Monday, October 26, 2020

 হে ঈশ্বর 

বাপ্পাদিত্য দে



যদি শেষ সম্বলটুকুও কেড়ে নাও 

আমি তোমাতে বিশ্বাস হারাবো। 

আমি খোলা আকাশের নীচে 

শতাব্দীর স্মৃতি হয়ে যাবো।


বিষণ্ণতা দিয়ে গড়েছি এই ঘর

পাজরের হাঁড় দিয়ে বোনা দেওয়াল

আর সম্ভবনাময় ফসলের ক্ষেত

এ সবই আমার শেষ সম্বল। 

যদি শেষ সম্বলটুকুও কেড়ে নাও 

আমি তোমাতে বিশ্বাস হারাবো। 

আমি খোলা আকাশের নীচে 

শতাব্দীর স্মৃতি হয়ে যাবো।


আকাশের নীচে কালো মেঘ।

সেখান থেকেই ঝরেছিল 

অভিশাপের পোড়া জল।

ধ্বংসের হাওয়া মেখে কী আশ্বাসে 

লুঠে নিল প্রকৃতির দল

বিষণ্ণতা দিয়ে গড়া 

আমার এই একচালা ঘর।

যদি শেষ সম্বল টুকুও কেড়ে নাও আমি তোমাতে বিশ্বাস হারাবো। 

আমি খোলা আকাশের নীচে 

শতাব্দীর স্মৃতি হয়ে যাবো।


আমি তো দেখেছি অট্টালিকার অন্ধকার ঘরে নীল জোনাকীর আলো

আকাশ ছোঁয়া প্রাসাদের চূড়া ।

কৈ তাদের চোখে-মুখে তো 

তোমার ধুলো পড়েনি ? 

দেহ-মন দিয়ে সাম্যের গান 

আমিও তো গেয়েছি। 

তবে আমার পথেই কেন এত অন্ধকার ? 

তবু বাঁচার স্বপ্ন দেখি আমি।

তাই বেঁধেছি ঘর তোমাকে আলিঙ্গন করেই। 


আজকাল তুমিও হয়েছ ফন্দিবাজ

কাউকে বিলোচ্ছ মহাভোগ রাজ

কাউকে দিয়েছ ফকিরের সাজ।

থালার ফুটোটা বড় হয়ে উঠলে

জেগে উঠছে ভয়

তোমার দেওয়া এই জন্ম, এই জীবন

থাকবে তো ?


ঐ একরতি মেয়েটি কী জানে,

জীবনের মানে ?

আমি বুঝি ওর উপস্থিতি 

বংশের স্মৃতি... বোঝা হয়ে গেছে

ওর চোখের জল আরও বেশী ভারী 

দুঃখ-কষ্টে, অনাহারে

যদি শেষ সম্বল টুকুও কেড়ে নাও আমি তোমাতে বিশ্বাস হারাবো। 

আমি খোলা আকাশের নীচে 

শতাব্দীর স্মৃতি হয়ে যাবো।


হে ঈশ্বর ...

No comments:

Post a Comment