অর্ক চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা
১.
শব্দ-গন্ধ-বিষ।
আঠা দিয়ে জুড়ে গেছিকাগজের শেকল।
সময় জুড়ে
সমর্থ সাহসের মত ছিল
অবাধ সে ছোটবেলা।
এখন শব্দের আঠা খুলে গিয়ে
বেসামাল বেশেকল
হয়েছে বিকেল।
তপ্ত হয়েছে বিষ,
রিক্ত হাতের সন্ধ্যাবেলা।
২.
অতীতের গির্জা
আলো ফেলে
ভবিষ্যতের সন্ধ্যায়।
বন্ধুরা ছিল আলোয়
থেকে যাবে অন্ধকারে।।
৩.
পথপ্রান্তে এসে
ফিরৎ ফিরলে
দেখা যায়
পথ নয়
প্রপঞ্চ সব গুল্মঘর।।
ফিরৎ ফিরলে
দেখা যায়
পথ নয়
প্রপঞ্চ সব গুল্মঘর।।
৪.
অনেকগুলো, অনেক বছর পর,
ছোট্ট মেয়েটা কত্ত বড় হলো!
কোলের থেকে নেমে স্বয়ম্ভর,
আগলে রাখলো বাতাস, স্মরণগৃহ।।
স্মৃতির তাপে অতীতঘরের আলো,
বড় হয়েও ছোট্ট মেয়েই থাকুক,
পাকা চুল পাকা দাড়ির চোখে,
আমি বরং অতীত আকাশ দেখি।
হাতে নিয়ে ছোট্ট মেয়ের তুলি
বসে বসে সময়গাড়ি আঁকি
আঁকি পাহাড়, আঁকি নদী, চূড়া
আগের মত আবার বেড়িয়ে আসি।
ছোট্ট মেয়েটা কত্ত বড় হলো!
কোলের থেকে নেমে স্বয়ম্ভর,
আগলে রাখলো বাতাস, স্মরণগৃহ।।
স্মৃতির তাপে অতীতঘরের আলো,
বড় হয়েও ছোট্ট মেয়েই থাকুক,
পাকা চুল পাকা দাড়ির চোখে,
আমি বরং অতীত আকাশ দেখি।
হাতে নিয়ে ছোট্ট মেয়ের তুলি
বসে বসে সময়গাড়ি আঁকি
আঁকি পাহাড়, আঁকি নদী, চূড়া
আগের মত আবার বেড়িয়ে আসি।
৫.
শিরার অবাধ্য গভীরতার কথা বললে,
অতীতসুলভ সে চিকিৎসা মনে পড়ে।।
ধমনীপ্রবেশ সুনিশ্চিত হলে,
হাওয়াপাইপের ভিতর,
স্যালাইনের সঙ্গে মিশে যায়,
শরীর হতে বহির্মুখী রক্ত।।
বাথরুমের মাকড়সাদের সুগন্ধে মেরে ফেলার পর,
সহসা ফেটে ছড়িয়ে যাওয়া পা বরাবর,
অল্প একটু কান্না পড়ে থাকে।।
অতীতসুলভ সে চিকিৎসা মনে পড়ে।।
ধমনীপ্রবেশ সুনিশ্চিত হলে,
হাওয়াপাইপের ভিতর,
স্যালাইনের সঙ্গে মিশে যায়,
শরীর হতে বহির্মুখী রক্ত।।
বাথরুমের মাকড়সাদের সুগন্ধে মেরে ফেলার পর,
সহসা ফেটে ছড়িয়ে যাওয়া পা বরাবর,
অল্প একটু কান্না পড়ে থাকে।।
No comments:
Post a Comment