Tuesday, March 31, 2020


অমিতাভ প্রহরাজের লেখা পাঠ প্রতিক্রিয়া 

জুনিয়রকে লেখা চিরজুনিয়রের খোলা চিঠি-১৭

যাক আমার লেখার ক্লাস তোরা দেখছি একেবারে বৈধ ও পাকাপোক্ত সীলমোহর মেরে দিলি। এ এক অভাবনীয়। বিশ্বরূপ (বিশ্বরূপ বিশ্বাস) কে লেখা নিয়ে ক্রিটিসাইজ করতে গিয়ে খোলা চিঠিগুলি লেখা শুরু করি। আমি ভাবিওনি তার এমন প্রবল রেসপন্স আসবে ইনবক্সে। আমি "লেখা শেখাই" এই দুর্নাম তো আজকের না, বহু বছরের। টু বি ভেরি প্রিসাইজ ২০০৫ থেকে। তা এইরকম প্রকাশ্যে লেখা সম্পর্কিত এইসব ছুপি ছুপি কাজগুলি আনবো, এ স্বপ্নেও ভাবিনি। স্যালুট আমাদের পরের ও পরের পরের প্রজন্মদের যারা এক অলৌকিক খোলার মন নিয়ে এসেছে, প্রি কনসিভড নোশান কমিয়ে রাখার প্রবণতা সহ দার্শনিক পড়াশুনো, তত্ত্ব তর্জা এইসব সরিয়ে লেখার মূল ধুকপুকিটি মুঠোয় নিতে চেয়েছে। লিখে তারা আনন্দের ধ্বকধ্বকখানি বোধ করতে চায়, আর কিছু না। যাক, এই চিঠিতে আমি আমার দশকের অন্যতম গুরুত্ত্বপূর্ণ একজন কবি ও তার লেখা নিয়ে কিছু কথা লিখছি। পড়ে দেখ তোদের কেমন লাগে জানাস। কবির কবিতা আর কবিতা নিয়ে কথাগুলি, দুটোই জানাস। 

