বাংলা কবিতায় কয়েকটি নতুন মুখ / প্রবীর রায়
যেহেতু চল্লিশ বছরেরও বেশী কবিতা লেখা ও পড়ার সাথে জড়িয়ে আছি, আজ শুরুর দিনগুলি খুব মনে পড়ে। চারিপাশের আবেগতরল আত্মজৈবনিক উচ্চারনের জনপ্রিয় কবিতাগুলির বাইরে অন্যধারার কবিতা লেখার ইচ্ছা ছিল স্বপ্নে। আজ যখন চারিপাশের নতুন লিখতে আসা তরুনদের কবিতা পাঠ করি তখন এক অনাবিল পাঠতৃপ্তি আমাকে অধিকার করে রাখে। সবচেয়ে বড় কথা এরা কারও দ্বারা নির্দেশিত কিংবা প্রভাবিত হয়ে লিখছেনা। সময়ের বিবর্তনে কবিতায় তাদের নতুন ভাষা। কিছু লিটল ম্যাগাজিন ও ওয়েব ম্যাগাজিনে এদের লেখা প্রকাশিত হয়েছে।আরও নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাবে এদের লেখা। তবু কয়েকটি বিভিন্ন পত্রিকা থেকে সংগৃহীত কবিতার উল্লেখ করছি। নতুন সময়ের পাঠক নিশ্চয়ই আগ্রহী হবেন।
জ্যোতির্ময় বিশ্বাস
ঠিকানা
সব বাড়িই যে একটা বিরাট বাড়ির ভিতরে,বাড়ির মালিকরা তা মানেনা
তাই ঠিকানা তৈরির বেলায় ঈশ্বর মানুষের কাছে হেরে গিয়েছেন।
দীপঙ্করলাল ঝা
হাওয়াই
১। অনেকটা ওড়ার পর পাখি
ডানা থেকে হাওয়া মুছে ফেলে
সেজন্য পাখিকে কোনদিন
ক্লান্ত হতে দেখেনি কেউ
২। হাতাখুন্তি দেখে মনে হয়
কতবার জন্ম নিতে নিতে
হাফিয়ে গেছেন মা
অদ্রিজা পাল
ডুব
পালটে যেতে পারে কিছু অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ব্যবহার
ভয় বিলক্ষণ
সময়ের সাথে সীমান্ত গাঁ ও বদলে নিয়েছে নিজেদের পথ
ভূলে যাওয়ার অস্বস্তি কেন…
এই ঘাঁটিতে
আরও কিছু শূণ্যতা ফেলা হোক
পূজা নন্দী
ঘোর
কতটা নিষ্ঠুর কাটিয়ে তুমি ঝুঁকে পড়েছো
যেন জলের গভীরে একটি আবহ মাত্র
প্রতিদিন রেখে যাও তীরবিদ্ধ পায়ের আলাপ
এই কাটিয়ে উঠতে আমার সহজ গড়িয়ে যায়
কোথাও কোনখানে ভুল নামেনি এযাবতকাল
কোরোটি ও নাভির মধ্যে যে সুতোর টান
সেইখানে কুঁকড়ে রয়েছে জ্বরের বিলাপ
এইমাত্র সম্পর্কে জড়িয়ে উঠেছো তুমি
ও তোমার সমূহ অস্তিত্ব...
রঙ্গন রায়
বসে আঁকো প্রতিযোগিতা
টুকরো টুকরো শব্দ সাজিয়ে দেওয়া হল
আমি তালব্য শ এর পায়ে
জুড়ে দিলাম ব- ফলা
আমার নাম থেকে খুলে নিলাম
র
তারপর ঈগলপাখির ঠোঁট থেকে
নেমে এলো ঈশ্বর
অভিশ্রুতি রায়
পরিবর্তন
হাত থেকে খসে পড়ছে কালো
বিন্দু বিন্দু…
কালো জুড়ে দামামা বেজে ওঠায় ফুরিয়ে আসছে নিঃশ্বাস
কোথায় একটা বেলা বদলের বিজনপ্তি বেরিয়ে গেছে
জল থেকে বায়বীয়টা তুলে নিলে পচা মাছের গন্ধ পাচ্ছি
ছায়াগুলোতে মড়কজন্ম উঠছে
আর সেইখানেই কবর হচ্ছে খাদ্যলোভী পিঁপড়েগুলর
তারই মাঝে বর্ষা ভেঙ্গে আসলে
ছায়াতলটা মন্দিরে বদলে যাচ্ছে
একটা লেখায় একজনকে বুঝে নেওয়া কঠিন ।তবুও সম্ভাবনাটুকু ধরে নেওয়া যায়। এছাড়া অনুভব দে দেবারতি চক্রবর্তীর মত অনেকেই লিখতে শুরু করেছে। চর্চা এদের অনেক দূর নিয়ে যাবে মনে হয়। বাংলার জেলায় জেলায় এবং বহিরবঙ্গেও বহু নতুন কবির লেখায় নতুন কবিতাভাষার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে ।সুযোগ পেলে আগামীতে তাদের কথা বলা যাবে।
