Friday, August 30, 2019

এই নিস্তব্ধতা আমরা কেউই চাইনি কোনো দিন
সুভান


শব্দের জন্য আর কোনো অপেক্ষা থাকবে না একদিন জেনেও, প্রেম হেঁটে আসবে পুরোনো করিডোর ধরে, বিচ্ছেদের রঙ পায়ে যেভাবে এসেছিল বসন্ত শেষবার... তেমন ভাবেই পাতাঝড়াকালও এসেছিল... তখন তুমি একটা আলোর রেখার মত ছিলে,  এখন ঝড় আঁছড়ে পড়ে দেহের ভেতর... অন্ধকার আঁছড়ে পড়ে আরেক অন্ধকারের ভেতর... কেন হত্যা হও আচমকা বাতাস, ভোরের পর ভোর পলাতক হও সময়, এভাবে কথা আসে নিয়মমাফিক, পুরোনো পুরোনো.. শ্যাওলা জমা সেসব আধঢাকা আশ্রয় খুলে যায়... রাতের রুমালে কে যেন নোনাজল রেখে যায় অপেক্ষার, এমন রাতের জন্য তার কাছে শরীর খুলে দেওয়া যায় সহজেই, রাত যদিও ভঙ্গুর, ক্ষীণ হয় আজকাল... কথার জন্য গাছ ফুরিয়ে আসে, কি দেখবে তখন? নিষিদ্ধ ফুল? তুমি বরং ফিরে যাও তীক্ষ্ণবিষাদ... চোখের রঙ ভয় পাও? দেখো, এখন ঘুমিয়ে পড়াটা কত সহজ মনে হয়, যত ঘুম আসে কবিতায় শব্দক্ষয় হয়,  অবধারিত একটা নীলস্রোত নেমে আসে, তোমার ভ্রম পার হয়ে আসাটা তাহলে নিতান্তই সহজ... ক্ষতর ভেতর সূর্যাস্ত দেখা যায়।  ছায়া দীর্ঘ হতে হতে ছিঁড়ে যায় দুই প্রান্তে, তাহলে প্রেমই আজও সবচেয়ে সহজ, সহজেই পাথরের গান শোনা যায়.. শূন্যতার দশক থেকে বের করে আনে কবিকে যে কিশোরী, তার বুকে হাত থাক আজ সারারাত... কিশোরী তো আসলে পুতুল, তার ঠোঁটে ফালাফালা নিয়মের সেলাই, তার হাত জুড়ে ঠান্ডা মাটি... গাছের শেকড়.. তার বুকে পাথর ঘষার দাগ দেখে মনে হয়, চোখের জলের ভাষাটাই তবে একমাত্র সহজ ভীষন... কিন্তু চোখ তো কথা বলে, অনর্গল কথা বলে, চোখে কিছু লুকিয়ে রাখা যায় কই, কিশোরী কাছে আসে, বলে কাছে আসাটাও তো কতটা সহজ দেখো কবি... তুমি সহজ বোঝো না? হাতে হাত রাখা সহজ নয়? ঠোঁটে ঠোঁট? কথার সঙ্গম বোঝো কবি? সহজই তো? ভালো সন্ধে নেমে আসে শহরে,  কিশোরী বলে_ "এবার তবে ফিরি... হাসি দিলাম, ঠোঁটে মেখে রেখো..." জল স্থির হয়ে আসে, ধ্বনি কাঁদে বহুদূর... এতই সহজ? এতই সহজ? ফিরে যাওয়া, এতই সহজ... আমি বলি  ফিরে যাও তুমি সত্যি ফিরে যাও, সহজ যখন, ফিরে যাও, কথা ফুরিয়ে এসেছে, মেঘের দাবিও ফুরিয়ে এসেছে এখন চুপ থাকি তবে, কবি বলে_ চুপ থাকা টাই সহজ ভীষন... তবু... এই নিস্তব্ধতা আমরা কেউই চাইনি কোনো দিন।

No comments:

Post a Comment