কাব্যসব্য-

শূন্যের কবিদের মধ্যে সব্য আক্ষরিক অর্থে ডিসটিঙ্কট এবং আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় শূন্যের একমাত্র সব্য যার নিজের লেখকী খুব স্পষ্ট ভাবে ডিফাইন্ড আছে। লেখকী আমি গায়কীর কনসেপ্ট থেকে বললাম। নিজস্ব স্টাইল বহু কবিরই আছে, ইন ফ্যাক্ট থাকাটা জরুরীও আর স্টাইলাইজড হতে গিয়ে ম্যানারিজমের প্রকোপ আমরা আদিকাল হতে দেখে এসেছি। ঘরানা বা আন্দাজ, এও সংখ্যায় অল্প হলেও অনেক কবির লেখায় পাওয়া যায়, যেমন বহরমপুরের জয়দীপ মৈত্র, বা অত্রি বা শূন্যে এলে অরূপরতন ঘোষ, অরূপ ঘোষ, অতনু, সংঘমিত্রা এরকম কিছু উজ্জ্বল নাম। কিন্ত স্টাইল, আন্দাজ, ঘরানা, ফ্লেভার এই সবের থেকে আলাদা একটা জিনিস হলো লেখকী। 
লেখকী গড়ে ওঠে একের বেশী ঘরানার স্কুলিং এ থেকেও যখন কেউ নিয়মিত রেওয়াজের মধ্য দিয়ে এক নিজস্ব নিরাকার সিগনেচার গড়ে তোলে। এ যেন অনেকটা লেখার গন্ধের মতো। একটা সিমিলি বললে বুঝতে সুবিধে হবে। গন্ধরাজ লেবু লেবু ভাষার মায়া ছড়ানো, এটি হচ্ছে স্টাইল। লেবুফুলের মতো শব্দ যখন তখন ঝরে পড়ছে এ হচ্ছে আন্দাজ বা আদাহ বা পেশকশ। আর লেবুর গন্ধ ভেসে আসছে যে লেখা থেকে সেটা হলো সেই লেখকীর গুণ। লেখকী গড়ে ওঠে মূলতঃ একক বা খুব বেশী হলে একজন কি সঙ্গী নিয়ে এক বিস্তীর্ণ রিওয়াজের পদ্ধতি অবলম্বনে। তার আগে স্কুলিং এর যা যা নেওয়ার জানার সমস্ত সম্পূর্ণ করে নিয়ে, দুটো কি তিনটে ভিন্ন ঘরানার স্কুলিং এর নির্যাসগুলোর নানান এ্যামালগামেশান থেকে শুরু করে। এই পদ্ধতিতে অতি অতি পরিমানে লেখার ক্ষমতা থাকা বাধ্যতামূলক, আর এটা তো বলার কোনো অপেক্ষা রাখে না যে লেখার দীর্ঘমেয়াদী রেওয়াজে ঢুকতে হলে লেখা "প্রকাশ" সংক্রান্ত সমস্ত মোহ ধ্যান ধারণা ঝেড়ে ফেলতে হয়। সব্যর জার্নি, সব্যর রেওয়াজ আমি শুরুর থেকে দেখে আসছি যখন ওকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা মস্করা হতো রীতিমতো। ভালোপাহাড়ে এক মহুয়ার আসরে ওকে বলেছিলাম, শোন তুই এই যে শব্দকে ধ্বনিত করতে চাইছিস ডিরেক্টলি, ছবিকে বাজাতে চাইছিস শব্দে, এটা থামাস না। আমি কোনো হনু নই এজাতীয় উপদেশ দেওয়ার তবে আমার তখন মনে হয়েছিলো হাল্কা হলেও সব্য লেখাগুলির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে স্লাইট হলেও চিন্তায় আছে। এই চিন্তা পরে কেটে গিয়ে এক অনবদ্য কনফিডেন্সের জন্ম দেয় প্লাস এক আদ্যন্ত সায়েন্টিফিক এ্যাপ্রোচ নিয়ে ফেলে লেখার। যার সাথে ভ্রমণকে অঙ্গাঙ্গী জড়িয়ে রাখে। নীচের লেখাটি সব্যর কবিতার সাথে ট্রেকের ফসল। এই লেখাটিতে আমি সব্যর কবিতার প্রত্যক্ষ্য কোনো অংশ না কোট করে বা বলে, চেষ্টা করেছি সব্যর লেখা পাঠের অভিজ্ঞতাটি ক্রিয়েট করার।

একটি লেখা শুরু হচ্ছে-

সব্য- বেবীদা, পেয়েছো?
আমি- হ্যাঁ রে পেয়েছি, আর গতকাল থেকে লিখছি... তোর সবগুলো বইই একসাথে রেখে একটা দুরন্ত অবজার্ভেশান এসেছে, ওটাই লিখছিলাম... মানে চেঞ্জগুলোর প্যাটার্নে.. আর এমন একটা জোনে কাজ করেছিস আর মুভ করেছি যেটা পুরো ওই ম্যাজিক দোলনার মতো লাগে... মানে বিস্তার তোর যেকোনো বিবর্তন-বন্ধ-নাকরা-লেখক মাত্রেই করে... জোন বাড়ায়, আলোকিত অঞ্চল বাড়ায়.... সেটা করার দু রকম টেকনিকের মধ্যে কোনো একটা ব্যবহৃত হয়। সবচেয়ে ব্যবহৃত টেকনিকটি হলো
১) আলোর উৎস যেটা সেটা একটু একটু করে পেছনে নিয়ে গেলাম। তাতে আলোকিত জোন টা বড় হতে হতে যায়। পেছনে বলতে আমি বলছি উঁচুর দিকে পেছনে... নীচে বৃত্তটা বাড়তে বাড়তে থাকে। এট একটা টেকনিক। সহজ কথায় বললে পেছনে সরতে সরতে আসাটা হচ্ছে নিজের লেখার সমস্ত অভিজ্ঞতা দক্ষতাকে ব্যাকট্র্যাক করে নিয়ে যাওয়া। 
এক্সাম্পল হচ্ছে, আমি গাছ দেখলাম। গাছটি আলোকিত করলাম। আরেকটু ওপরে উঠলাম, দেখলাম জঙ্গল। আরেকটু ওপরে উঠলাম, দেখলাম রাজ্য ও রাজ্যের জঙ্গলমহল। আরেকটু ওপরে উঠে দেখলাম দেশ। তারপর পৃথিবীর সবুজ। এভাবেই বিস্তার বাড়িয়ে জগৎ এর সাথে সংসার করা।

