হারামি কবিতা
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
৮.
কবরে চোখ রেখে উড়ে যায় বাইকপাখি
এক রক্তাক্ত যীশুকে দেয়ালে বসিয়ে
খসে যায় অসমাপ্ত কদম ফুল বেদনার ঘাসে
হলুদ বর্ণের গান হয় নৈঃশব্দের ভাষায়
পাতলা পর্দাটি কখন লক্ষ্যভেদ করে
অদেখা বাসাটি ঢুকে পড়ে অন্তর্বাসে
কার মর্জি কাকে অমার্জিত করে পাতালের ভিতর জলকথা শোনে
২.
শীতল
মার্চে শীতল অনেক দিন পর
পাতার আড়ালে উঁকি দিচ্ছে
জারুল নীলনবঘন
কালরাতের শিলাবৃষ্টির টিকা
লেগে আছে বসন্ত না আসা ডালে
বেদনার্ত আঁতুড়ঘর
মাটিই মাটি দিয়ে চলেছে
গাছেদের পাড়া
ঘিরে আছে নৈঃশব্দ্য
এতটাই শীতল
কেঁপে ওঠে হত্যাকারীর রু
৩.
দৃশ্যকল্প
নৈঃশব্দ্য পাঠ করি আমার ভিতরের
ঝরে পড়া বিষাদসেলুনে জোছনার সৌন্দর্য
কিছুদুরে জীবনবাবুর তবলা লহৱা
মিশে যায় আরেক তারা আশুদার
রাগাশ্রয়ী গানে
প্রতিদিন খোলা পড়ে গোঁসাইবাগান
ছায়াছাড়া হলুদ ঘাসের পদাবলী
এঁকেবেঁকে যে কেউটে তার গা ছোঁয়
তার যৌন ইতিহাস পড়া হয় নি আর
টুকিটাকি লেখার ভিতর চৈত্রের দুপুর
গাছ চাই , গাছ চাই হাঁকে অবাক জলপান
নাটকের পর- অভাবে
ভাবের ঘরে চুরি করে ফেলে
দৃশ্য নয় দৃশ্যের বাইরে থাকা চোখ
থম বসিয়ে রাখে তবে এ প্রথমবার নয়
No comments:
Post a Comment