মিলটন রহমানের তিনটি কবিতা
আবরার
আমার চোখে কোন জল নেই, চোয়াল খটখটে
এখানে সেখানে আঠার মতো লেগে আছে রোনাজারী
বধির হয়ে আছি শুনতে পাই না কিছু, হায় বন্ধুরা
চোখেতো কিছুই দেখি না, এমনকি মায়ের মুখও
বুঝতে পারছি না, আমার কি তাহলে সব গেলো?
নাকি আমার দেশ, চিন্তুক, করাহারি ভোতা হয়ে গেলো।
আমাকে কেনো কেউ শুনতে পাই নি, কেনো শুনতে পায় না
আমার মা ঠিকই শুনতে পায়, আমিও মাকে
প্রতিক্ষণ কথা হয়, কান্না বিনিময়, চোখের জল
আমার চোখে তো জল নেই, সব জল মায়ের চোখে
হাতও কাজ করছে না, মা‘র চোখের জল মুছি কি করে!
বাবার চোখে লাফিয়ে উঠছে বাংলাদেশ
বাবার দু‘হাতে লাফিয়ে উঠছে ভাঙাচূড়া একটা মানচিত্র
কারা ভেঙেছে? ওরাইকি তবে শুষে নিয়েছে আমার সব?
আমি কি কোথাও নেই আর?
পড়ার টেবিল, ক্লাসের টেবিলে, বিকেলের গানে
সন্ধ্যের পুষ্পানন্দে, রাতের নিশুতি নওবতে
আমি কি কোথাও নেই?
মা কেবল কাঁদছে কিছুই বলে না
ঘরের দাওয়া থেকে কেবল দেখছে, আমি
কিভাবে শুয়ে আছি শুতীব্র মাটির বিছানায়।
যে পথের ধুলোয় এখনো গড়াগড়ি দেয় আমার শৈশব
যে পথে বাবার হাতে ভর করে পার হয়েছি সেতু
আমি সেই পথের ধারে শুয়ে আছি
আমিতো অনেক কথা বলছি
আমাকে যারা বেদম পেটালো তাদের জন্য করুনা
আমার রাজনীতিকদের জন্য বিন¤্র ঘৃণা
আর তোমার জন্য, হে তোমার জন্য হে পিতা
স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে ওদের অস্তিত্ব তুলে নিচ্ছি
কেউ না শুনলেও আমার কথা শুনতে পাচ্ছে মা
তুমিই সবাইকে বলে দাও মা, আমি সর্বত্র আছি
আমার গ্রামের কৃষক-মুটে-মজুর, বাউল-ভবঘুরে
আমার প্রাইমারি স্কুলের বারান্দায়, খেলার মাঠে
বাবার কাধে লেগে আছি বড় ভার
তুমি আমার সব কথা বলে দাও মা
তুমিতো আমাকে শুনতে পাও!
আমার দেশওতো আমার মা, আমার মাটির গৌরব
সে কি আমাকে শুনতে পায়?
আমি তাকে খাবলে ধরেছি শকুনের মতো
হিংস্র শকুনের হাত থেকে রক্ষা করবো বলে।
পিতার হাত
যাবার আগে ডান হাত উঁচিয়ে পিতা কি বলে গেলেন?
আমি মুহুর্তেই সহস্র বার্তা উড়ে যেতে দেখলাম
দেখলাম ফেরেশতা একটি চকচকে হৃদপিন্ড হাতে
উঠে গেলেন বিস্তৃত আকাশের দিকে।
কিছু মানুষ কিংবা দূতেরা কলেমামুখে ছড়িয়ে পড়লো
পুরো তল্লাটে জেগে থাকা অসংখ্য পুস্পোদ্যানের দিকে
জ্বল জ্বল করে জ্বলে ওঠা চোখ নিয়ে একটি বিড়াল
মাটিতে নেতিয়ে পড়লো প্রচন্ড কান্নায়
আমার মা তাকে কোলে তুলে বললেন, এখানেই থাক।
আমরা এক একজন ওই হাতের ঈশারায় আকাশ বিদীর্ণ করে
পুরো শূণ্যতা ভরিয়ে তুললাম রোনাজারির শেষ অশ্রুপাতে
তখনো আমি দেখলাম-
পিতার আঙ্গুল বেয়ে উর্ধ্বে উঠে গেলো একঝাঁক সাদা পায়রা
তারা পাখায় ভর করে নিয়ে গেলো সহ¯্র তারার জিকির
এক এক করে পাশ থেকে উঠে বার্তা নিয়ে ফেরেশতারা চলে গেলো
পিতার হৃদপিন্ড বেয়ে তারা হাওয়ায় বিলিয়ে দিলো আতরের ঘ্রাণ
পিতার দু‘চোখ থেকে আলোর নহরের মতো উঠে আসা
স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব এমনকি সড়কের পাথরেরা
একটি শোক অথচ আলোকরশ্মি হাতে তৈরী করলো দীর্ঘ মিছিল।
পিতা-
তুমি এ কোন নতুন বিশ্বে দাঁড় করিয়ে দিয়ে গেলে আমাদের?