২) এছাড়া আরেকটি যে টেকনিক, সেটির জন্য সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন হয় সাহস আর কৌতূহলের। সেখানে আমি নিজেই একটি আলোর উৎস হয়ে ভ্রমণ শুরু করলাম। এখানে কোনো উচ্চতার ব্যাপার নেই। আছে ভ্রমণ, আমি যতো জানা জায়গা বাড়াচ্ছি, তার সাপেক্ষে অজানা জায়গা বেড়ে যাচ্ছে ততো। অজানা বাড়াচ্ছি আমি জেনে জেনে। এবং এক্কেবারে নিপাট অজানার মধ্যে লাফ দিচ্ছি আলোর উৎস হয়ে। ফলে প্রত্যেকটা সময়ে প্রত্যেকটা নতুন অঞ্চল আলোকিত হচ্ছে। ক্রমাগত মুভ করছি আমি কোনো সেন্টার না রেখে। স্থা এর বিপরীতে আমি চলমান রয়েছি কেন্দ্র অস্বীকার করে। তোর লেখাগুলোর মধ্যের এই অসম্ভব মুভমেন্ট যা এক প্রবল সাহসী এ্যাডভেঞ্চার স্বরূপ যেন বোধ হয়। 

এতক্ষন সব্য বা সব্যসাচী হাজরাকে বলছিলাম কথাগুলো, এখন আমি সরে এসে আপনাকে বলছি। আপনার সাথে কথা বলি এবারে। সব্যসাচী এভাবেই আক্রমণ করে যেভাবে আমি আপনাকে এই লেখাতে করলাম। আর আপনি হঠাৎ জানতে পারলেন আমি আপনার অস্তিত্ব সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিবহাল থেকেই কথাগুলো বলছিলাম প্রথম থেকে। আপনি ভাবছিলেন আমি আপনাকে দেখতে পাচ্ছিনা, বা স্বীকার করছি না। বরং উলটো, আমি আপনাকে আমার আর সব্যর দুজনেরই চোখ দিয়ে লক্ষ্য করছিলাম। সব্যর কবিতায় এমন এক ইল্যুশান তৈরী হয় যে ও হয়তো পাঠক বা উল্টোদিকের লোকের কথা চিন্তাই করছে না। যাঁরা সহজ পাঠ বা দ্রুত পঠনে অভ্যস্ত তাঁরা এই ছাপ্পা মেরে দেন, এখানে পাঠকের কথা মাথাতেই রাখছেন না কবি। সব্যর কবিতা এই মজার ইল্যুশানে আপনার ডেপথ বা গভীরতাকে চ্যালেঞ্জ করে। আপনি গভীর বা গহীন কিভাবে বোঝেন একটি লেখায়? স্বাভাবিক পদ্ধতি হলো আপনার সামনে দুটো মেলে রাখেন, অগভীর আর গভীর। তুলনামূলক বোধ বা তফাৎবোধ থেকে পান গভীরতার সংজ্ঞা বা দর্শন। আপনি দাঁড়িয়ে আছেন একটি পাথর চূড়ায় আর দেখছেন একদিকে সমুদ্রের জল জমে আছে, আর একদিকে সমুদ্র আর বুঝছেন সমুদ্রের গভীর কেমন বিস্তৃত। এবার চোখ বন্ধ করে ধরে নিন আপনি পাথরচূড়ায় নেই। আপনাকে একজন অলৌকিক স্কুবা ডাইভার সমুদ্রে নামিয়ে এনেছে। আর আপনাকে সঙ্গে নিয়ে ধীরে ধীরে গভীর থেকে গভীরে যাচ্ছে। আপনি দেখছেন প্রথম স্তরে কেমন সূর্যের আলো ঝাপসা হয়ে ঢুকছে। আরো গভীরে মাছের ঝাঁক পার করে যাচ্ছে আপনাকে। আরো আরো গভীরে আলোর খুব অল্প রশ্মিফোঁটা ছুঁয়ে থাকছে। তারপরে দেখছেন ইল মাছের সর্পিল। সামনে আছে কোরাল প্রবাল দু ভাই। 
