সুবীর সরকারের দীর্ঘ কবিতা
গদাধরের পাড়ে পাড়ে রে
জলাভূমিতে গা ডোবানো অনন্ত মহিষ
মুছে যাওয়া পায়ের ছাপ ঘুঙুর হয়ে বাজে
ব্রহ্মপুত্রের জলে আমি মিশিয়ে দিয়েছি চোখের
জল
গদাধরের পাড়ে পাড়ে সে এক জীবন ছিল!
লাউখোয়ার বিল থেকে বাতাস
উঠে আসে উঁচু টিলায়
তিনশো বলির দুর্গাপুজোর দেশে ঝাঁক ঝাঁক
লাল টিয়া
কুমার প্রমথেশচন্দ্র বাড়ি ফিরছেন
রানী সরোজবালা নামঘোষা শুনছেন
আসারীকান্দি থেকে লোকমুখোশ নিয়ে
আসছেন নীহার বড়ুয়া
আর আনারস বোঝাই নৌকোগুলির দিকে
তাকিয়ে আছে জংবাহাদুর
রূপসীর জমিদার সারারাত ধরে গান শুনলেন
হাতিক্যাম্পের ফন্দি মাহুতেরা সারারাত জুড়ে
কেবল নাচলেন
বন্দুক ও দোতরা নিয়ে
হাতি ও হাততালি নিয়ে
মেলা ও মহোৎসব নিয়ে
অসামান্য এক রূপকথার জীবন কাটিয়ে গেলেন
লালজি রাজা
এখন টানা বৃষ্টি গিলে খায় গৌরীপুরের হাট
রাজবাড়ীর পুরোন দেয়ালে সেতার ঝুলিয়ে রাখেন কুমার শ্যমলেশ
নিশা রাইতে সারিন্দা বাজান সিতানন্দ
কাঠিঢোল কাঁধে গানবাড়ির দিকে ছুটতে থাকে
বসন্ত মালী
হাতিমাহুতের গান নিয়েই তো অভিমান ভুলতে
হয়েছিল তাকে
চাপা হাসির পাশে সোনার পিকদানি
জনপদের প্রতিটি গল্পের ভেতর ঢুকে পড়ে
গান-
'ও মোর সারিন হাতির মাহুত রে
মোক ছাড়িয়া কেমনে যাইবেন হস্তীর শিকারে'
পাপী ও পাগলের মত আমি সেই স্মৃতিকাতর
শহরে ঘুরে বেড়াই
হেসে ওঠে বিন্নি ধানের খই
থোপা থোপা কাশিয়ার ফুল
হাটে হাটে বিকোতে থাকা শালী ধানের
চিড়া
আমি অন্ধের মতন লিপ্ত হতে থাকি বিলুপ্ত এক
সময়ের সাথে
আর কুয়াশায় ঢেকে যায় প্রতাপ সিং-এর
সমাধি
আর হাতির দাঁতের সেই চিরুণী দিয়ে তুমি চুল
আঁচড়াতে থাকো
গদাধরের পাড়ে পাড়ে রে
জলাভূমিতে গা ডোবানো অনন্ত মহিষ
মুছে যাওয়া পায়ের ছাপ ঘুঙুর হয়ে বাজে
ব্রহ্মপুত্রের জলে আমি মিশিয়ে দিয়েছি চোখের
জল
গদাধরের পাড়ে পাড়ে সে এক জীবন ছিল!
লাউখোয়ার বিল থেকে বাতাস
উঠে আসে উঁচু টিলায়
তিনশো বলির দুর্গাপুজোর দেশে ঝাঁক ঝাঁক
লাল টিয়া
কুমার প্রমথেশচন্দ্র বাড়ি ফিরছেন
রানী সরোজবালা নামঘোষা শুনছেন
আসারীকান্দি থেকে লোকমুখোশ নিয়ে
আসছেন নীহার বড়ুয়া
আর আনারস বোঝাই নৌকোগুলির দিকে
তাকিয়ে আছে জংবাহাদুর
রূপসীর জমিদার সারারাত ধরে গান শুনলেন
হাতিক্যাম্পের ফন্দি মাহুতেরা সারারাত জুড়ে
কেবল নাচলেন
বন্দুক ও দোতরা নিয়ে
হাতি ও হাততালি নিয়ে
মেলা ও মহোৎসব নিয়ে
অসামান্য এক রূপকথার জীবন কাটিয়ে গেলেন
লালজি রাজা
এখন টানা বৃষ্টি গিলে খায় গৌরীপুরের হাট
রাজবাড়ীর পুরোন দেয়ালে সেতার ঝুলিয়ে রাখেন কুমার শ্যমলেশ
নিশা রাইতে সারিন্দা বাজান সিতানন্দ
কাঠিঢোল কাঁধে গানবাড়ির দিকে ছুটতে থাকে
বসন্ত মালী
হাতিমাহুতের গান নিয়েই তো অভিমান ভুলতে
হয়েছিল তাকে
চাপা হাসির পাশে সোনার পিকদানি
জনপদের প্রতিটি গল্পের ভেতর ঢুকে পড়ে
গান-
'ও মোর সারিন হাতির মাহুত রে
মোক ছাড়িয়া কেমনে যাইবেন হস্তীর শিকারে'
পাপী ও পাগলের মত আমি সেই স্মৃতিকাতর
শহরে ঘুরে বেড়াই
হেসে ওঠে বিন্নি ধানের খই
থোপা থোপা কাশিয়ার ফুল
হাটে হাটে বিকোতে থাকা শালী ধানের
চিড়া
আমি অন্ধের মতন লিপ্ত হতে থাকি বিলুপ্ত এক
সময়ের সাথে
আর কুয়াশায় ঢেকে যায় প্রতাপ সিং-এর
সমাধি
আর হাতির দাঁতের সেই চিরুণী দিয়ে তুমি চুল
আঁচড়াতে থাকো
No comments:
Post a Comment