পৃথিবীতে তোমার বিচরণ শেষে কেনো বুঝতে হলো-
তুমি সেই মহাপ্রাণ, যেখানে কেবলই মানব মঙ্গলের বাতি জ্বলে
সৃষ্টির সেরা মাকলুকাতের হাতের প্রতিটি আঙ্গুল উচ্চস্বরে জিকির করছে
তোমার নাম, আকাশের প্রতিটি ভাঁজে তুমি জেগে উঠছো
তুমি কোথাও যাও নি জেনে আমি নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়েছি, পিতা
জেগে উঠে তোমাকে দেখবো বলে!
গান
আয়, তোকে দেখতে মন চায়
আমাদের উঠোনের রক্তজবার মতো
সকাল গড়িয়ে দুপুর তারপর বিকেল হতে
বুকে কুড়িয়ে নেয়া অস্তগামী রেলের মতো
তোকে দেখতে ইচ্ছে করে।
নিষুতি রাতে হাসনাহেনা মৌতাতের সাথে
আমি যে পরীনৃত্যে জেগে রইতাম
ভোরে গন্ধরাজের যে নি:শ্বাস নিয়ে
চোখের শীতলতর গভীরে রেখে দিতাম
তার মতো তোকে দেখতে মন চায়
অনন্তত আর কিছ ুনা হোক তুই চলে আয়
কাঠালিচাপার মতো হলুদ বিকালে, কিংবা
দুধঘাসের মতো ধবল-সবুজ প্রহরে
আমি উঠোনে বসে আছি প্রচন্ড শীকড় গেড়ে
আমাদের মোরগফুলের মতো লাল কিংবা বেগুনি
আসতে আসতে যখন শুনবি কোন বন্যবিহারে
গান বেজে উঠছে, সেখানে নেমে যাবি
আমি ওই গানবাজির কবুতর
তোর জন্য বসে আছি প্রাগৈতিহাসিক বৈরাগী
তোকে আরেকবার দেখবো বলে।
আমার চোখে কোন জল নেই, চোয়াল খটখটে
এখানে সেখানে আঠার মতো লেগে আছে রোনাজারী
বধির হয়ে আছি শুনতে পাই না কিছু, হায় বন্ধুরা
চোখেতো কিছুই দেখি না, এমনকি মায়ের মুখও
বুঝতে পারছি না, আমার কি তাহলে সব গেলো?
নাকি আমার দেশ, চিন্তুক, করাহারি ভোতা হয়ে গেলো।
আমাকে কেনো কেউ শুনতে পাই নি, কেনো শুনতে পায় না
আমার মা ঠিকই শুনতে পায়, আমিও মাকে
প্রতিক্ষণ কথা হয়, কান্না বিনিময়, চোখের জল
আমার চোখে তো জল নেই, সব জল মায়ের চোখে
হাতও কাজ করছে না, মা‘র চোখের জল মুছি কি করে!
বাবার চোখে লাফিয়ে উঠছে বাংলাদেশ
বাবার দু‘হাতে লাফিয়ে উঠছে ভাঙাচূড়া একটা মানচিত্র
কারা ভেঙেছে? ওরাইকি তবে শুষে নিয়েছে আমার সব?
আমি কি কোথাও নেই আর?
পড়ার টেবিল, ক্লাসের টেবিলে, বিকেলের গানে
সন্ধ্যের পুষ্পানন্দে, রাতের নিশুতি নওবতে
আমি কি কোথাও নেই?
মা কেবল কাঁদছে কিছুই বলে না
ঘরের দাওয়া থেকে কেবল দেখছে, আমি
কিভাবে শুয়ে আছি শুতীব্র মাটির বিছানায়।
যে পথের ধুলোয় এখনো গড়াগড়ি দেয় আমার শৈশব
যে পথে বাবার হাতে ভর করে পার হয়েছি সেতু
আমি সেই পথের ধারে শুয়ে আছি
আমিতো অনেক কথা বলছি
আমাকে যারা বেদম পেটালো তাদের জন্য করুনা
আমার রাজনীতিকদের জন্য বিন¤্র ঘৃণা
আর তোমার জন্য, হে তোমার জন্য হে পিতা
স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে ওদের অস্তিত্ব তুলে নিচ্ছি
কেউ না শুনলেও আমার কথা শুনতে পাচ্ছে মা
তুমিই সবাইকে বলে দাও মা, আমি সর্বত্র আছি
আমার গ্রামের কৃষক-মুটে-মজুর, বাউল-ভবঘুরে
আমার প্রাইমারি স্কুলের বারান্দায়, খেলার মাঠে
বাবার কাধে লেগে আছি বড় ভার
তুমি আমার সব কথা বলে দাও মা
তুমিতো আমাকে শুনতে পাও!
