উত্তর পূর্বাঞ্চলের কবিতা
শূন্য অথবা তারার গল্প
বিজয় ঘোষ
এক
কিছু কিছু দুঃখ আছে বলে
এখনো বেঁচে থাকা
কিছু কিছু সুখ আছে বলে
প্রতিস্রোতে নৌকো বাওয়া ।
দুটি
জীবনটা ছোট হতে হতে
জল শূন্য পাত্র হয়ে যায়
আমি থাকি শুধু শিশিরের প্রতীক্ষায় !
তিন
ইচ্ছেরা পাখি হয়ে উড়ে যাক
মুঠোয় রেখেছি একটিপালক
চার
মন্ত্র পড়ে বৃষ্টি নামাতে পারি
বশীকরণ বিদ্যা জানা নেই
পাঁচ
অনুপমা বড় বেশি ছিচ্ কাঁদুনে
থেকে থেকে হলুদ-চিঠি পাঠায়
বর্ণমালা চোখের জলে
বসন্ত আঁকে---
ছয়
এই মাত্র যে তারাটি খসে পড়লো
তার নাম অনুপমা
সাত
জমে থাকা শিশির কুয়াশা হয়
হারিয়ে যাওয়া ট্রেনের জানালায়
আবছা একটি মুখ
অনুপমা !
কিছু বলার ছিল না
শিবাশিস চট্টোপাধ্যায়
থমকে দাঁড়াল একটু, ফোঁস করল না
আমাকে দুভাগ করে ঢুকে গেল
আমার ভিতরে
কতটা ভিতরে গেল জিজ্ঞাসা করো না
চড়াই উতরাই ভেঙে কতটা গভীর হয় চলা
জিজ্ঞাসা করো না
কতটা বাইরে আমি
কতটা ভিতরে আছি বরফশীতল
প্রশ্নে জমে ছিল শীত...
দাঁড়িয়ে দেখলাম, কিছু বলার ছিল না
খবর
অমলকান্তি চন্দ
জানালার নেটে ঠোঁট ঢুকিয়ে দেয়
গোলাপী রঙের চিকন পাখীটা ।
সারারাত হাপরে শ্বাস নেয়,
চঞ্চল বুকে মৃদু উঠানামা সজাগ প্রহরে।
ডানাতে আড়াল করে রাখে জীবনের মিঠেল স্রোত
তোমার ভাললাগা কিছু রাএি ঘ্রাণ ।
পায়ে পায়ে হাজারো মানুষের ভীড়ে
ভালবাসার রং ছড়িয়ে দিয়ে আকাশে ,প্রেয়সীর মত
কতকাল জড়িয়ে থাকে আমার বুকের গহনে।
দহনে আকাশ পুড়ায়
পুড়ায় পাখীচোখ, তোমার বুকে কলিঙ্গ যন্ত্রণা ।
এরাতের সুখও অসুখের খবর কেবল ভেসে আসে…..
আশ্রয়
নীলাদ্রি ভট্টাচার্য
মিলন হবে না জানি
তবু হলে বলবো জল দাও
শূণ্যের ওপাশে একটি গাছ
গাছের নিচে একটি মাদুর
মাদুরে জ্যান্ত পীঠের ঘাম |
মিলন হবে না জানি
তবু হলে বলবো ঘুম দাও
শূণ্যের ওপাশে একটি কাঠ
কাঠে জ্যান্ত আগুন ।
অদ্ভুত
সঙ্গীতা নাথ
ইতিহাস বলে না কিছুই ,
ইতিহাসের শুধু বদল ঘটে ।
আজ আমি বসে পড়ছি ইতিহাস,
কাল আমি নিজেই হয়ে যাবো ইতিহাস।
সময়ের তারতম্যে বদলে যায় সবই ।
শুধু বদলায় না অলস মানসিকতা,
বদলায় না নিত্যদিনের সাথী মলিন মানসিকতা।
ইন্টারনেট সাঁতরে খুঁজে নিতে পারি,
বিশ্বের নিত্য নতুন ঘটনা প্রবাহ ,
কিন্তু মনটা পড়ে থাকে সেই
মহম্মদ বিন তুঘলক এর রাজত্বে ।
কথার যুদ্ধে করে যাই রাজ্য জয় ।
মুখোশ পরা মনটা থেকে যায়
আদিম যুগের পাথরের খাঁজে খাঁজে।
চকমকি পাথর ঠুকে আজ আর আসে না আলো,
তাই মন থেকে যায় আঁধারে , সেটাই নাকি ভালো।
শূন্য অথবা তারার গল্প
বিজয় ঘোষ
এক
কিছু কিছু দুঃখ আছে বলে
এখনো বেঁচে থাকা
কিছু কিছু সুখ আছে বলে
প্রতিস্রোতে নৌকো বাওয়া ।
দুটি
জীবনটা ছোট হতে হতে
জল শূন্য পাত্র হয়ে যায়
আমি থাকি শুধু শিশিরের প্রতীক্ষায় !
