মানিক আহমেদের দুটি কবিতা
একটা ফিনিক্স পাখি উড়ে যায় দূরে,
কোথাও খাঁ খাঁ রোদ্দুরে; রোদের গরমে ভিজি চুপচাপ ।
(১)
জানালা
উত্তরের জানালা ক'দিন খুলতে পারিনা;
তোমার মত ঠান্ডা বাতাস হু হু করে কানে হিম ছড়িয়ে মারে
তোমার মত ঠান্ডা বাতাস হু হু করে কানে হিম ছড়িয়ে মারে
আজ সাতাশ, এরপর বাতাস আরো তীব্র হতে হতে উড়িয়ে নেবে
প্রিয় বারান্দার কুসিম্বী লতা, প্রিয় হেমন্ত, কুদফুলের সাতটি পাপড়ি;
প্রিয় বারান্দার কুসিম্বী লতা, প্রিয় হেমন্ত, কুদফুলের সাতটি পাপড়ি;
ভেবেছিলাম, দক্ষিণমুখী জানালাটা আজ খুলেই দেই- রোদে পোড়া চোখ মাঝ রাতে
আধেক চাঁদে চন্দ্রাহত হোক ।
আধেক চাঁদে চন্দ্রাহত হোক ।
উত্তরের হাওয়া আর দক্ষিণ জানালা পরস্পর নরপতির মত আচরণ দেখে মনে হচ্ছে,
আমায় নাগরিকত্ব না দিলে জানালা খুলে দিতে পারিনা,
বাতাসের কী স্পর্ধা!
আমায় নাগরিকত্ব না দিলে জানালা খুলে দিতে পারিনা,
বাতাসের কী স্পর্ধা!
বাড়োয়ারি ঋতু আর তোমার মত ঠান্ডা দেবশিশু আমায় জানালায় আটকে রাখে;
পুড়ে যেতে ভালো লাগে রোদে বা শীতের হিম কুয়াশায়;
পুড়ে যেতে ভালো লাগে রোদে বা শীতের হিম কুয়াশায়;
তবু জানালা খোলা চাই ।
(২)
বেহিসেবি প্রেম
হলুদ বসন্ত আর এতশত চৈত্র-বৈশাখ পেরুল তোমার কাছে ফিরি কী ভাবে?
টের পাই, পার্থিব জীবনে বেহিসেবি প্রেম বুকের গহীনে;
বাইরে সেতারের সুরে ঝর ঝর শব্দে বৃষ্টি নেমেছে
ইচ্ছে আমার, রাস্তায় নেমে খালি পায়ে হেঁটেহেঁটে ভিজে হই চু্ঁর..আসবে?
এসো, আজ না হয় কাদাজলে ভিজে যাই…
বুনোজল লাগুক দুজনার গায় তাতে কী এসে যায়?
ইচ্ছে আমার, রাস্তায় নেমে খালি পায়ে হেঁটেহেঁটে ভিজে হই চু্ঁর..আসবে?
এসো, আজ না হয় কাদাজলে ভিজে যাই…
বুনোজল লাগুক দুজনার গায় তাতে কী এসে যায়?
একটা ফিনিক্স পাখি উড়ে যায় দূরে,
কোথাও খাঁ খাঁ রোদ্দুরে; রোদের গরমে ভিজি চুপচাপ ।
পলিমাটি পোয়াতি হলে, সময় উড়ে যায় অতীতের ক্ষয়িষ্ণু মেঘে..
ঘুঙুরচোখে হলুদবসন্ত ডানা ঝাপটায়;
যারা যায় অদম্য বিষণ্ণতায় তারা ফেরে না কখনো,
না ফিরুক; আমি ঠাঁয় দাঁড়িয়েছি পাখির চোখে স্মৃতির কোলাজে;
যারা যায় অদম্য বিষণ্ণতায় তারা ফেরে না কখনো,
না ফিরুক; আমি ঠাঁয় দাঁড়িয়েছি পাখির চোখে স্মৃতির কোলাজে;
তোমার হাস্যমুখ, গভীর চাহনী, অতলপ্রেম ছাড়া
আমার প্রেম বিধ্বস্ত.. বড় বেহিসেবি ।
আমার প্রেম বিধ্বস্ত.. বড় বেহিসেবি ।
No comments:
Post a Comment