Monday, October 26, 2020

 রাখাল কিংবা ক্ষুধাবিষয়ক রচনা

প্রশান্ত গুহমজুমদার



আমি রাখাল। সীমা আর শংকু-কে নিয়ে আমার ছোট্ট সংসার। কিছুদিন ধরেই ভাবছি আপনাদের একটা গল্প শোনাবো। মানে শোনাতে চাইছিলাম। বিশ্বাস করুন, গল্পটা ছিল একটা বাঁশের সেতু, দুটো ছাগল আর কয়েকটি গাছের গল্প। সেখানে এক অতীব সুন্দরী, সামান্য মেঘ আর ঝরা পাতার শব্দ। 

কিন্তু লেখাটা হয়ে দাঁড়াল এ রকম। সরি। সীমা বা আমার কোন খরিদ্দারকে এসব বলা যায় না। পাগলও ভাবতে পারে। তাই আর সাহস করি নি। আসলে বিষয়টা  সারা পৃথিবী বা মানুষের খিদে নিয়ে বিদ্যালয় কিংবা মহাবিদ্যালয় উপযুক্ত এক সামান্য রচনা।

এটা যে কোন জায়গা থেকেই শুরু করা যাতে পারে। যেমন রমেনের কথা দিয়ে।

রমেন, আমার একদা সহপাঠী, সেই বিরল বাঙ্গালীদের মধ্যে একজন যে কথায় কথায় একদিন আমাকে জানিয়েছিল, কিছু জিনিস নিয়ে ও ভাবার প্রয়োজন বোধ করে না। যেমন, খাবার, মাথা গোঁজার আস্তানা, বিনোদনের বৈচিত্র এবং ভ্রমণের অর্থ। তার বহুজাতিক সংস্থার ৩০ শতাংশ মালিকানা, পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত নিজেদের গুটি কয়েক বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা এবং সুবিশাল চমকদার বাড়ি। সে দেশবিদেশ ঘোরে, মহার্ঘ্য মদ্য পান করে, নারী সংসর্গে বড়ই উন্নাসিক এবং পটু। তিনটে মূল্যবান গাড়ির একটা নিয়ে অফিস, ব্যবসা দেখে, একটা গাড়ি বিনোদনের জন্য আর একটি দেশের বিভিন্ন রিসর্টে যাওয়ার জন্য বরাদ্দ। সে খাবার, মাথা গোঁজার আস্তানা এমন কয়েকটি জিনিস বোঝে না বা সে সব দিকে ধ্যান দেওয়া সময়ের অপব্যয় বলেই মনে করে।

ব্যক্তিগতভাবে খিদে নিয়ে আমার কিন্তু খুব মাথাব্যথা নেই। দৈনন্দিন মাথাব্যথার মত। ঘিনঘিনে একটা ব্যথা লেগেই থাকে। খিদে পেলেও ব্যথা, মাথা ধরলেও ব্যথা। সে আমার সহ্য হয়ে গিয়েছে। আমার ছোট একটা শোপিসের দোকান আছে। ঘর থেকে অনেকটা দূর। সকালে ৮টা নাগাদ দুটো ভেজা ভাত খেয়ে বেড়োই। ফিরি রাত্রি ৯টা নাগাদ। দুপুরে টিফিন বক্সে বৌয়ের দেওয়া একটু ভাত, ডাল আর সবজি। কোন কোনদিন এক টুকরো পোনা মাছ। অতএব খিদে আমার আছেই। অন্য কোন খিদের বাতিক আমার নেই। 

