অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা
আমার ঈশ্বর
১।
ক্লান্তি শিখছে দরজার দুইপার। এই সকাল শুধু পুরষ্কারের দিকে তাকিয়ে আছে। পাখিদের সাথে মেখে থাকা ভবনের এই নিচতলায় ভগবানের কার্যালয়। কিছু ছবি এখনো সেখানে আহতের তালিকায়।
রোদ গায়ে লাগতেই বুঝতে পারছি আমাদের সমস্তটাই বাজে শুরু র কথায়। গান সেতো শুনতেই পায় ছোটবেলা। থালার কিনারে আঁকা নাম আর নামের শিরোপা।
পড়তে পড়তে জানলাম ফেলে আসা পায়ের ক্লান্তিও জেনে গেছে আজ মুক্তি।
আজ আবার শরীরে আগুন জ্বলবে মন পোড়ানোর। ভাষা হয়ে উঠবে আরেকটি প্রাচীন অধিকার।
চলো দিয়ে আসি। আসিয়া শান্তি পাই গচ্ছিত রাখি বলে।
দুই।।
ক্ষেতের অধিকার আবার রাত্রির কথা শোনাবে। নিরানীরা বসে থাকবে ঘাতকের খোঁজে বিনিদ্র অন্ধকারে। তখন কোথাও কোথাও চাঁদের আলো। হয়তো পোয়াতি মায়েদের পেটের গন্ধও টের পাবে মাটি আর ফসল।
পাখিরাও সাক্ষি থাকছে এই লড়াই এর অংশীদার হয়ে।
আগুন জ্বললো। যুবকের বুক চিরে বেরিয়ে এলো অচেনা বসন্ত। যুবতীর চোখ থেকে নিঃশ্বাস। সম্মতি।
একটা নতুন দিন আসছে। স্লোগান উড়িয়ে সমস্ত ছারখার করে।
মা সেই অপেক্ষায় আছেন। ভুলে যাবেন গর্ভের যন্ত্রণা ফিরে পাওয়া অস্তিত্ব নিয়ে।
কলঙ্কের রেহাই মাড়িয়ে।
No comments:
Post a Comment