আমার দেশওতো আমার মা, আমার মাটির গৌরব
সে কি আমাকে শুনতে পায়?
আমি তাকে খাবলে ধরেছি শকুনের মতো
হিংস্র শকুনের হাত থেকে রক্ষা করবো বলে।
পিতার হাত
যাবার আগে ডান হাত উঁচিয়ে পিতা কি বলে গেলেন?
আমি মুহুর্তেই সহস্র বার্তা উড়ে যেতে দেখলাম
দেখলাম ফেরেশতা একটি চকচকে হৃদপিন্ড হাতে
উঠে গেলেন বিস্তৃত আকাশের দিকে।
কিছু মানুষ কিংবা দূতেরা কলেমামুখে ছড়িয়ে পড়লো
পুরো তল্লাটে জেগে থাকা অসংখ্য পুস্পোদ্যানের দিকে
জ্বল জ্বল করে জ্বলে ওঠা চোখ নিয়ে একটি বিড়াল
মাটিতে নেতিয়ে পড়লো প্রচন্ড কান্নায়
আমার মা তাকে কোলে তুলে বললেন, এখানেই থাক।
আমরা এক একজন ওই হাতের ঈশারায় আকাশ বিদীর্ণ করে
পুরো শূণ্যতা ভরিয়ে তুললাম রোনাজারির শেষ অশ্রুপাতে
তখনো আমি দেখলাম-
পিতার আঙ্গুল বেয়ে উর্ধ্বে উঠে গেলো একঝাঁক সাদা পায়রা
তারা পাখায় ভর করে নিয়ে গেলো সহ¯্র তারার জিকির
এক এক করে পাশ থেকে উঠে বার্তা নিয়ে ফেরেশতারা চলে গেলো
পিতার হৃদপিন্ড বেয়ে তারা হাওয়ায় বিলিয়ে দিলো আতরের ঘ্রাণ
পিতার দু‘চোখ থেকে আলোর নহরের মতো উঠে আসা
স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব এমনকি সড়কের পাথরেরা
একটি শোক অথচ আলোকরশ্মি হাতে তৈরী করলো দীর্ঘ মিছিল।
পিতা-
তুমি এ কোন নতুন বিশ্বে দাঁড় করিয়ে দিয়ে গেলে আমাদের?
পৃথিবীতে তোমার বিচরণ শেষে কেনো বুঝতে হলো-
তুমি সেই মহাপ্রাণ, যেখানে কেবলই মানব মঙ্গলের বাতি জ্বলে
সৃষ্টির সেরা মাকলুকাতের হাতের প্রতিটি আঙ্গুল উচ্চস্বরে জিকির করছে
তোমার নাম, আকাশের প্রতিটি ভাঁজে তুমি জেগে উঠছো
তুমি কোথাও যাও নি জেনে আমি নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়েছি, পিতা
জেগে উঠে তোমাকে দেখবো বলে!
গান
আয়, তোকে দেখতে মন চায়
আমাদের উঠোনের রক্তজবার মতো
সকাল গড়িয়ে দুপুর তারপর বিকেল হতে
বুকে কুড়িয়ে নেয়া অস্তগামী রেলের মতো
তোকে দেখতে ইচ্ছে করে।
নিষুতি রাতে হাসনাহেনা মৌতাতের সাথে
আমি যে পরীনৃত্যে জেগে রইতাম
ভোরে গন্ধরাজের যে নি:শ্বাস নিয়ে
চোখের শীতলতর গভীরে রেখে দিতাম
তার মতো তোকে দেখতে মন চায়
অনন্তত আর কিছ ুনা হোক তুই চলে আয়
কাঠালিচাপার মতো হলুদ বিকালে, কিংবা
দুধঘাসের মতো ধবল-সবুজ প্রহরে
আমি উঠোনে বসে আছি প্রচন্ড শীকড় গেড়ে
আমাদের মোরগফুলের মতো লাল কিংবা বেগুনি
আসতে আসতে যখন শুনবি কোন বন্যবিহারে
গান বেজে উঠছে, সেখানে নেমে যাবি
আমি ওই গানবাজির কবুতর
তোর জন্য বসে আছি প্রাগৈতিহাসিক বৈরাগী
তোকে আরেকবার দেখবো বলে।
Did you know there is a 12 word phrase you can speak to your partner... that will induce deep emotions of love and instinctual attractiveness to you deep within his heart?
ReplyDeleteThat's because deep inside these 12 words is a "secret signal" that fuels a man's instinct to love, look after and guard you with all his heart...
12 Words Will Fuel A Man's Desire Impulse
This instinct is so hardwired into a man's genetics that it will make him work better than ever before to make your relationship as strong as it can be.
In fact, fueling this powerful instinct is so essential to achieving the best ever relationship with your man that the moment you send your man one of these "Secret Signals"...
...You will instantly find him expose his heart and soul to you in such a way he's never expressed before and he will distinguish you as the one and only woman in the galaxy who has ever truly tempted him.