রমেন-কে আমার কোন ঈর্ষা নেই। যার যেমন কপাল। কেউ শোষণ করে, কেউ বা কেবল শোষিত হয়েই চলে। আমার মা তো শৈশবেই রওনা দিয়েছিলেন। বাবাও ফটাং করে পাঁচ দিনের জ্বরে গন্‌। ভাগ্যিস ভাই বোন কেউ ছিল না আমার। তখন বয়স কত হবে আমার! সতেরো-আঠারো। সেই থেকে খিদে আমার নিত্য সঙ্গী। এক দূর সম্পর্কের কাকার পরামর্শে লটারির ব্যবসা, অফিসে অফিসে স্টেশনারী মাল সাপ্লাই দেওয়ার কাজ। তবে এর মধ্যেই গ্র্যাজুয়েশনটা করে নিয়েছিলাম। মাথাটা খুব খারাপ ছিল না। ভুগোলে অনার্সটাও ছিল। কিন্তু তাতে কী আর চাকরি জোটে! এই সব করতে করতেই কালেক্টরেটের এক সাহেবের নজরে পড়ে যাই। এই আট বাই আট ঘরটা তাঁরই অবদান। একটা ছোট্ট মার্কেটের মত যায়গায় দোকানটা। সেই শুরু। তা আজ বাইশ বছর হয়ে গেল। তবে দারিদ্র সীমার উপরে ওঠা আমার এখনো হল না। লিস্টে দেখেছি, জ্বলজ্বল করছে আমার আর সীমার নাম। দেশের বাইশ শতাংশ মানুষের মধ্যে আমরাও তা হলে আছি! বেশ একটা অন্য রকম অনুভূতি হয়। দোকানে বিক্রিবাটা কিছু হয়। তবে সবই চায়না মাল। এর মধ্যেই বিয়েও করলাম। শংকু এলো। ওর এখন চার। আমাদের  গড় ওজন আশি। 

দুটো দোকান পরেই অনিলের বড় মুদিখানা-কাম-স্টেশনারি দোকান। আমারই বয়সী। পড়াশোনাও প্রায় আমারই মত। তবে বি পি এলে নেই। কোন দেখনদারীও নেই। নানান বিষয়ে খোঁজখবর রাখে, পড়াশোনা করে। মাঝে মধ্যে আমার কাছে এসে বসে। আমরা সামনের চায়ের দোকানে গিয়ে বসি। ওকেই প্রথম কথায় কথায় এই খিদে আর পেটের ব্যথার গল্প করেছিলাম। সেদিন চায়ের সঙ্গে দুপিস্‌ পাঁউরুটি মাখন আর চিনি মাখিয়ে খাইয়েছিল। ব্যথাটাও গায়েব। 

এরকমই এক দুপুরে অনিল আর আমি বসেছি। সামনে দিয়ে একটা বিরাট মিছিল। দু টাকায় চালগম, শাসকদলের বিভিন্ন বিষয়ে দুর্নীতি ইত্যাদি নিয়ে মিছিল। 

-এমন মিছিল তো হর সপ্তাহেই দেখছি। কিন্তু আমাদের তো কিছু হচ্ছে না! মানুষের খিদে কী কমছে? মাঝখান থেকে সাধারণ মানুষের হয়রানি।

-এ ভাবে ভাবছো কেন? মানুষের দাবীদাওয়া অভাব অভিযোগ নিয়ে মানুষই তো কথা বলবে। কিন্তু মুস্কিল হচ্ছে, এ ধরনের বেশিরভাগ মিছিলের পিছনে কিছু রাজনৈতিক ফায়দার ব্যাপার থেকেই যায়। ফলে মিছিল হয় ঠিকই, কাজের কাজ কিছু হয় না।   শুদু তুমি নও, সারা পৃথিবী পেটের খিদেয় ভুগছে। 

বোধহয় অনিলের তাড়া ছিল না। পকেট থেকে দামী ফোন বের করে ক্ষুধা নিয়ে বিভিন্ন পরিসংখ্যান আর খবর দেখিয়েছিল। আমি তো হতবাক! 

