দুটি কবিতা
মঈনুস সুলতান
ভাবনার সাথে দৃশ্যের বিবাদ ভঞ্জন
সময় ফুরিয়ে এসেছে..শেষ করে লেনদেন
বন্ধ করতে হয় এবার দোকানপাট,
কী মেহনতে না খুঁড়েছি পুকুর এক
ঘাই মারে হালফিল রূপার রুইমাছ
ঘাসে কী ভরে যাবে আমার বাঁধানো ঘাট
লকলকিয়ে ওঠেছে বেড়ে কৃষ্ণচূড়ার সোমত্থ গাছ।
তুমি তো দেখেছো- উনসত্তরের গরিবানা ছনের ঘর
বছর তিরিশেকে হলো টিনের চারচালা
খুব কী বেশীদিন আগের কথা
পুকুরের পাড়ে বসতো যাত্রার পালা।
আর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ত্রিপুরায় যাবো
উনকোটে পাথরের গড়ুড় পাখি,
ষাড়েরগজ পাহাড়ে খাসিয়াবাড়ির সিঁড়ি বাওয়া
তোমাকে নিয়ে লালবাগের বারুণীতে যাওয়া,
বোধ করি থেকে গোলো তাবৎ কিছু বাকি।
কলকাতা থেকে খুব বেশী দূরে তো নয় মুর্শিদাবাদ
দেখা আর হলো কই..হাজার দুয়ারী
আমের বাগিচায় ইংরেজের সাথে নবাবের বিবাদ;
মেয়ের নামে ভেবেছিলাম করে যাবো ছোট্ট এক লাইব্রেরী
বইগুলো দিলে না তো তুমি জোগাড় করে
হলো না গোছানো কিছু তার আগেই
বেজে ওঠলো চলে যাওয়ার ভেরী;
না হয় গেলাম ই-বা সময়ের একটু আগে
নেই কোন খেদ,
একটি কথা যেও না ভুলে..সারাজীবন চেয়েছি আমি
গোছাতে মানুষের ভেদাভেদ;
আরেকটি কথা বলে যাই
তোমার সরল সিধা সুহৃদ আমি শিশির রঞ্জন,
অঘাটায় ভেসো না আর..পারো তো করো
ভাবনার সাথের দৃশ্যের বিবাদ ভঞ্জন।
খোয়াবের মাউন্ট মিরাপি
আরশিতে দেখি আমার অক্ষিগোলকে
জমছে স্ফটিকের বিন্দু- ছড়াচ্ছে রূপালি আভা,
ঝরা পাতার উপর দিয়ে হাঁটে আবির মাখা সাপ
খোয়াবের মাউন্ট মিরাপিতে উদগরিন হয় লাভা।
নিদ্রায় শুনি পুলিশের বেফজুল বিভ্রান্ত বাঁশি
তীর্থযাত্রীরা তুষার পাড়ি দিয়ে পৌঁছে হরিদ্বার,
প্রত্যাশার নীলগিরিতে নামে পাথরের ধ্বস
উচ্চাশার থার্মমিটার ভেঙ্গে পারদ হয় ছারখার।
আমার ভেতরে জমে রাজ্যের বিভ্রান্তি
অবগাহনে আমার অশ্রু ছোঁয় পুকুরের শাপলা,
মাউন্টেন বাইক কর্দমে দাগ কেটে এগোয়
হারিয়ে মানচিত্র সড়কের বাঁকে থামে পথচলা।
রোদের তরুণ সয়লাবে আমার অশ্রু হয় বাষ্প
মেঘের পরমাণুতে মিশে জুড়ায় স্নায়ুর ক্লান্তি,
স্বাতী নক্ষত্র প্রতিফলিত হয় আসমানী তুষারে
সুমাত্রার মন্দিরে সন্ন্যাসীরা জপে শান্তি-রস্তু-শান্তি।
বৃষ্টি হই আমি, ছুঁই আবার পৃথিবীর পাললিক মৃত্তিকা
ঝরাপাতার পুষ্টিতে জমিনে ফুটে অর্কিডের কুসুম,
ফিরে আসি-তসবিরের রেখায় হয় রঙের বিবর্তন
বৃক্ষ বাড়ে-নীড়ের ডিমে বসে মা সারস ছড়ায় উম।
মঈনুস সুলতান
