প্রদীপ চক্রবর্তীর কবিতা
বিষবৃক্ষ ও বঙ্কিমবাবু
এক .
ঝরাশ্রুতি পাতালতা গুল্মের বিরত চৈত্র
একাকার তাও হাত ,
এক এক করে বিক্রি হচ্ছে
নিলাম চলছে নিলাম বালা ছ ' আনা
হাতের কলম উন্নাসিক |
যদিও অবসাদ - সূত্রে গাঁথা
প্রারব্ধে বিশ্বাসী তাই
মেয়েটির ক্যানভাস জুড়ে চোখ : অনপেক্ষ
যে মেঘবালিকা মরীচিকামতি
মালতি কেন তবে মধুক্ষরা ?
জন্মাবধি যারা হরিৎ গানের মাতঙ্গ
সপ্রতিভ আকারহীনার প্রেম চারুকাজ
সুদূর কপিলাবাস্তু নগরে কোন এক সন্ধ্যাস্নানে
এসে দেখে , জায়গাটা ফাঁকা
চমৎকার আধুনিক গোষ্ঠে কয়েকটা গরু চরছে
দুই .
একুশবার বসন্ত বাগানে গ্রীষ্ম আসে
একুশবার একই নোট পড়ে পড়ে ছাত্ররা উগড়ে দেয়
বর্ষে বর্ষে দলে দলে ,
চৌষট্টি দলের মার্ খেয়ে
ওঁম মণিপদ্মে হুঁ ...
পরাজিত এক সমুদ্রকাহিনীর কাছে
রতিক্লেদ অবিদ্যায়রত গোবিন্দলাল
যেন হর্সপাওয়ারে ঘোড়া ছুটছে এমন আজব চিড়িয়া !
একটি ফুলের তাৎক্ষণিক মৃত্যু ,
কে - যে কাকে দেউলিয়া করে
খেউড় বসেছে , চিটেগুড়ে মুখ ডুবিয়ে পোটোপাড়ার পরেশ পাল
যত আঁকছে ততই চোখের জলে ভেসে যাচ্ছে
বর্ষার খুন ,
ঘুণপোকাদের মতো কে অত বিদ্যাবিলাসী , ভোজনরসিক , মহাকালের দশমহাবিদ্যা ...
তিন .
পুরোনো পাড়াটা বৃষ্টি হয়ে দাঁড়িয়ে
ডাকনাম : রোহিনীবিদ্যা
দরজা ছাড়ো বললেই দরজা ছাড়ি না ভ্রমর
আমি নট গঙ্গাপদ বসু বা বিকাশ রায়
চোখের আতসে দেখে নিই অতনুর তনু
অতলস্পর্শী খাদের কিনারে সুদূর তারাগুলোতে
কে জ্বালিয়ে দেয় বিরহের আশমানিযান
নীচের পৃথিবী দূরাগত নদীর মতো
সবুজ হেমকল্যাণ ...
অচেনা পাখিদের ঝাঁক : ব্যবস্থাদ্রোহী ....
চার .
এক পশলার শেষে
পারাপারহীন আকাশ
নিচে কয়েকটা গাছ
রোহিণীর আঠা গড়িয়ে পড়ছে কষ বেয়ে
তবু একচুল নড়েনি ভ্রমর
তাৎক্ষণিক রমণীয় যুদ্ধে ব্যবহৃত
অস্ত্র শস্ত্র সারি সারি সাজানো আছে
গন্ধ তেল , চুলের কাঁটা , পুরোনো চিঠির এসেন্স
দৃশ্যে চারিয়ে গেছে লাল আভার অদ্ভুত ভুবন
আবহমান বাংলা উপন্যাসের হাজারো এক সম্পর্কের শেষে যখন বঙ্কিম বাবু মুখ তুললেন ,
নিদ্রালু মেয়ে মহলে ঢুকতে না পেরে বিলুপ্ত হয়ে গেলো কত শত শরীরী বিষাদ
বিষ ও বিষয়ের নেকড়ে বা কন্দর্প ,
পূর্ণচন্দ্রমার বিপরীতে কালো ছায়াশরীরী অতৃপ্ত যৌনক্ষুৎকাতর বিধবা প্রেতিনীর দল উড়ে যায় ,
বসন্তপ্রসূন মানুষের ক্ষমতাসংকেতে ...
খুব ভালো লাগলো
ReplyDeleteভালোবাসা সুবল দা
Deleteকবি, কবিতায় মুগ্ধ।
ReplyDeleteভালো থাকবেন ۔۔ কবিতার পাশে থাকবেন ۔۔۔۔
Deleteবেশ ভালো লাগলো
ReplyDelete