তিন
ইচ্ছেরা পাখি হয়ে উড়ে যাক
মুঠোয় রেখেছি একটিপালক
চার
মন্ত্র পড়ে বৃষ্টি নামাতে পারি
বশীকরণ বিদ্যা জানা নেই
পাঁচ
অনুপমা বড় বেশি ছিচ্ কাঁদুনে
থেকে থেকে হলুদ-চিঠি পাঠায়
বর্ণমালা চোখের জলে
বসন্ত আঁকে---
ছয়
এই মাত্র যে তারাটি খসে পড়লো
তার নাম অনুপমা
সাত
জমে থাকা শিশির কুয়াশা হয়
হারিয়ে যাওয়া ট্রেনের জানালায়
আবছা একটি মুখ
অনুপমা !
কিছু বলার ছিল না
শিবাশিস চট্টোপাধ্যায়
থমকে দাঁড়াল একটু, ফোঁস করল না
আমাকে দুভাগ করে ঢুকে গেল
আমার ভিতরে
কতটা ভিতরে গেল জিজ্ঞাসা করো না
চড়াই উতরাই ভেঙে কতটা গভীর হয় চলা
জিজ্ঞাসা করো না
কতটা বাইরে আমি
কতটা ভিতরে আছি বরফশীতল
প্রশ্নে জমে ছিল শীত...
দাঁড়িয়ে দেখলাম, কিছু বলার ছিল না
খবর
অমলকান্তি চন্দ
জানালার নেটে ঠোঁট ঢুকিয়ে দেয়
গোলাপী রঙের চিকন পাখীটা ।
সারারাত হাপরে শ্বাস নেয়,
চঞ্চল বুকে মৃদু উঠানামা সজাগ প্রহরে।
ডানাতে আড়াল করে রাখে জীবনের মিঠেল স্রোত
তোমার ভাললাগা কিছু রাএি ঘ্রাণ ।
পায়ে পায়ে হাজারো মানুষের ভীড়ে
ভালবাসার রং ছড়িয়ে দিয়ে আকাশে ,প্রেয়সীর মত
কতকাল জড়িয়ে থাকে আমার বুকের গহনে।
দহনে আকাশ পুড়ায়
পুড়ায় পাখীচোখ, তোমার বুকে কলিঙ্গ যন্ত্রণা ।
এরাতের সুখও অসুখের খবর কেবল ভেসে আসে…..
আশ্রয়
নীলাদ্রি ভট্টাচার্য
মিলন হবে না জানি
তবু হলে বলবো জল দাও
শূণ্যের ওপাশে একটি গাছ
গাছের নিচে একটি মাদুর
মাদুরে জ্যান্ত পীঠের ঘাম |
মিলন হবে না জানি
তবু হলে বলবো ঘুম দাও
শূণ্যের ওপাশে একটি কাঠ
কাঠে জ্যান্ত আগুন ।
অদ্ভুত
সঙ্গীতা নাথ
ইতিহাস বলে না কিছুই ,
ইতিহাসের শুধু বদল ঘটে ।
আজ আমি বসে পড়ছি ইতিহাস,
কাল আমি নিজেই হয়ে যাবো ইতিহাস।
সময়ের তারতম্যে বদলে যায় সবই ।
শুধু বদলায় না অলস মানসিকতা,
বদলায় না নিত্যদিনের সাথী মলিন মানসিকতা।
ইন্টারনেট সাঁতরে খুঁজে নিতে পারি,
বিশ্বের নিত্য নতুন ঘটনা প্রবাহ ,
কিন্তু মনটা পড়ে থাকে সেই
মহম্মদ বিন তুঘলক এর রাজত্বে ।
কথার যুদ্ধে করে যাই রাজ্য জয় ।
মুখোশ পরা মনটা থেকে যায়
আদিম যুগের পাথরের খাঁজে খাঁজে।
চকমকি পাথর ঠুকে আজ আর আসে না আলো,
তাই মন থেকে যায় আঁধারে , সেটাই নাকি ভালো।
No comments:
Post a Comment