দাঁড়াবার জায়গা
পৃথা চট্টোপাধ্যায়
কোথাও একটু দাঁড়াবার জায়গা নেই
অথচ জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে তোমার গা
গনগনে রোদ মেখে সেই থেকে দাঁড়িয়ে আছি তোমার পাশেই
তোমাকে শীতলতা দিতে পারি না
দিতে পারি না দাঁড়ানোর জায়গাটুকুও
সাধ আর সাধ্যের টানাপোড়েনে ভর করে
স্বপ্নে এগিয়ে আসছে ঘরদোর
কেমন যেন ভয় করে
হাওয়ার দীর্ঘশ্বাসে উড়ছে তোমার রেশমি চুল
আশরীর আমি লুকোতে চাই
কারণ আমারও দাঁড়াবার জায়গা নেই
আমারই দেশের মাটিতে
প্রজাপতির দুঃখ আঁকতে চাই নি
শস্যচাষের গভীরে কোনো বিশ্বাস খুঁজি না
কারণ ,বিশ্বাস সবসময় বিশ্বাসী হয় না।
একটা জলছবি আঁকা মেঘ
পুষে রেখেছি বুকের খাঁচায়
মেঘ তো একদিন বৃষ্টি হয়ে করবেই
জানো এই অসময়ে হিমেল হাওয়ায়
উড়িয়ে দিয়েছি অজস্র প্রজাপতি
শব্দের মিছিলে তারপর ছাড়িয়েছি সীমানা
মধুমাস রঙের আবীরে ফিরিয়ে দিয়েছে
জমাট প্রজাপতির দুঃখ
অথচ আমি তো প্রজাপতির দুঃখ আঁকতে চাই নি
শুধু চেয়েছি ঘাসের গালিচায় আসুক আমাদের নবজাতক ।
No comments:
Post a Comment