চিত্র ঋণ : সমীরণ ঘোষ
উত্তর -পূর্বাঞ্চলের কবিতা
উনিশের মে-এর কবিতা
ভাষা
রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ
খাতায় টানাটানা রোলনম্বর
পরিচয় খুঁজে রাতের হুইসেল
উনিশ ছুঁয়ে আছে
জ্যোৎস্না মাখা লাইন
মেঘ ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে
উপত্যকা কান্না...
উনিশ এলেই
জয় কুমার দাস
উনিশ এলেই
মায়ের সোহাগী আঁচল
চোখের তারায় বৃষ্টি নামায় ,
বরাক ফুপ্ ড়ে ফুপ্ ড়ে কাঁদে
অভিমানে কমলার বাঁশ বাগানে
স্রোতের তুলিতে চাঁদ আঁকে।
উনিশ এলেই
তারাপুর স্টেশনে জোনাকিরা ধর্মঘটে বসে
শহীদ মা পাথরে লেখে ভাষার গান :
কানাই-চন্ডী-হিতেশ-সত্যেন্দ্র-কুমুদ
সুনীল-তরণী-শচীন্দ্র-বীরেন্দ্র-সুকোমল
নামে গড়ে - একটি অস্তিত্বের মাঠ।
উনিশ এলেই
আগুনপাখি সূর্য লড়াইয়ের ধুয়া তুলে
১৯৭২ ,১৭ আগস্ট, ১৯৮৬,২১জুলাই-র
সংগ্রামের খাতাটি আজো কেমন মায়ের ভাষার
অক্ষরে কবিতা লিখতে বলে ; বিজন চক্রবর্তী, জগন্ময় দেব,
দিব্যেন্দু দাস যেন কলমে তুলে বেগ ।
অন্তর শিহরন
নীলাদ্রি ভট্টাচার্য
সংকল্পবদ্ধ রক্ত অন্তহীন অস্তিত্বের ছবিদল,
বরাকের অক্ষর কুড়িয়ে রাখা আস্থাশীল মাতৃত্বের জ্যান্ত দর্শন।
ভালো লাগে গায়ে লেগে থাকা ভাষা স্পর্শের অমৃত শিহরন
কিছু জমানো পরিচিত নৈবেদ্যে অন্তরতম রোদ্দুর...
দূরে ভাসমান ভাবনা আলোড়নে অমর উনিশের রক্তিম কৃষ্ণচূড়া।
পরাণের শব্দ তুলে যাঁরা
অপাংশু দেবনাথ
বেদি বেয়ে নামে কার রক্ত! আয় বৃষ্টি, ধুয়ে
নিয়ে যা, নিষ্ঠুর এই পাপ, ভেসে যাক জলে।
এতো কান্না হাওয়ায় ভাসে ফিরে আসে তবু
পুষ্প নিয়ে হাতে বলো রাখি কোন্ বেদিমূলে?
রক্তচিহ্ন লেগে আছে দেখো আমাদের মুখের ভাষায়।
নেই যাঁরা এই ভাষাতেই লেখা হয় তাদের মৃত্যুর ইতিহাস,
পরাণের শব্দ তুলে যাঁরা আমাদের জন্য
রেখে গেছে এই ধারাপাত
আমি হৃদয়ের ঝাঁপি খুলে পুষ্প রাখি তাঁদেরই পায়,
বাঁশকরুলে গোদক রেঁধেছি খেয়ে যাও আর একবার।
১৯ শের গান
শতদল আচার্য
এ সময় আলোহীন অবসরে
দিব্য চলছে
ভিটে মাটি হারানোর
গল্প ফিরে আসছে ।
দেশ এখন বাঁচা –মরার গানে
নিত্য দিন ঝুট ঝামেলা
ডি লিস্টে উঠছে নাম
দেশি-বিদেশি নিয়ে হচ্ছে হামলা ।
কে তুমি সুরবালা ?
আশি ছুঁয়েছ কবে
তোমার লিগেসি খুঁজে এ সময়
তোমার যাওয়া কবে হবে ।
প্রবাসীর ১৯
পিংকি পুরকায়স্থ চন্দ্রানী
আমি সুদূর প্রবাসে,
উনিশের আগুন বুকে,
বাঙলার গান গাই।
ভিনদেশী এক হলুদ পাখী সুর মেলায়,
তারই সুরে।
দুটো অবুঝ পাহাড়ি বালিকা,
মাথা নাড়ে কবিগুরুর সুরের মূর্ছনায়।
আমার ঈশানের বৃষ্টি ভেজা মাটির গন্ধ,
স্পষ্ট হয়,এই মাটির সোঁদা গন্ধে।
তাই হয়তো কৃষ্ণচূড়া ও হাত বাড়িয়ে,
আমার দখিনের জানালায়।
আকাশের নীলিমায়,
ভেসে ওঠা এগারোটি মুখ,
ছায়া ফেলে মনের শার্সি কাঁচে।
মাতৃভাষার মিষ্টতা,
ছুঁয়ে যায় আমার উদাস প্রহর।
কোন অচিন পাখীর ডানায় করে,
এক মুঠো যুঁই, পাঠিয়ে দেই ,
তোমাদের উদ্দেশ্যে।
জেগে থাকো তোমরা চেতনায়,
অবচেতন মনে।
উত্তর -পূর্বাঞ্চলের কবিতা
উনিশের মে-এর কবিতা
ভাষা
রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ
খাতায় টানাটানা রোলনম্বর
পরিচয় খুঁজে রাতের হুইসেল
উনিশ ছুঁয়ে আছে
জ্যোৎস্না মাখা লাইন
মেঘ ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে
উপত্যকা কান্না...
