তাভ চোখে কর্কশ গলায় বলল, কাহিনিরশুরুর অংশটুকু পরেই হো্... । আমি আরতার দিকে তাকিয়ে দেখলাম না এবং আমিযে চলে যাচ্ছি এইটুকু ও না বলে সোজাসামনের দিকে হাঁটতে হাঁটতে তারকথাগুলো শুনতে পেলাম। একবার মনেহল ফিরে যাই কিন্তু শীতের রাতে আবার,অনেকটা এগিয়ে এসেছি তখনও তিনিচিকার করে বলছে,যেদিন কাহিনির শেষলেখা হবে... আমার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেআমার জীবন আমার প্রতিবাদের সমাপ্তিএকটি যুগের সমাপ্তি রচিত হবে তখন এসেচাইলেও আমি দেব না, কোনমতেই দেবনা।
No comments:
Post a Comment