ইন্দ্রাবতীর ডায়েরি থেকে
এত মুড স্যুয়িং কেন? অবিন্যস্ত এই দোলনা জানে কি যতটা এগিয়ে যাওয়া তারচেয়েও বেশি পিছিয়ে যাওয়ার প্রবাহ আলোকলতা জড়িয়ে কেবল হাওয়ার শিকল গড়ে আর ভাঙে!
এত দহন-দহন অবেলা কেন?
রহমত করো, বেলাশেষে গান ধরুক স্থির চোখের সেই শিল্পী; যার নামে আগুন বৃষ্টিডানা মেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে খুব আদরে; মনে মন মেখে...
এত হিংসে কেন? রাস্তা তো সকলের। যার যেমন পথরেখা ছবি আঁকে; গান আঁকে, কথা আঁকে! আর এই কথা আঁকতে-আঁকতে সে অনায়াস সামলে নেয় মঞ্চ অথবা ঝাপসা দৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া চোখের অভিমানকে এক মুহূর্তের হাসিতে মুড়ে দিব্যি পড়ে ফেলে সেই ঝাপসা অক্ষর! রাস্তা কারও নয়; অথবা সবার। তোমাদের আলো, হাওয়া সবটুকু তো আমাদেরও। মিউট মোডে আলো পাক খায় মধ্যরাতে; হাওয়া এসে উড়িয়ে দেয় দৃশ্য। এনার্জি সেভ করো, মঞ্জরী; সঞ্চয় একটা প্রবীণ-বেলার লাঠি। নিজেকে হিল করো, মঞ্জরী! তিতির ডেকে উঠলে চোখ-কান খোলা রেখো; আজান আর মোরগের ডাক ইন্দ্রাবতীর আহিরে গলা মেলাবে; নিজেকে উঁচু দেখাতে অন্যকে নামিয়ে আনার ভিতর থেকে যায় শুধু শিশুসুলভ একটা দূর্বা রঙের নরম দুপুর; মঞ্জরী, শুভ্রকে বলে দিও যে ইন্দ্রাবতী এখনও সেই 'দূর্বা-রং' মুছতে পারেনি; কিছু সাদা পাতা আজও ইন্দ্রাবতী ছেড়ে রেখে দিল...
No comments:
Post a Comment