মুক্তগদ্য (নৈঃশব্দ্য)
ধূলির সরগমে আঁকা আমার স্বাক্ষর
উদয় সাহা
এক.
দুই.
শ্রাবণের শেষে রাস্তার দু'ধারে গড়ে ওঠে পাটকাঠির মিনার। অদূরে জলাভূমির পাশে কিশোরের নতুন গোঁফের মত কাশফুল। কিছু অপাঠ্য ইচ্ছেদের কথা মনে পড়ে। আর ভেবে ভেবে ব্যথা পাই। নক্ষত্রের রাত্রি তবু থাকে। থাকে সজনে গাছের হাওয়ায় রাত্রির অবসান...একটা অনার্ত রাত্রি...
তিন.
যতদূর চোখ যায় ধূধূ প্রান্তর ---আশ্চর্য মাঠ।ছোটবেলায় দেখা সেই চালতাগাছ, ন্যাড়া অশ্বত্থ নিশ্চুপে দাঁড়িয়ে আছে ছায়াঘরের ঝিমবেলায়। রেশমি আলোর বুফেতে ডাকসাইটে চলে আসে তোমার জন্যে আঁকা তুলোবীজ। আমাদের অভ্যর্থনার আকাশ ধূসর ; নিমপেঁচার কনসার্টময়।
চার.
পুকুর, নদী, সাগর যে মুগ্ধরেখায় একসাথে বসবাস করে তার নাম জলপ্রহর। তোমার বুক কিংবা চোখ সেই প্রহর মাখানো শ্রাবণবেলা।
নয় কি? ভেবে দেখো। ভেবে দেখো কতটা গভীরে প্রোথিত হয়েছে স্মৃতিবৃষ্টির টুপটাপ ---চুমুর আগে কাঙাল প্রেমিক ; চুমুর পরে গ্রামদেশ...
পাঁচ.
চলে যাব একদিন। ঘুম পাড়াব আমার ভেতর জাগতে চাওয়া নদীকে। সেদিন খুব শান্ত হব। হৃদয় পথে থমকে যাবে বাতপতাকা আর রুমালের ভাসমান গান। সেদিন আঙিনায় জ্বলবে না সন্ধ্যাবাতি। গোধূলি বাজাবে না শান্ত শাঁখ। নির্লজ্জ চাঁদটা পিছলে যাবে মেঘ থেকে মেঘমল্লারে। শুধু অনুভূত হবে অন্দরমহলের লবণাক্ত জল। টুপ করে খসে পড়বে মরশুমি ফুল... আমি তখন রোদ্দুর হব।
গায়ে কাঁটা দিচ্ছে! অনুভুতির অনুরণন ভেতরে একটা হুহু
ReplyDeleteকান্নার জন্ম দিচ্ছে। যা পেয়েছি আর যা পাইনি তার হিসেব
তোলপাড় হয়ে গেছে তোমার কবিতায় বন্ধু!