তন্ময় ধরের কবিতা
শিলালেখ ১
আদতে দুর্বল চুনাপাথর। তবু এক্সকার্শনের নামে প্রায় একশো ছাত্রী ভেতরে ঢুকে এল, সেলফি তুলে ফেলল। ওদের তাচ্ছিল্যে ঠান্ডা হয়ে গেল আমাদের প্রাগৈতিহাসিক বিবাহবার্ষিকীর খাবার ও ফুল। তোমার জন্যে সহজ একটা অঙ্ক রেখে গেল ওরা।
সময়ের আলোর ওপিঠে তৃষ্ণা একা। সংসার চুঁইয়ে সামান্য জল, এত পাথরকে কে রূপকথা শোনাবে? সতেজ দগ্ধ খাবার থেকে পাথুরে রাস্তা চলে গেছে বহুদূরে। ওল্টানো জিভে, দাঁতে, কামড়ে- সমস্ত পাতাল ভুবনেশ্বরে একই কৌশলে মরে যাচ্ছো তুমি। নীচু হওয়া পূর্বাস্য আকাশ- তারও প্রয়োজন মিটে গেছে
স্পর্শেরা তো যায় নি কোথাও। এখানে ধুলোয়-অন্ধকারে এত রঙ, এত আলো কেন? মাংসের ভাষা থেকে তোমার দীর্ঘতম চুল অগণিত হাঁটছে প্রতিফলিত শয্যাদৃশ্যে। রেসিপির দূরত্বে অল্প অল্প করে জমছে বন্যতা, তোমার কন্ঠস্বর ছাড়াই। এবারে প্রাচীন দুধে ভেসে উঠছে কলিফর্ম...
শিলালেখ ২
এইভাবে আরো একটা শব্দহীন শব্দ ব্যবহৃত হয় আমার মিউজিয়ামে। কাঁচে প্রতিবিম্ব পড়ে মৃতের উদ্দেশ্যে রাখা ক্ষুধা, জীবাশ্ম ও অস্ফুট দন্ডের। এত গভীর সেজেছো কেন তুমি? কি নাম এই শাড়ির? তৃষার্ত সিল্ক মথে উ-কারান্ত সৃষ্টিরহস্য... গাইড যদিও বললেন, সময় অপচয় করে ফেলেছি আমরা
একটু একটু করে আগুন চুরি করে পালাচ্ছি... অবিশ্বাস্য খানিকটা সিল্ক রুট দিয়ে... জলের চিহ্ন নেই, মৃগতৃষ্ণার চিহ্ন নেই... নিজেদের ছায়ার ভেতর বমি করছে খিদে ও অ্যাসিডিটি... ধূসর মথ দিক পালটে নেমে আসছে অন্য প্রতিসরাংকে... আমি পৃষ্ঠা মুড়ে রাখি রদ্যাঁ ও ক্যামিই ক্লদেলের প্রেমকাহিনীর
ফরম্যালিনের গন্ধ থেকে অবুঝ একটা ছবি আমাদের ঢেকে রেখেছে। খিদের মুখে ভুল হয়ে যায় বর্ণমালায়। আহ, চেপে ধরো এই ঐশ্বরিকটুকু। স্বরসন্ধি ভেঙে একটা ভয় গড়িয়ে পড়ছে। কীটপতঙ্গের সাহসে সেই প্যালিওলিথিক সূর্য প্রবল
আদতে দুর্বল চুনাপাথর। তবু এক্সকার্শনের নামে প্রায় একশো ছাত্রী ভেতরে ঢুকে এল, সেলফি তুলে ফেলল। ওদের তাচ্ছিল্যে ঠান্ডা হয়ে গেল আমাদের প্রাগৈতিহাসিক বিবাহবার্ষিকীর খাবার ও ফুল। তোমার জন্যে সহজ একটা অঙ্ক রেখে গেল ওরা।
সময়ের আলোর ওপিঠে তৃষ্ণা একা। সংসার চুঁইয়ে সামান্য জল, এত পাথরকে কে রূপকথা শোনাবে? সতেজ দগ্ধ খাবার থেকে পাথুরে রাস্তা চলে গেছে বহুদূরে। ওল্টানো জিভে, দাঁতে, কামড়ে- সমস্ত পাতাল ভুবনেশ্বরে একই কৌশলে মরে যাচ্ছো তুমি। নীচু হওয়া পূর্বাস্য আকাশ- তারও প্রয়োজন মিটে গেছে
স্পর্শেরা তো যায় নি কোথাও। এখানে ধুলোয়-অন্ধকারে এত রঙ, এত আলো কেন? মাংসের ভাষা থেকে তোমার দীর্ঘতম চুল অগণিত হাঁটছে প্রতিফলিত শয্যাদৃশ্যে। রেসিপির দূরত্বে অল্প অল্প করে জমছে বন্যতা, তোমার কন্ঠস্বর ছাড়াই। এবারে প্রাচীন দুধে ভেসে উঠছে কলিফর্ম...
শিলালেখ ২
এইভাবে আরো একটা শব্দহীন শব্দ ব্যবহৃত হয় আমার মিউজিয়ামে। কাঁচে প্রতিবিম্ব পড়ে মৃতের উদ্দেশ্যে রাখা ক্ষুধা, জীবাশ্ম ও অস্ফুট দন্ডের। এত গভীর সেজেছো কেন তুমি? কি নাম এই শাড়ির? তৃষার্ত সিল্ক মথে উ-কারান্ত সৃষ্টিরহস্য... গাইড যদিও বললেন, সময় অপচয় করে ফেলেছি আমরা
একটু একটু করে আগুন চুরি করে পালাচ্ছি... অবিশ্বাস্য খানিকটা সিল্ক রুট দিয়ে... জলের চিহ্ন নেই, মৃগতৃষ্ণার চিহ্ন নেই... নিজেদের ছায়ার ভেতর বমি করছে খিদে ও অ্যাসিডিটি... ধূসর মথ দিক পালটে নেমে আসছে অন্য প্রতিসরাংকে... আমি পৃষ্ঠা মুড়ে রাখি রদ্যাঁ ও ক্যামিই ক্লদেলের প্রেমকাহিনীর
ফরম্যালিনের গন্ধ থেকে অবুঝ একটা ছবি আমাদের ঢেকে রেখেছে। খিদের মুখে ভুল হয়ে যায় বর্ণমালায়। আহ, চেপে ধরো এই ঐশ্বরিকটুকু। স্বরসন্ধি ভেঙে একটা ভয় গড়িয়ে পড়ছে। কীটপতঙ্গের সাহসে সেই প্যালিওলিথিক সূর্য প্রবল
No comments:
Post a Comment