ভাবনার সাথে দৃশ্যের বিবাদ ভঞ্জন
সময় ফুরিয়ে এসেছে..শেষ করে লেনদেন
বন্ধ করতে হয় এবার দোকানপাট,
কী মেহনতে না খুঁড়েছি পুকুর এক
ঘাই মারে হালফিল রূপার রুইমাছ
ঘাসে কী ভরে যাবে আমার বাঁধানো ঘাট
লকলকিয়ে ওঠেছে বেড়ে কৃষ্ণচূড়ার সোমত্থ গাছ।
তুমি তো দেখেছো- উনসত্তরের গরিবানা ছনের ঘর
বছর তিরিশেকে হলো টিনের চারচালা
খুব কী বেশীদিন আগের কথা
পুকুরের পাড়ে বসতো যাত্রার পালা।
আর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ত্রিপুরায় যাবো
উনকোটে পাথরের গড়ুড় পাখি,
ষাড়েরগজ পাহাড়ে খাসিয়াবাড়ির সিঁড়ি বাওয়া
তোমাকে নিয়ে লালবাগের বারুণীতে যাওয়া,
বোধ করি থেকে গোলো তাবৎ কিছু বাকি।
কলকাতা থেকে খুব বেশী দূরে তো নয় মুর্শিদাবাদ
দেখা আর হলো কই..হাজার দুয়ারী
আমের বাগিচায় ইংরেজের সাথে নবাবের বিবাদ;
মেয়ের নামে ভেবেছিলাম করে যাবো ছোট্ট এক লাইব্রেরী
বইগুলো দিলে না তো তুমি জোগাড় করে
হলো না গোছানো কিছু তার আগেই
বেজে ওঠলো চলে যাওয়ার ভেরী;
না হয় গেলাম ই-বা সময়ের একটু আগে
নেই কোন খেদ,
একটি কথা যেও না ভুলে..সারাজীবন চেয়েছি আমি
গোছাতে মানুষের ভেদাভেদ;
আরেকটি কথা বলে যাই
তোমার সরল সিধা সুহৃদ আমি শিশির রঞ্জন,
অঘাটায় ভেসো না আর..পারো তো করো
ভাবনার সাথের দৃশ্যের বিবাদ ভঞ্জন।
খোয়াবের মাউন্ট মিরাপি
আরশিতে দেখি আমার অক্ষিগোলকে
জমছে স্ফটিকের বিন্দু- ছড়াচ্ছে রূপালি আভা,
ঝরা পাতার উপর দিয়ে হাঁটে আবির মাখা সাপ
খোয়াবের মাউন্ট মিরাপিতে উদগরিন হয় লাভা।
নিদ্রায় শুনি পুলিশের বেফজুল বিভ্রান্ত বাঁশি
তীর্থযাত্রীরা তুষার পাড়ি দিয়ে পৌঁছে হরিদ্বার,
প্রত্যাশার নীলগিরিতে নামে পাথরের ধ্বস
উচ্চাশার থার্মমিটার ভেঙ্গে পারদ হয় ছারখার।
আমার ভেতরে জমে রাজ্যের বিভ্রান্তি
অবগাহনে আমার অশ্রু ছোঁয় পুকুরের শাপলা,
মাউন্টেন বাইক কর্দমে দাগ কেটে এগোয়
হারিয়ে মানচিত্র সড়কের বাঁকে থামে পথচলা।
রোদের তরুণ সয়লাবে আমার অশ্রু হয় বাষ্প
মেঘের পরমাণুতে মিশে জুড়ায় স্নায়ুর ক্লান্তি,
স্বাতী নক্ষত্র প্রতিফলিত হয় আসমানী তুষারে
সুমাত্রার মন্দিরে সন্ন্যাসীরা জপে শান্তি-রস্তু-শান্তি।
বৃষ্টি হই আমি, ছুঁই আবার পৃথিবীর পাললিক মৃত্তিকা
ঝরাপাতার পুষ্টিতে জমিনে ফুটে অর্কিডের কুসুম,
ফিরে আসি-তসবিরের রেখায় হয় রঙের বিবর্তন
বৃক্ষ বাড়ে-নীড়ের ডিমে বসে মা সারস ছড়ায় উম।
No comments:
Post a Comment