নীলবর্ণ ছুরি
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
জ্যোৎস্নার গায়ে বোরোলিনের গন্ধ
রাত্রি একটা ভালো লাগা নিয়ে
গান গায় ছাদে
টুপ করে পাতা নামে কবিতার
আইশোলেশন শব্দ মুছে স্মৃতির ভীড়
ভিড়ে যাচ্ছে নৌকা জঙ্গলের কিনারে
সেলাই হবে না এসব কিছুই
অর্ধেক অন্ধকার যখন
রাক্ষুসীর গল্প শোনায়
আরেক অন্ধ লেখে একটি আকার
যা আছে তা চেনা নয়
চোখের হাসির উপর
খিল দিতে নেমে আসছে নীলবর্ণ ছুরি
২.
পুনর্জন্ম
পৃথিবীর অসুখ বলে
সে ক্রমশ ম্রিয়মান
এতো এতো রসালো ফলের সমাহারে
লিখে রাখে মৃত প্রজাপতির কাহিনী
স্রোত চিনি
বিপরীত রূপটিকেও
সুর আসার পর
নদীর প্রেমে ভেসে যায় তার শুখা দেহ
জন্ম আবারো ঘ্রাণ পায়
এ সুবাস মৃত্যুর নয়
অসংখ্য নষ্ট কবিতার পর
একটি সফল উল্লাস বলে জেগে থাকে বৃক্ষশরীরে
৩.
ধোয়া
হাত ধুয়ে ফেলছি প্রতিদিন
গন্ধ ভাসছে সাবানের
ফেনার সঙ্গে
শরীর স্পর্শ করে উড়ে যাচ্ছে
এক কাল্পনিক আকাশে
যা তৈরি করতে অনেক সময় লেগেছিল
চার দেয়ালের ভিতর
কত গোপন কত অন্ধকার
কত আলোলিকার কথা
ফুরতে চায় না
মাঝে একটা শৈশব ফিরে এসে
ছবি দেখায় দোলনার
দুলতে দুলতে একটা গাছ
ডালে ডালে পাতায়
লাফ মারছে ডানাওয়ালা পরি
ধরা পড়ছে না কিছুতেই
No comments:
Post a Comment