ইকোগুলি
তুহিন দাস
*
নোয়ানো হাওয়ার দিনে লিখি, এ কাব্যচিৎকারে লেগে
আছে কবেকার ধুলো, লিখি তার কথা যে শাদামাটা
পাথর রং করে দু’বেলা, লিখি কাঁচের ভেতর নক্ষত্রের ছবি,
লিখি অকপটে নিজের মুখোশ ধুয়ে আজ শুকোতে দিয়েছি
*
শান্ত থাকুন, আপনার কল্পঘোড়াটি হারিয়ে ফেলার পরও
শান্ত থাকুন, কেউ ছায়ার মতো হতে চায় শুনলেও
কেননা ছায়াদের কোন বিরোধ নেই, থাকুন হারানো বোতামের
মতো ঘরের কোণে পড়ে, শান্ত থাকুন—জুন মাস চলে যাক একা
*
কেউ বলে আর কোন বিচ্ছিন্নতা নয়, আমি বলি
সেই তো ফিরে যেতে হবে তার আগে কিছু বিচ্ছিন্নতা
জেনে রাখা ভালো, যেভাবে দেয়ালের গায়ে এসে ভেঙে পড়ে
দু’রকম হাওয়া ভাস্কর্য—ভেতরের ও বাহিরের, দেয়ালের কোন ভাষা নেই
*
অসংখ্য তর্জনীর প্রতিবিম্বে ছেয়ে থাকে দিন, শীতের হিম
কাঁচের স্মৃতি মনে পড়ে এ গ্রীষ্মে-ও, হঠাৎ দৃশ্যে মৃত প্রজাপতি
ফুটে ওঠে, আমি তখন ভাবি মৃত শরীরের অভিভাবকত্ব
কে করে? চলো যাই দূরে, নতুন মানুষ যায় বহুদিনের পুরনো ট্রেনে
*
আকাশে মেঘের তিল, কবিতা লেখার দিন, আজ নিসর্গের ভেতর
পড়ে আছে ইস্পাতের স্মৃতি, বিশেষ চশমা পড়ে নিলে হাওয়ায়
আমাদের আঙুলের ছাপ দেখা যায়, শব্দকে মোজাইক করে
লিখে রেখে যাচ্ছি আমার নাম, কখনো ফ্লাশ করছে বৃষ্টি
No comments:
Post a Comment