“সামনে” আছে বললাম খেয়াল করলেন? নীচে আছে বলিনি কিন্তু। আপনি যখন গভীরতার জার্নির সঙ্গী হচ্ছেন তখন আর “উপর” “নীচ”, “অগভীর”, “গভীর”, “গভীরতর” র অস্তিত্ব থাকে না। থাকে না শুরু আর শেষ। থাকে শুধু জার্নি বা ভ্রমণ। বাংলাভাষায় এরকম ভ্রামক লেখার এক ও অদ্বিতীয় শিল্পী সব্য। সব্যর কবিতা আপনাকে কোনো তুলনামূলক আচার আচরণ মাপকাঠি এসবের থেকে সরিয়ে নিয়ে যাবে প্রথমেই। আপনার চোখ কান কে পা পরিয়ে দেবে বেড়ানোর। তারপর আপনি যাত্রা শুরু করবেন ওর সাথেই। আর এটা ও করবে অচানক। আপনি ওর কবিতা পড়তে থাকবেন, ভাববেন ও বোধহয় আপনাকেই গ্রাহ্যই করছে না, লক্ষ্যই করছে না। আসলে সম্পূর্ণ উলটো, ও আপনাকে লেখা ও লেখকের দুজনের চোখ দিয়ে জড়িয়ে নিচ্ছে বুকে, আপনার অজান্তে আপনাকে ঢুকিয়ে নিচ্ছে এক জগৎমাঝারে। এবং এই লেখার মতোই, এক জায়গায় আপনি যখন ভাবছেন যে এখানে বোধহয় দুটো আলাদা লোকের মধ্যে কথোপকথন চলছে কবিতা স্বরূপে, আপনি এক দর্শক মাত্র, আপনাকে আক্রমণ করবে দৃশ্যধ্বনি একসাথে আর আপনি বুঝবেন আসলে আপনি এতক্ষণ অংশ “গ্রহণ” করে চলেছিলেন অজান্তেই। আর তারপর শুরু হবে ওর ট্রেক। ঠিক যেমন এই লেখাটার শুরুতে কোনো নাম নেই, কোনো ভূমিকা নেই, দুই ভিন্ন মানুষের কথপকথন থেকে শুরু আর এখন আপনি এতে গ্রস্ত হয়ে গেছেন। সব্যর কবিতা এভাবেই গ্রস্ত করে পাঠককে। শুরুর বিন্দু থেকেই জড়িয়ে নেয় কিন্তু প্রকাশ্য বোধে আক্রমণ করে একদম অচানক। কবিতা যে ডেপথ থেকে আসে, সেই ডেপথ ও আপনাকে সঙ্গী করে নিয়ে “ঘটাবে”। “বোঝাবে” বা “দেখাবে” না। সব্যর কবিতা চলমান, সর্বদা। তাই সব্যর কবিতায় কোনো দৃশ্যকল্প নেই, দৃশ্য রয়েছে। অদ্ভুত লাগছে কথাটা। এই মুহূর্তে কি আপনার সামনে দৃশ্য নেই? শব্দগুলো, অক্ষরগুলো কি আপনি দেখতে পাচ্ছেন না? এখানে কি ছবি নেই, সাদা প্রেক্ষাপটে কালোয় আঁকা? যদি নেই তো আপনি কার দিকে তাকিয়ে আছেন