যেহেতু চল্লিশ বছরেরও বেশী কবিতা লেখা ও পড়ার সাথে জড়িয়ে আছি, আজ শুরুর দিনগুলি খুব মনে পড়ে। চারিপাশের আবেগতরল আত্মজৈবনিক উচ্চারনের জনপ্রিয় কবিতাগুলির বাইরে অন্যধারার কবিতা লেখার ইচ্ছা ছিল স্বপ্নে। আজ যখন চারিপাশের নতুন লিখতে আসা তরুনদের কবিতা পাঠ করি তখন এক অনাবিল পাঠতৃপ্তি আমাকে অধিকার করে রাখে। সবচেয়ে বড় কথা এরা কারও দ্বারা নির্দেশিত কিংবা প্রভাবিত হয়ে লিখছেনা। সময়ের বিবর্তনে কবিতায় তাদের নতুন ভাষা। কিছু লিটল ম্যাগাজিন ও ওয়েব ম্যাগাজিনে এদের লেখা প্রকাশিত হয়েছে।আরও নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাবে এদের লেখা। তবু কয়েকটি বিভিন্ন পত্রিকা থেকে সংগৃহীত কবিতার উল্লেখ করছি। নতুন সময়ের পাঠক নিশ্চয়ই আগ্রহী হবেন।
জ্যোতির্ময় বিশ্বাস
ঠিকানা
সব বাড়িই যে একটা বিরাট বাড়ির ভিতরে,বাড়ির মালিকরা তা মানেনা
তাই ঠিকানা তৈরির বেলায় ঈশ্বর মানুষের কাছে হেরে গিয়েছেন।
দীপঙ্করলাল ঝা
হাওয়াই
১। অনেকটা ওড়ার পর পাখি
ডানা থেকে হাওয়া মুছে ফেলে
সেজন্য পাখিকে কোনদিন
ক্লান্ত হতে দেখেনি কেউ
২। হাতাখুন্তি দেখে মনে হয়
কতবার জন্ম নিতে নিতে
হাফিয়ে গেছেন মা
অদ্রিজা পাল
ডুব
পালটে যেতে পারে কিছু অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ব্যবহার
ভয় বিলক্ষণ
সময়ের সাথে সীমান্ত গাঁ ও বদলে নিয়েছে নিজেদের পথ
ভূলে যাওয়ার অস্বস্তি কেন…
এই ঘাঁটিতে
আরও কিছু শূণ্যতা ফেলা হোক
পূজা নন্দী
ঘোর
কতটা নিষ্ঠুর কাটিয়ে তুমি ঝুঁকে পড়েছো
যেন জলের গভীরে একটি আবহ মাত্র
প্রতিদিন রেখে যাও তীরবিদ্ধ পায়ের আলাপ
এই কাটিয়ে উঠতে আমার সহজ গড়িয়ে যায়
কোথাও কোনখানে ভুল নামেনি এযাবতকাল
কোরোটি ও নাভির মধ্যে যে সুতোর টান
সেইখানে কুঁকড়ে রয়েছে জ্বরের বিলাপ
এইমাত্র সম্পর্কে জড়িয়ে উঠেছো তুমি
ও তোমার সমূহ অস্তিত্ব...
রঙ্গন রায়
বসে আঁকো প্রতিযোগিতা
টুকরো টুকরো শব্দ সাজিয়ে দেওয়া হল
আমি তালব্য শ এর পায়ে
জুড়ে দিলাম ব- ফলা
আমার নাম থেকে খুলে নিলাম
র
তারপর ঈগলপাখির ঠোঁট থেকে
নেমে এলো ঈশ্বর
অভিশ্রুতি রায়
পরিবর্তন
হাত থেকে খসে পড়ছে কালো
বিন্দু বিন্দু…
কালো জুড়ে দামামা বেজে ওঠায় ফুরিয়ে আসছে নিঃশ্বাস
কোথায় একটা বেলা বদলের বিজনপ্তি বেরিয়ে গেছে
জল থেকে বায়বীয়টা তুলে নিলে পচা মাছের গন্ধ পাচ্ছি
ছায়াগুলোতে মড়কজন্ম উঠছে
আর সেইখানেই কবর হচ্ছে খাদ্যলোভী পিঁপড়েগুলর
তারই মাঝে বর্ষা ভেঙ্গে আসলে
ছায়াতলটা মন্দিরে বদলে যাচ্ছে
একটা লেখায় একজনকে বুঝে নেওয়া কঠিন ।তবুও সম্ভাবনাটুকু ধরে নেওয়া যায়। এছাড়া অনুভব দে দেবারতি চক্রবর্তীর মত অনেকেই লিখতে শুরু করেছে। চর্চা এদের অনেক দূর নিয়ে যাবে মনে হয়। বাংলার জেলায় জেলায় এবং বহিরবঙ্গেও বহু নতুন কবির লেখায় নতুন কবিতাভাষার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে ।সুযোগ পেলে আগামীতে তাদের কথা বলা যাবে।
No comments:
Post a Comment