উনিশ এলেই
জয় কুমার দাস
উনিশ এলেই
মায়ের সোহাগী আঁচল
চোখের তারায় বৃষ্টি নামায় ,
বরাক ফুপ্ ড়ে ফুপ্ ড়ে কাঁদে
অভিমানে কমলার বাঁশ বাগানে
স্রোতের তুলিতে চাঁদ আঁকে।
উনিশ এলেই
তারাপুর স্টেশনে জোনাকিরা ধর্মঘটে বসে
শহীদ মা পাথরে লেখে ভাষার গান :
কানাই-চন্ডী-হিতেশ-সত্যেন্দ্র-কুমুদ
সুনীল-তরণী-শচীন্দ্র-বীরেন্দ্র-সুকোমল
নামে গড়ে - একটি অস্তিত্বের মাঠ।
উনিশ এলেই
আগুনপাখি সূর্য লড়াইয়ের ধুয়া তুলে
১৯৭২ ,১৭ আগস্ট, ১৯৮৬,২১জুলাই-র
সংগ্রামের খাতাটি আজো কেমন মায়ের ভাষার
অক্ষরে কবিতা লিখতে বলে ; বিজন চক্রবর্তী, জগন্ময় দেব,
দিব্যেন্দু দাস যেন কলমে তুলে বেগ ।
অন্তর শিহরন
নীলাদ্রি ভট্টাচার্য
সংকল্পবদ্ধ রক্ত অন্তহীন অস্তিত্বের ছবিদল,
বরাকের অক্ষর কুড়িয়ে রাখা আস্থাশীল মাতৃত্বের জ্যান্ত দর্শন।
ভালো লাগে গায়ে লেগে থাকা ভাষা স্পর্শের অমৃত শিহরন
কিছু জমানো পরিচিত নৈবেদ্যে অন্তরতম রোদ্দুর...
দূরে ভাসমান ভাবনা আলোড়নে অমর উনিশের রক্তিম কৃষ্ণচূড়া।
পরাণের শব্দ তুলে যাঁরা
অপাংশু দেবনাথ
বেদি বেয়ে নামে কার রক্ত! আয় বৃষ্টি, ধুয়ে
নিয়ে যা, নিষ্ঠুর এই পাপ, ভেসে যাক জলে।
এতো কান্না হাওয়ায় ভাসে ফিরে আসে তবু
পুষ্প নিয়ে হাতে বলো রাখি কোন্ বেদিমূলে?
রক্তচিহ্ন লেগে আছে দেখো আমাদের মুখের ভাষায়।
নেই যাঁরা এই ভাষাতেই লেখা হয় তাদের মৃত্যুর ইতিহাস,
পরাণের শব্দ তুলে যাঁরা আমাদের জন্য
রেখে গেছে এই ধারাপাত
আমি হৃদয়ের ঝাঁপি খুলে পুষ্প রাখি তাঁদেরই পায়,
বাঁশকরুলে গোদক রেঁধেছি খেয়ে যাও আর একবার।
১৯ শের গান
শতদল আচার্য
এ সময় আলোহীন অবসরে
দিব্য চলছে
ভিটে মাটি হারানোর
গল্প ফিরে আসছে ।
দেশ এখন বাঁচা –মরার গানে
নিত্য দিন ঝুট ঝামেলা
ডি লিস্টে উঠছে নাম
দেশি-বিদেশি নিয়ে হচ্ছে হামলা ।
কে তুমি সুরবালা ?
আশি ছুঁয়েছ কবে
তোমার লিগেসি খুঁজে এ সময়
তোমার যাওয়া কবে হবে ।
প্রবাসীর ১৯
পিংকি পুরকায়স্থ চন্দ্রানী
আমি সুদূর প্রবাসে,
উনিশের আগুন বুকে,
বাঙলার গান গাই।
ভিনদেশী এক হলুদ পাখী সুর মেলায়,
তারই সুরে।
দুটো অবুঝ পাহাড়ি বালিকা,
মাথা নাড়ে কবিগুরুর সুরের মূর্ছনায়।
আমার ঈশানের বৃষ্টি ভেজা মাটির গন্ধ,
স্পষ্ট হয়,এই মাটির সোঁদা গন্ধে।
তাই হয়তো কৃষ্ণচূড়া ও হাত বাড়িয়ে,
আমার দখিনের জানালায়।
আকাশের নীলিমায়,
ভেসে ওঠা এগারোটি মুখ,
ছায়া ফেলে মনের শার্সি কাঁচে।
মাতৃভাষার মিষ্টতা,
ছুঁয়ে যায় আমার উদাস প্রহর।
কোন অচিন পাখীর ডানায় করে,
এক মুঠো যুঁই, পাঠিয়ে দেই ,
তোমাদের উদ্দেশ্যে।
জেগে থাকো তোমরা চেতনায়,
অবচেতন মনে।
No comments:
Post a Comment