তারপর থেকে সময় পেলেই ওকে খোঁচাই। হাসতে হাসতে ও কত কিছু যে জানিয়েছে আমাকে! অনিলকে রমেনের কথা বলেছিলাম। ও কোন কথা না বলে একটার পর একটা ভয়ংকর অবস্থার কথা বলেছিল। 

বলেছিল, রমেনের মত ওই ২০% বা ৩০% মানুষ অনায়াসে অবহেলায় সারা বছরে যে পরিমান খাদ্য অপচয় করে বা করার স্পর্ধা করতে পারে, তার পরিমাণ বছরে উৎপাদিত  খাদ্যশস্যের ৪০% । অর্থের নিরিখে তার মূল্য ৯২ হাজার কোটি টাকা।  আমাদের দেশে এত প্রগতির আলো চারপাশে বিচ্ছুরিত হলেও সাম্প্রতিক সুমারির হিসেব অনুযায়ী ২২% মানুষ বিপিএল তালিকায় এখনো রয়ে গিয়েছে। ২০১৭-র গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স রিপোর্ট অনুযায়ী ১১৯টি দেশের মধ্যে ভারত ১০০তম স্থানে অবস্থান করছে। খুব অবাক করে দেওয়ার মত ঘটনা, ইরাক, বাংলাদেশ, নর্থ কোরিয়ার থেকেও ভারত এ ব্যপারে পিছিয়ে রয়েছে। যথেষ্ট পরিমানে খাদ্য মজুত থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশে ১৯০ মিলিয়ন মানুষ অভুক্ত থেকেই রাত্রে ঘুমোতে যায়। তথ্য অনুযায়ী ৪টি শিশুর মধ্যে একটি শিশু ভুগছে অপুষ্টিতে। ভারতে শিশুদের অবস্থা একবার ভাবতে পারছো? 

সে রাত্রে ঘরে ফিরে ঘুমন্ত অংশুর মাথায় হাতটা ছুঁইয়ে শুয়ে পড়েছিলাম।  কিছু মুখে তুলতে পারি নি। 

তবু অনিল ক্রমশ আমার একটা নেশা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। দুপুরের চায়ের দোকানে বসে থাকার সময় দিনের পর দিন হচ্ছিল দীর্ঘতর । 

এরকমই একদিন অনিল বলছিল, তার নাকি মনে পড়ে ভ্যান গঘের 'পটেটো ইটারস'-ছবির কথা। ছবির প্রিন্ট আমিও দেখেছি। কিন্তু ডিসটার্ব করলাম না। অনিল বলে যাচ্ছিল। 

-কিশোরকবি সুকান্ত-র সেই বহুল পরিচিত পংক্তি আজ উচ্চারণ না করেও বলা যায়, এই পৃথিবীতে সামান্য কয়েকটি পরিবারের ব্যবসায়িক মূলধন যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, ক্ষুধা, অনাহারে মৃত্যুর হার বেড়ে চলেছে যেন সেই হারেই। ঝলসানো রুটিও জোটে না মানুষের কপালে আজো। এ এক বিচিত্র ফ্যালাসি! অথবা ধনতন্ত্রের স্বাভাবিক উপহার। সামান্য পুরনো কিছু তথ্য মনে রাখা যাক। সারা পৃথিবীর ৮১০ মিলিয়ন অর্ধভুক্ত অপুষ্টিতে আক্রান্ত মানুষের মধ্যে আমাদের শস্যশ্যামল ভারতের ১৯৪ মিলিয়ন মানুষ এসে গিয়েছেন এই বিবর্ন চিত্রপটে। অথচ আমাদের দেশ কতকগুলি খাদ্যসামগ্রীতে তো উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করে রেখেছে। যেমন, দুধ, ডাল, বাজরা ইত্যাদি। ভারত চাল, গম, আখ, বাদাম, সব্জি, ফল আর তুলো উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তুমি হয়ত বলবে, তাহলে এমন অবস্থা কেন! দেশের অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল বা যাদের সাধারণ ভাবে যারা গরীব, প্রত্যন্ত গ্রামেরই তো মানুষ তাঁরা, তাঁদের কাছে তো পৌছচ্ছে না নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার অথবা প্রয়োজনীয় খাবারটুকু কেনার ক্ষমতাই থাকছে না। কারণও অনেক। এইসব মানুষের কাছে পৌঁছাতে যে পরিকাঠামো প্রয়োজন, সেই রাস্তা, পরিবহনের ব্যবস্থা, কৃষক থেকে ক্রেতার কাছে সরাসরি খাদ্যদ্রব্য পৌঁছনোর মত ব্যবস্থা, সবই তো অধরা! এ ছাড়া রয়েছে ফড়েদের দৌরাত্ম। শেষ অবধি চাষীর পকেটে যায় সামান্যই। আর গরীব মানুষের কাছে, মনে রাখতে হবে কিন্তু  ঐ চাষীও একজন ক্রেতা, সেই খাদ্যদ্রব্য হয়ে যায় অগ্নিমূল্য। এদের পকেটে অত পয়সা কোথায়! ফলত ক্ষুধা থেকেই যায় পেটে। খাবারের নিরাপত্তার অভাবে এই শ্রেণীর মানুষ ভোগে আজীবন। অপুষ্টি হয়ে পড়ে এদের আজীবনের সঙ্গী। 

