আলো-ছায়া-পথ
-তন্ময় ধর
১।
শুধু পাখির আঙুল ঘন হচ্ছে আমাদের প্রতিবিম্বে
আর দূরে পড়ে আছে শব্দের হৃদয়,
অদূরে শব্দের ঠোঁট
তির্যকভাবে সতীদেহ পড়েছে এই মহাকালের স্মৃতিহীনতায়
দুঃসাহসী অতিকায় ব্লাডারের ভেতর অর্ধেক ডুবে আছে আমাদের প্রেম
অর্ধেক সাপ তার প্রবল তৃষ্ণাকে খুঁজে যাচ্ছে টেরাকোটার জীর্ণ মন্দিরে
মৃত্যুলতা দুলছে, আস্তে আস্তে কাঁপন ধরাচ্ছে
ঈশ্বর শরীরে
ভেঙে পড়ার ইতিহাস লিখছি আমি,
আর সেই সাপ এসে রক্ত চেটে খেয়ে ফিরে যাচ্ছে মৃত্যুগুহায়
আকাশে স্থির হচ্ছে ক্ষুধার্ত ঈগলনক্ষত্রমন্ডলীর নখ, দুধপথের বন্ধ্যাত্ব
২।
তোমার-আমার খোলা চোখে এও দ্বিতীয় ঘুমের পর্যায়
আলোর অভিনয়ের ওপর দিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে একটা বুদবুদ
একটা সাপ নিজের চোখ থেকে নীল রঙ খুলে রাখছে
আর একটা পিঙ্গল রঙ নিয়ে আমরা ঢুকে পড়ছি প্রাগিতিহাসে
তোমার ফিমারের হাড় ফেটে
নিওলিথ সূর্য স্পর্শ করেছে আমার অসুখ
আমার সুখ আসলে হালকা এক জ্বরের দৃঢ়তা
একটি অন্যমনস্ক হাওয়ার শরীরে
তুমি তার তাপমাত্রা লিখে রেখেছো
লিখতে লিখতেই
ছায়াপথশ্রমে ঘুমিয়ে পড়েছো তুমি
৩।
প্রতিবিম্বটি একটি স্ফুলিঙ্গের মত
তোমার বোবা স্বপ্নে পুড়িয়ে দিল প্রত্নতাত্ত্বিক সময়ের হিসেব
পৃথিবীর অক্ষরেখা কাত হল আমাদের অন্নে
মৃত্যুরহস্য থেকে আমার স্মৃতিহীনতায় তাকালে তুমি
জলের অভাবে শক্ত হয়ে উঠল অন্ধকার
তার অনেক নীচে ছটফট করে উঠল শ্বাসধ্বনি
অতিকায় সাপ ছুটে এল স্পর্শপিঙ্গল অন্তরীক্ষের কাঁপনে
তার খোলস ও শীতঘুম দেখে আমি চমকে উঠেছি দীর্ঘকাল
তুমি বারবার হাসতে হাসতে আর চায়ে দুধ-চিনি মেশাতে মেশাতে বলেছো-
‘বিষ নেই, বিষক্ষয় নেই…’
-তন্ময় ধর
১।
শুধু পাখির আঙুল ঘন হচ্ছে আমাদের প্রতিবিম্বে
আর দূরে পড়ে আছে শব্দের হৃদয়,
অদূরে শব্দের ঠোঁট
তির্যকভাবে সতীদেহ পড়েছে এই মহাকালের স্মৃতিহীনতায়
দুঃসাহসী অতিকায় ব্লাডারের ভেতর অর্ধেক ডুবে আছে আমাদের প্রেম
অর্ধেক সাপ তার প্রবল তৃষ্ণাকে খুঁজে যাচ্ছে টেরাকোটার জীর্ণ মন্দিরে
মৃত্যুলতা দুলছে, আস্তে আস্তে কাঁপন ধরাচ্ছে
ঈশ্বর শরীরে
ভেঙে পড়ার ইতিহাস লিখছি আমি,
আর সেই সাপ এসে রক্ত চেটে খেয়ে ফিরে যাচ্ছে মৃত্যুগুহায়
আকাশে স্থির হচ্ছে ক্ষুধার্ত ঈগলনক্ষত্রমন্ডলীর নখ, দুধপথের বন্ধ্যাত্ব
২।
তোমার-আমার খোলা চোখে এও দ্বিতীয় ঘুমের পর্যায়
আলোর অভিনয়ের ওপর দিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে একটা বুদবুদ
একটা সাপ নিজের চোখ থেকে নীল রঙ খুলে রাখছে
আর একটা পিঙ্গল রঙ নিয়ে আমরা ঢুকে পড়ছি প্রাগিতিহাসে
তোমার ফিমারের হাড় ফেটে
নিওলিথ সূর্য স্পর্শ করেছে আমার অসুখ
আমার সুখ আসলে হালকা এক জ্বরের দৃঢ়তা
একটি অন্যমনস্ক হাওয়ার শরীরে
তুমি তার তাপমাত্রা লিখে রেখেছো
লিখতে লিখতেই
ছায়াপথশ্রমে ঘুমিয়ে পড়েছো তুমি
৩।
প্রতিবিম্বটি একটি স্ফুলিঙ্গের মত
তোমার বোবা স্বপ্নে পুড়িয়ে দিল প্রত্নতাত্ত্বিক সময়ের হিসেব
পৃথিবীর অক্ষরেখা কাত হল আমাদের অন্নে
মৃত্যুরহস্য থেকে আমার স্মৃতিহীনতায় তাকালে তুমি
জলের অভাবে শক্ত হয়ে উঠল অন্ধকার
তার অনেক নীচে ছটফট করে উঠল শ্বাসধ্বনি
অতিকায় সাপ ছুটে এল স্পর্শপিঙ্গল অন্তরীক্ষের কাঁপনে
তার খোলস ও শীতঘুম দেখে আমি চমকে উঠেছি দীর্ঘকাল
তুমি বারবার হাসতে হাসতে আর চায়ে দুধ-চিনি মেশাতে মেশাতে বলেছো-
‘বিষ নেই, বিষক্ষয় নেই…’
অপূর্ব, তৃতীয় টা বেশ ভালো লাগলো
ReplyDelete