Wednesday, October 2, 2019

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য


ভাগাড়

সে ছেড়ে গেলে দীর্ঘ হয় ভাগাড়ের পরিসর
সে রাতভর জেগে ভূত শিকার করে
সে তুলতুলে ত্বকে শ্যাওলার বিস্তার চিনে চুর
সে একা উদ্ভিদ রূপে বেড়ে নুয়ে পড়ে এখানে
সে কান্না আর উল্লাসের প্রতিবিম্বে বেগুনি কীট
সে আর লিখেনি সজলপত্র হরিৎ শয্যাগন্ধ 
সে ধীরে প্রতিস্থাপন করে সূর্যের মধ্যে সুধা
সে ধীরে ধীরে রাত ভেঙে কয়লার পাশে রাখে
সে কয়লার প্রেত ছিঁড়ে তাকায় ধিকিধিক

সে দাঁড়িয়ে থাকে সুন্দরের বিপরীতে আনত
সে ভাগাড়ের পেটে অর্ধমিথ্যা হয়ে উদ্গত




প্ররোচনা

যে প্ররোচনায় আমি খুলেছি অক্লেশে
খুলেছি শিকড়ের অতল শিকল
খুলেছি শাদা মেঘের ভস্ম বাকল
খুলেছি নদীমুখি রাতের করাত
খুলেছি কারো চোখের কাজল
খুলেছি সপ্তগন্ধ তারার হাসি ও কান্না

আমার হাত আঙুলবিহীন
শিকড় খুলে বুঝেছি কীভাবে গাছবন
বাকল খুলে বুঝেছি মেঘের শুদ্ধতা
করাত খুলে বুঝেছি ঘাতকের যন্ত্রণা

যখন কাজল খুলেছি
কাজল হয়েছে দিঘল রাত্রির অভিমান
অভিমানের অধরে নক্ষত্রের ক্ষত
সে রাত্রির দীর্ঘশ্বাস

যে প্ররোচিত করেছিলো
সে কার ছিলো বলেনি তখনো 

No comments:

Post a Comment