আঞ্জুমান রোজির দুটি কবিতা
১। কালের অভিযাত্রী
আমাকে দেখো ভিন্ন কোনো চোখে
যেখানে আলো এসে খেলা করে।
আমাকে দেখো সূর্যতাপে
যেখানে হৃদয়টা পোড়ে অকপটে।
আমাকে দেখো নদীর মোহনায়
যেখানে কথা হবে জলেরছাটে।
আমাকে দেখো সবুজ ঢেউয়ে
দোল খাবো নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে।
আমাকে দেখো লাউয়ের মাচায়
যেখানে দেহলতা গড়িয়ে পড়ে।
আমাকে দেখো বাঁশঝাড়ে
যেন জড়িয়ে থাকি একে অপরে।
আমাকে দেখো নদীর ঢেউয়ে
যেন কেঁপে উঠি ক্ষণেক্ষণে
তোমার ছোঁয়াতে।
আমাকে খুঁজো না মানুষের ভিড়ে
খুঁজো না ইটপাথরে
খুঁজো না ধোঁয়া ওঠা নগরীতে
যদি খোঁজো, হারিয়ে যাবো তেপান্তরে
দিগন্তছোঁয়া কোনো পাহাড়ের ঢালে।
যদি ওখানে আসো, ছুঁয়ে দেখো আমায়
এখানে পাহাড়ও কথা বলে, কথা বলে নদী,
সবুজ নির্জনতা ভেদ করে আমরা
দুজনা হয়ে যাবো কালের অভিযাত্রী।
২।প্রাগৈতিহাসিক ভাবনা
আমি কিচ্ছু চাইনে। শুধু চাই,
কেউ একজন আমাকে নিয়ে ভাবুক
চোখবন্ধ করে আমাকে দেখুক
হাতে হাত রেখে পায়ে পায়ে
নিয়ে যাক অন্যকোথাও
অন্যকোনো কল্পরাজ্যে।
আমি কিচ্ছু চাইনে। শুধু চাই,
কেউ একজন দূর থেকে জিজ্ঞেস করুক,
'কেমন আছো তুমি!'
দিনশেষে অনুভবে প্রশান্তি ছুঁয়ে যাক।
আমি বুঝতে পারি
কেউ ভাবছে আমাকে নিয়ে
আমি বুঝতে পারি
কেউ ভালোবেসে যাচ্ছে গোপনে।
আমি বুঝতে পারি, একটি ছায়া
দিনমান পিছুপিছু ছুটে।
হাতের মুঠোয় এসে খেলা করে
আকাশ দূরত্বে হৃদয়
নিঃসঙ্গতার একতাল চাঁদ
আলো দেয় ঘরময়।
যদিও সব নক্ষত্র থাকে যে যার মতো দূরে দূরে
চিরকাল দূরে থেকে ভাবে শ্বাসরোধী মিলনের কথা |
No comments:
Post a Comment