এখন? এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন দৃশ্য আর দৃশ্যকল্প, ধ্বনি ধ্বনিকল্পের তফাৎ। সব্যর কবিতায় কোনো কল্প নেই, দৃশ্য আপনি দেখতে পাবেন সোজা, ধ্বনি আপনি বাজছে শুনবে। যেমন ঢং লিখলে আপনি ধ্বনি শোনেন, আর “ঘন্টার গম্ভীর ধ্বনি” বললে নিজেকে একটা ধ্বনি শোনান। যেমন “ব” লিখলে একটি  ত্রিভুজ দেখতে পান আর “ব-দ্বীপ” লিখলে নিজেকে ত্রিভুজ দেখান। সব্য এই আপনাকে দেখানো, আপনাকে শোনানোর জগৎ এর নয়। ও শুনবে সাথে আপনাকে নিয়ে, আপনিও শুনবেন সেই ধ্বনি যা ও শুনছে। আপনিও দেখবেন সেই দৃশ্য যা ও দেখছে। এ এক অসীম লেভেলের চ্যালেঞ্জ যাতে মাথার গভীরতমতে জন্মানো যে মূল নিরাকার বোধ নির্মিত কবিতা, তাকে ইন্ট্যাক্ট আপনার কাছে পৌঁছে দেওয়ার। 
আমরা যখন কোনো কিছু প্রকাশ করি (লেখা কবিতা ইংকু পিংকু মিংকু যাইই হোক) তখন প্রথমে প্রকাশভাবনা, তারপর প্রকাশভাষা হয়ে প্রকাশিত এই রুটে আসে। মানে ভাবনায় প্রথম প্রকাশিত হয়, তারপর ভাষায় প্রকাশিত হয়, এবং সবশেষে ভাবনা, ভাষা এইসবের ওপর নির্ভরতা ছেড়ে, আমার ওপর নির্ভরতা ছেড়ে একা স্বয়ং শ্রী প্রকাশিত আসেন যাকে আপনারা চর্মচক্ষুতে দেখতে পান। বাকি সমস্ত কবি ও লেখকের কাছে আপনি প্রবেশ করেন ওই স্বয়ং শ্রী প্রকাশিতর জন্ম মুহূর্তে। আর সব্য, একমাত্র আই রিপিট এই মুহূর্তে একমাত্র কবি যে ওই আগের বাক্যটার শুরু থেকেই আপনাকে সঙ্গে নিয়ে চলে। খুব সোজাসুজি বলতে গেলে এই সময়ের সবচেয়ে অসমসাহসী ও ডিসটিঙ্কট কবি বলতে আমার সব্যর নাম প্রথম মাথায় আসে। সাহস আর ভ্রমণ একসাথে মিলিয়ে যে এক অপরূপ সৃষ্টি জগৎ নির্মাণ করে আপনাকে বোধ করানোর জন্য। পড়ানো বা শোনানো বা বোঝানো বা ভাবানোর জন্য নয়। 

-অমিতাভ প্রহরাজ

সব্যসাচী হাজরার এযাবৎ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ- তৃতীয় ফ্লাওয়ার শো, ওভ্যানোর ওভেনে, পসিবিলিটি ও টিলিবিসিপ, উটবিকার(প্রথম ও দ্বিতীয় প্রকাশ), ৯ আঁকা ০(প্রদীপ চক্রবর্তীর সাথে যৌথ), আনুপাহাড়ের জলছবি, ঝরাপাখিদের চেকমেট, নির্বাচিত শূন্য।

দশক: শূন্যদশক।

ঠিকানা: ৪৯ আলিপুর রোড কলকাতা ২৭

যোগাযোগ : ৯৮৩০৫০৩১৩৬

No comments:

Post a Comment