ক্রমশ বির্বাক হয়ে পড়ছিলাম। আর এ ভাবেই অনিল ক্রমশ ভুলিয়ে দিচ্ছিলো আমারই খিদে বোধ। 

একদিন বললো, চলো, কাল তো রোববার। একটা গ্রাম দেখে আসি। প্রশ্ন করি নি কোথায়, কেন। শুধু সময়টা জেনে নিয়েছিলাম। বাড়িতে ব'লে সময়মত দোকানের সামনে। তারপর ঘন্টা দেড়েকের বাসজার্নি, দুটো বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে হাঁটা, তারপরেও কয়েক কিলোমিটার। ক্রমে দেখা গেল ঘরের মত বেশ কিছু আস্তানা। চৈত্রের মাঝামাঝি। ঘন বসন্ত। অন্তত ক্যালেন্ডারমাফিক। এখানে সে সুবাতাস নেই। তীব্র দহন শুধু। কিছু মুরগী চরে বেড়াচ্ছে। একটা ঘরের সামনে তালপাতার চাটাই মতো একটা কিছুর উপর শুয়ে আছেন লোলচর্ম হাড়সার এক বৃদ্ধা। ভয় হয়, আর কোনদিন উঠে বসতেও পারবেন না। চোখদুটো আমাদের দিকে। ভাষা নেই কোনো সে চোখে। কিছু দূরে দুটি বালকবালিকা, দৃশ্যত শিশু। একে অপরকে জড়িয়ে। অদূরে একটি মেয়ে, মনে হয় আসন্নপ্রসবা। কোটরাগত চোখ, প্রবল রক্তাল্পতা। দৃশ্য শুধু তার পেট। বসে আছে দাওয়ায়। অবশ্য ওটাকে যদি দাওয়া বলা যায়। ব্যাগ থেকে নিজেদের জন্য আনা বিস্কুটের প্যাকেট বের করে ওদের দেওয়ার জন্য এগোতেই অনিল আমার হাত চেপে ধরলো। 

- কক্ষনো এই ভুল কাজ করবে না। ওরা নেবে না। আর এভাবে ওদের না খেয়ে থাকার বহু দিনের, অভ্যাসের কী অবসান তুমি ঘটাতে পারবে? মাঝখান থেকে ওরা ভিখিরি হয়ে যাবে। না খেয়ে মরে যাওয়া নতুন কিছু নয় ওদের কাছে। ওরা জানে, মা বাবা ভিন দেশ থেকে ওদের জন্য নিয়ে আসবে খাওয়া। ঘরে এখনো থেকে যাওয়া খাদ্যের অবশিষ্ট ফুরিয়ে গেলে ওরা অপেক্ষা করবে। ওরা অপেক্ষা করতে শিখে গিয়েছে। 

-পুরুষ বা অন্য সব মেয়েদের দেখছি না তো!

