Sunday, August 5, 2018


মানিক সাহা 


বিজয় নাম্বিয়ানের কবিতা
(First Infinites)
অনুবাদঃ মানিক সাহা

"Hell, or a state very much llike it, does feature in Nambisan's poetic underworld, which is deep, intricate and enticing. But its attendant horrors are never indulged in for their own sake and are kept well in check by a certain wit, aa muscularity of mind,  which remind mme of a similar grace in poets as far distant in time from each oother as Robert Graves ans John Donne.
- From the Preface  by Adil Jussawall of 'First Infinities'

 বিজয়  নাম্বিয়ান  (1963   -   10 August 2017  ) ছিলেন একজন সাংবাদিক ও লেখক।  তিনি ভারতের অনেক অঞ্চলে কাজ করেছেন এবং পত্রিকায় লিখেছেন। কবি, গদ্যকার  ও কলামিস্ট হিসেবে তিনি জনপ্রিয় ছিলেন। কবিতার পাশাপাশি তাঁর ননফিকশনগুলিও ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয় ও আলোচিত। 'Bihar is in the Eye of the Beholder' বিহারের বাস্তব ছবি তুলে ধরে। বইটি তাঁকে খ্যাতির শীর্ষে স্থাপন করে।
বিজয় নাম্বিয়ান, জিত থেয়িল এবং ডম মোরেসের (সম্পাদক) সাথে 'জেমিনি'র সহ-লেখক ছিলেন। 'জেমিনি' ছিল থেয়িল এর সঙ্গে করা তাঁর প্রথম কবিতা বই। নাম্বিয়ান পুন্ঠনম ও মেলপথুর নারায়ণ ভট্টতীরীর ভক্তিমূলক কবিতাও অনুবাদ করেছেন।
তাঁর বিখ্যাত বই 'ল্যাংগুয়েজ এ এথিক' এ, নাম্বিয়ান ভাষাগতভাবে নৈতিক ব্যবহারের জন্য সাহিত্যের লেখকদের এবং পাঠকদের উভয়ের কাছে আন্তরিকভাবে আবেদন করেছেন।

নাম্বিয়ান তাঁর প্রথম কবিতা 'মাদ্রাজ সেন্ট্রাল'র জন্য  1988 সালে সর্বকালের সর্বভারতীয় কাব্য চ্যাম্পিয়ন হন। এই কবিতাটি সমালোচকদের কাছে প্রশংসা লাভ করে এবং পাঠকপ্রিয় হয়ে ওঠে।
বিজয় নাম্বিয়ান মাত্র 54 বছর বয়সে মারা যান।

অনুদিত কবিতাটি ২০১৫ সালে প্রকাশিত 'First Infinities' কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া। এই বইটিই কবির শেষ প্রকাশিত বই। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বইটি সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কবির বিদেহী আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে এই অনুবাদগুলি তাঁকেই সমর্পণ করলাম।


অন্ত্যেষ্টিগাথা

কবিরা মাছির মতো মরে কিন্তু আমি নিজেকে সামান্য সরিয়ে রেখেছি,
স্পেন বা সিয়াম নিয়েই আমি সন্তুষ্ট, নিজেকে লুকিয়ে রেখেও আমি খুশি।
সেই বন্ধুরা কী সুন্দর লিখতো, এখন ওরা শৃঙ্খলিত,  সুন্দর ইন্দো-ইঙ্গ উচ্চারণ
ওদের জ্ঞানী প্রতিপন্ন করতো, তখন পৃথিবী ছিল নবীন- ওরা তাতে রাজত্ব চালাত।
আমি বাঁচব এবং আমার শব্দকে গোপনেই রেখে দেব, সমালোচনায় জেরবার হয়ে গেছি;
খ্যাতির চেয়ে আমার কাছে প্রিয়ার চুমু অনেক বেশি প্রিয়।

পৃথিবী চকচক করবে তাদের উজ্জ্বল প্রচারের আলোয়; তারপর প্রকাশকেরাও যত্নশীল হবে;
গত বছরের অর্জিত চেক আর অর্থহীন হবে না।
তারপর সংবাদপত্রগুলি লেখা চাইবে; এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তাদের ছাপবে,
এবং তার মূল্য দেবে;
কিন্তু এখন অনেক কানাঘুষো যা এই নিপুন শিল্পকে হিসেবী ব্যাবসায় পরিণত করেছে।
সাপ্তাহিকী, ট্যাবলয়েড ও পেজ থ্রি'র তীব্র প্রচারে
আমি সংকুচিত হয়ে আমার কর্তব্য করে যাই আর প্রিয়ার স্নিগ্ধ চুমু গ্রহণ করি।

সারা পৃথিবী কী বলছে তা নিয়ে তাদের মাথাব্যাথা নেইঃ তারা বরং
কথা লেখার চাতুরী শেখায়।
কবিতা যখন কাতর প্রার্থনা করে মোজাম্বিকে যাওয়ার জন্য, তারা তা লেখে না।
কিন্তু আমি থাকবো আমার কবিতা নিয়েই, এই শীর্ণ কলমের শক্তিতে
আমার প্রতিরোধের বিষয় ও ভাষা নিয়ে, চার কুড়ি দশ বছর বাঁচবো আমি।
এবং যদি প্রমাণিত হয় আমার শক্তি শেষ হয়ে গেছে, যদি শব্দের আশির্বাদ
আর না আসে
তবে প্রেমিক হিসেবে মিথ্যাচারণ কেন করবো আর কেন প্রিয়ার ঠোঁটের স্নিগ্ধ চুমু নেব।

এই হাত একস্ময় সেই কবিতা লিখেছিলঃ যাদের মতো বন্ধু কখনো পাইনি।
সবার সবটুকুর জন্য আমার তৃষ্ণা ছিল আজীবন, কিন্তু লেখাগুলি শেষ হয়ে এল।
তাই অরুণ আর ডম আর নিসিম - আমি তাদের কষ্টার্জিত বেদনা ছেড়ে দেব
আর তাদের খুব মিস করবো, কোমল ছায়ায় স্বস্তি খুঁজে নেব।
এবং আমার যখন নব্বই বছর বয়স হবে আর নতুন কবিরা এসে জিজ্ঞেস করবে
কেন আমি এর  বেশি কিছু কেন লিখিনি
আমি বলবঃ 'অপদার্থের দল! আমার প্রিয়ার কাছে থেকে আমি স্নিগ্ধ চুমু পেয়েছি।"

No comments:

Post a Comment