Friday, January 8, 2021

 

শেষ না শুরু
অনিমেষ

গদ্য লিখতে বসলে সর্বপ্রথম যেটা আমাকে আকর্ষণ করে সেটা হলো আমি কিছু কিছু সময় যেভাবে বিষয়হীন ভাবে ছেড়ে দিই নিজেকে ।কী লিখছি কেন লিখছি কোন দিকে যাচ্ছে লেখা সেরকমই সেই নেশাটা আমাকে টেনে নিয়ে যায়। গদ্যের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করতে না পারলেও হয়তো পাতা ছুঁয়ে বেরিয়ে আসি ঈষৎ।

শহরের মাথার উপর চাঁদ জ্বলে আছে দীর্ঘদিন ,নিস্তার নেই তার। ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে।শীত বাড়ছে ।শীতল মেঘে ঢাকা পড়ছে চাঁদ। এরপর সমস্তটা রাতের মতো নির্ঝঞ্ঝাট। অথচ দেয়াল ঘড়ির মতো তীক্ষ্ণ বীতশ্রদ্ধ কী আছে আর!

কুয়াশার ভেতর হাঁটতে হাঁটতে জলপাই ফলের গাছ। পড়ে আছে ঝুলে আছে ফল। তুলে নেবো কি নেবো না ,ভেতর ভেতর অন্তর্দাহ শুরু হয়েছে। যাদের মুখ না দেখার মতো করে রাস্তায় পাশ কাটিয়ে চলে যাই।সেরকমই আর না থেকে এগিয়ে যাই। ট্রেইন চলে যাচ্ছে পাশ দিয়ে।হাঁটার মুহূর্তগুলো সকালের বাজার, ভায়োলিন ছেড়ে আসা মেয়ে ,গভীর রাতের কফি সব আদতে একটা একটা দৃশ্য ঢুকে পড়তে থাকে স্মৃতির ওয়্যারে।

থমকে যাই। যেভাবে এতকাল বেকার থেকে থেকে ভুলে গেছি কখন কোথায় কী বলতে হয়। আদতে নাব্যতার সামনে বরাবর চুপ থেকেছি চুড়ান্ত চুপ। মুখে কুলুপ। বহিদৃশ্যের সাথে অন্তর্দৃশ্যের একটা পার্থক্য থাকে ছায়াবলয় ঘিরে চলতে থাকে ঠান্ডাযুদ্ধ। A amazing cold war .

মাঝেমধ্যে  শূন্যতার সংজ্ঞা খুঁজতে গিয়ে অতলান্তে তলিয়ে যাই। তল্লাশি চলে চলতে থাকে। মৃত্যু ঠিক কোথায় লেখা!কোন দরজার সামনে দাঁড়ালে এক্স ফ্যাক্টর কাজ করে যাবে।  Terrific luck খেলে যাবে।

এই একটা গদ্য লেখার সমস্যা । মেমোরির ধার ঘেঁষে কিছু আলো তুলে নেবো ভাবি তা আর হয়না। টাইম ট্রাভেলিং করতে করতে পৌছোই ছেড়ে আসা জগতে। Thw worthless memories.

তবুও হাঁটি যেভাবে আকর্ষিত হয়ে থাকি অনর্থক কোনো গদ্যের দিকে। বিভীষিকাময় প্রহেলিকার দিকে। টানটান চিত্রনাট্য কোনো যেন আমাকে গিলে খাবে। আটকে যাই মায়ার মতো। কলম না গিরগিটি বুঝতে পারি না।

রঙের সাথে গুলে যেতে থাকি। সর্বস্ব রঙ যেন মরীচিকা। শেষে আমি নিরুদ্দেশ হয়ে যাই। কোথায় শুরু কোথায় শেষ।খেই হারিয়ে কোথায় গদ্যে কোথায় আর এই হাঁটা !

From here  you never know ,What will be happening at the end...


No comments:

Post a Comment