-বললাম তো ওরা সবাই ভিন্‌ দেশে কাম্‌লার কাজ করতে গিয়েছে। ধান কাটা শেষ হলে ফিরে আসবে ঘরে। যে যেটুকু পারে নিয়ে আসবে ক্ষুধা নিবারণের অন্ন।

 - এখানে তো কোন যানবাহনের আসার মত কোন পথও দেখছি না!

-দেখবে না। নিজেই তো দেখলে, বাস থেকে নেমে কতটা হেঁটে এলাম এখানে। আর এই যে জমিটায় ওরা ঘর তুলেছে, সবটাই ব্রম্ভডাঙ্গা। এখানে কোন জলের ব্যবস্থা নেই। ফসল ফলে না। পানীয় জল পাঁচ ছ কিলোমিটার দূরে একটা সরকারী কুয়ো আছে, সেখান থেকে নিয়ে আসে। দু চারটে ফলের গাছ লাগিয়েছিল। বাঁচে নি।

-তুমি এত সব জানলে কী করে!

-যখন ওরা ফিরে আসে, সে সময়ে আসি। ওদের সঙ্গে গল্পগাছা করি। বেশি কিছু বয়ে আনার ক্ষমতা তো নেই আমার। ওদের জন্য বিড়ি সিগারেট আর কিছু গুড় বাতাসা চিনি নুন নিয়ে আসি। জানি, বিড়িটিড়ি আনা, এটাও ঠিক না। তবু আনি। ওদের পুরনো বন্ধু হিসেবেই আনি। ওরা আমাকে খেতে দেয় মোটা চালের ভাত, সবজি। আর হাঁড়িয়া। এ টুকুই তো ওদের বিনোদন।

আর কোন প্রশ্ন করি নি। মাথা নিচু করে ফিরে এসেছিলাম। 

এটুকু হচ্ছে দীর্ঘ এক রচনার সামান্য অংশ। আপনারা পরিত্রাণ চাইছেন, অনুমান করছি। ক্ষমা করবেন। আর সামান্য কয়েকটি কথা। 

দিনের পর দিন অনিলের কথা শুনতে শুনতে মনে হয়,  রমেনের মত মানুষকে হিসেবের বাইরে রাখলে অনিলের মত মানুষেরও হয়ত দেখা পাওয়া যায়, যারা কেবল খিদে বোঝে না, অপরের জন্য অনুভব করে, সাধ্যমত চেষ্টা করে দারিদ্র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, অন্তত শারীরিকভাবে, মানসিকভাবে। এটুকুই ভরসার কথা। সর্বার্থেই ভারত এগোবেই একদিন, অনিলের মত মানুষের জন্যই উপরে দেওয়া সব খারাপ খারাপ তথ্য পাল্টে যাবে আগামীতে। আমাদের তিনজনের আর ক্ষিধে থাকবে না। ভয়ংকর এক প্যানডেমিকের মধ্যে দিয়ে এগোলেও, আমরা আশা করব, এ সবই সাময়িক। ৫ বছরের নিচে শিশুদের অপুষ্টিতে ভুগতে ভুগতে নানান অসুখে আর ঢলে পড়বে না মৃত্যুর কোলে, প্রতিদিন আমার এই প্রিয় জন্মভূমিতে ৩০০০ শিশু অপুষ্টিজনিত অসুখে হারিয়ে যাবে না চিরতরে মায়ের কোল থেকে, পেটের খিদে নিয়ে মানুষ প্রতি রাত্রে আর ঘুমোতে যাবে না সর্বহারার বিছানায়।


-


No comments:

Post a Comment