Saturday, February 24, 2024

 নিমাই জানার তিনটি কবিতা


সেফালিক্সিন ঔষধি বৃক্ষ ও তরল পুরুষের ত্রিশূল


হর্মোনাল সিক্রেশন অথবা ডায়াস্টোলিক রাত্রি কাউকে সুখী করেনা 
ডিহাইড্রেটেড আগুন খেতে শিখেছে নিজের লাভারসে ডুবিয়ে কাগচি লেবুর মতো তরল নৌকা গ্রন্থির উপর ক্ষুদ্র ভগ্নাংশহীন হৃদয়ের পুরুষেরা ত্রিশূলের নৌকা এনে বসিয়ে রাখবে আমাদের সংসার উপত্যকার মাঠে , অ্যালকোহলের কখনো জ্বর কমেনা
সকলেই কেমন অশরীর রঙের ভেজা পরিচ্ছদকে উল্টো মুখে নামিয়ে রাখতে পারে বসনহীন খয়েরি উপত্যকার মাঝে
একটি আগুনের নাম কখনো গোলাপি শহর হতে পারে না
আমি সাদা রঙের উপপাদ্যে ভেজা অন্তর ফলকের বিষন্ন গাণিতিক সূক্ষ্মকোণকে সুমেরু গতিপথে আটকে গেছি বারবার রাতের মধ্য প্রদেশের কোন নারী শুনিয়ে যাবে সেফালেক্সিন রাত অথবা ড্রোটাভেরিন ইমপোটেন্সি আয়ান কথা , রাধা কোন ক্ষেত্রফলের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া জানেন না
আমি সেগুন বাগিচার কাছে মৃত সাপেদের উলঙ্গ দেহ আলগা করে শীতকালের সাংখ্যমান নামিয়ে আনি আমার যৌগিক গণিত খাতায় , রক্ত নিজেকে খেতে পারেনা সরীসৃপের হাঁ মুখ দিয়ে



শব্দ পুরুষ ও ব-দ্বীপের মায়া নারী

তন্ময় মৃত্যু আরো কঠিন হতে পারে , আলোকবর্ষের ঠোঁটে হালকা  ধর্মহীন অঙ্গুরীমাল জলজ খনিজেরা ভেসে থাকবে কচুরি পানার মতো
আমাদের এক রাত্রিকালীন হরপ্পা নারীর ভেতর শব্দপুরুষ জেগে উঠবে পর্বমধ্য সাপের মতো
এখন লিগামেন্টের পাশে আমি আমার বিনীত রক্ত নিয়ে এগিয়ে যাবো ধাবমান নৌকার দিকে , আমি একটি ব-দ্বীপের আগুন খুঁজছি যেখানে মায়ানারীটি জেগে উঠবে পিচ্ছিল অরণ্যের দিকে মুখ করে
দেওয়ালের মতো কোন প্রাচীন পুরুষ নেই যার কোন অসুখের উষ্ণতার একক থাকেনা বগলের তলায় , আমার উল্টানো রেইনকোটের মুখ ও হাত দিয়ে টপটপ রক্তের বমি উপুড় হয়ে পড়ছে
আমি তার শারীরবৃত্তীয় দিনের সমাকলন করছি বজ্রপাতের নিচে দাঁড়িয়ে,  রেনকোট আসলে একটি মানুষের বহিঃপ্রকাশ মাত্র
মৃত্যু শরীরের থার্ড ডিগ্রি আগুনের জ্বর গায়ে আমি সন্ন্যাসী মাঠে ধীরে ধীরে উলঙ্গ হওয়ার মন্ত্র শিখে ফেলবো অক্ষরের জরায়ু নিয়ে কখনোই দ্বৈত ক্ষেত্রফল অচেতন নয় , কর্মযোগী মানুষেরা নির্ভার ফসল তুলে বাড়ি ফেরেন চৌকাঠ বারান্দা দিয়ে


বিদূষক ও পানকৌড়ির অলৌকিক স্তব


পানকৌড়ির মৃত নাভির স্তবে বসে আছেন ক্যাসিওপিয়া মাখানো ফ্যালোপিয়ান মৃত ডিম্বাণুর দল
ভয়ার্ত বালকের মতো ওই চৌকোনা ঘরের দিকে আর যেতে পারছিনা মৃত্যু মুখ নিয়ে
সকলের পিঠে কেমন রুপোলি অথচ সালংকারা চতুর্ভুজ দেহ নিয়ে নিরাকার হেসে যাচ্ছেন আগুন স্ফুলিঙ্গের ভায়াগ্রা বরফ
চমৎকার পোশাকটি আপেল বর্ণের মতো টোল খাওয়া অস্টিও অস্থিসন্ধিতে রজনীগন্ধার মালা ঝুলছে বিষন্ন পুরোহিতের হাতে চেয়ে দেখো স্থানু ঘোড়া, এখানে সব বিদুষক পুরুষেরা অন্তিম স্বরবর্ণ ঢুকিয়ে রাখছে নিজের ক্ল্যারিওনেট শ্বাস বায়ুর ভেতর
আমি মৃত্যুর একেবারেই শূণ্য স্থানাঙ্কের কাছে বসবাস করেছি হলুদ পাজামা গায়ে দিয়ে , এখন অলৌকিক মাঠের জাম পুরুষেরা নিরাকার ত্রৈরাশিকে লীন হয়ে আছে লাবণ্য লতা দিয়ে
ঘরের দিকে চলো চিতা কাঠ ,ব্রাহ্মণের উপবীত ও সাইটোপ্লাজম ঠোঁটের হত্যা কালে বৃত্তাকার কাঠে গজিয়ে উঠছে সমাঙ্গ দেহী ঘোলাজল , আমি হরপ্পা নারীটির পেটে অসংখ্য জিওল মাছের নরম শুক্রাণু আটকে রাখি লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে
জনহীন সাদা পোশাক পরে কংক্রিটের দাঁতে রাত্রিকে চিবিয়ে নরম জবা ফুলের জন্ম দেয় সাবিত্রী দেবী , অথচ কামনা তীরেও বিদ্ধ ঈশ্বরবাদ
সমুদ্রগড় সৃষ্টি করেন আগুনের ৩৬টি জনন ছিদ্র দিয়ে

No comments:

Post a Comment