লাল চোখ
জলে ডুব দিয়ে থাকি। যতক্ষণ না চোখ লাল হয়ে যায়। জ্বালা করে। কঁচুপাতার চশমা বানিয়ে তার ভেতর দিয়ে সূর্য দেখি। চোখ ঠান্ডা হয়। তারপর টক আম। কে কত জোড়ে টকাস করতে পারে তার প্রতিযোগিতা।
যারা টক ভালোবাসে আমি তাদের দিকে মোহবিষ্ট হয়ে তাকাই। মনে হয় একটা ফোয়ারা আছে তাদের শরীরে। তাদের মুখের ভেতর। ঝরঝর করে তার জল নেচে ওঠে। যেমন করে নাচতো সেই দুই মাস থাকতে আসা পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া মেয়েটি।
নাচতে শুরু করলে সে কেমন যেন অপ্সরা হয়ে যেত। ওর শরীর থেকে রহস্যময় চুম্বক বেড়িয়ে আসতো। আমি নিচু হয়ে ওর পা দেখতাম। গোড়ালি দেখতাম। গোছ দেখতাম। ও হেসে উঠলে দেখতাম ওর বুকের ভেতরে একটি দাম্ভিক সাপ খেলা করছে।
যখন দুপুরবেলায় জলে নামি, জলে ডুবে চোখ খুলে থাকি। দেখি মেয়েটি নাচতে নাচতে পোশাক খুলে ফেলছে। গোড়ালি থেকে মাথা পর্যন্ত তাকে অপ্সরা মনে হয়। জিভ বের করে আমাকে ছুঁতে আসে। দাম্ভিক সাপ হয়ে পাথর হয়ে যাওয়া দৃষ্টিকে চেটে নেয়। আর আমার চোখ লাল হতে থাকে। আমি কঁচুপাতার চশমা পরে বাড়ি ফিরতে থাকি। মাঝে মাঝে ভাবি মেয়েটিকেও ডাক দেব। অথচ ওর নাম কিছুতেই মনে করতে পারিনা।
এক বিষ্যুদবারের সন্ধ্যায়
এক বিষ্যুদবারের সন্ধ্যায়, আলোর লোভে পর্দা সরাতে গিয়ে, সারা শরীর ঠকঠক করে কেঁপে উঠেছিল । পর্দা যা ঢেকে রাখে তার গভীরে থাকে রহস্য মনোরম। ডুবে যেতে যেতে আলোর ধার ধরে আমি তখন ভেসে থাকার চেষ্টা করছি আর আমার জিভ ঠান্ডা হয়ে আসছে।
আলোর প্রবঞ্চনায় চোখ চলে গিয়েছিল মোহরের মায়াময় দেহে। যত রহস্য ছিল এতদিন আলো তাকে ভেঙে দিচ্ছিল। আমি কাঁদতে পারছিলাম না। আমার পাপিষ্ঠ চোখ মুগ্ধ হয়ে দেখছিল মোহরের শাড়ি কেমন করে ওর পায়ের কাছে লুটিয়ে আছে । বাতাস বেইমানের মতো ওর চুল নিয়ে খেলছিল। আলো ছুঁয়ে দিচ্ছিল চোখ আর বুকের উজ্জ্বল দুই মণি।
আমার মৃত্যুর আগে, আমি বুঝতে পারছিলাম, অধ্যাবসায় আর বিদগ্ধ পাঠের বাইরে এক মর্মান্তিক অথচ সুন্দর পৃথিবী আছে। তার কথা কেউ কেউ জানে। তার ছবি কোনদিন মোছা যায়না। তাকে বহু যত্নে গোপন করে রাখতে হয়।
জলে ডুব দিয়ে থাকি। যতক্ষণ না চোখ লাল হয়ে যায়। জ্বালা করে। কঁচুপাতার চশমা বানিয়ে তার ভেতর দিয়ে সূর্য দেখি। চোখ ঠান্ডা হয়। তারপর টক আম। কে কত জোড়ে টকাস করতে পারে তার প্রতিযোগিতা।
যারা টক ভালোবাসে আমি তাদের দিকে মোহবিষ্ট হয়ে তাকাই। মনে হয় একটা ফোয়ারা আছে তাদের শরীরে। তাদের মুখের ভেতর। ঝরঝর করে তার জল নেচে ওঠে। যেমন করে নাচতো সেই দুই মাস থাকতে আসা পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া মেয়েটি।
নাচতে শুরু করলে সে কেমন যেন অপ্সরা হয়ে যেত। ওর শরীর থেকে রহস্যময় চুম্বক বেড়িয়ে আসতো। আমি নিচু হয়ে ওর পা দেখতাম। গোড়ালি দেখতাম। গোছ দেখতাম। ও হেসে উঠলে দেখতাম ওর বুকের ভেতরে একটি দাম্ভিক সাপ খেলা করছে।
যখন দুপুরবেলায় জলে নামি, জলে ডুবে চোখ খুলে থাকি। দেখি মেয়েটি নাচতে নাচতে পোশাক খুলে ফেলছে। গোড়ালি থেকে মাথা পর্যন্ত তাকে অপ্সরা মনে হয়। জিভ বের করে আমাকে ছুঁতে আসে। দাম্ভিক সাপ হয়ে পাথর হয়ে যাওয়া দৃষ্টিকে চেটে নেয়। আর আমার চোখ লাল হতে থাকে। আমি কঁচুপাতার চশমা পরে বাড়ি ফিরতে থাকি। মাঝে মাঝে ভাবি মেয়েটিকেও ডাক দেব। অথচ ওর নাম কিছুতেই মনে করতে পারিনা।
এক বিষ্যুদবারের সন্ধ্যায়
এক বিষ্যুদবারের সন্ধ্যায়, আলোর লোভে পর্দা সরাতে গিয়ে, সারা শরীর ঠকঠক করে কেঁপে উঠেছিল । পর্দা যা ঢেকে রাখে তার গভীরে থাকে রহস্য মনোরম। ডুবে যেতে যেতে আলোর ধার ধরে আমি তখন ভেসে থাকার চেষ্টা করছি আর আমার জিভ ঠান্ডা হয়ে আসছে।
আলোর প্রবঞ্চনায় চোখ চলে গিয়েছিল মোহরের মায়াময় দেহে। যত রহস্য ছিল এতদিন আলো তাকে ভেঙে দিচ্ছিল। আমি কাঁদতে পারছিলাম না। আমার পাপিষ্ঠ চোখ মুগ্ধ হয়ে দেখছিল মোহরের শাড়ি কেমন করে ওর পায়ের কাছে লুটিয়ে আছে । বাতাস বেইমানের মতো ওর চুল নিয়ে খেলছিল। আলো ছুঁয়ে দিচ্ছিল চোখ আর বুকের উজ্জ্বল দুই মণি।
আমার মৃত্যুর আগে, আমি বুঝতে পারছিলাম, অধ্যাবসায় আর বিদগ্ধ পাঠের বাইরে এক মর্মান্তিক অথচ সুন্দর পৃথিবী আছে। তার কথা কেউ কেউ জানে। তার ছবি কোনদিন মোছা যায়না। তাকে বহু যত্নে গোপন করে রাখতে হয়।
No comments:
Post a Comment