মহামারী ও অনন্ত ছাদজীবন
- জয়শীলা গুহ বাগচী
(৬)
ছাদ যেভাবে পাহাড়ি পথে রওনা দেয়
আমি সেভাবে পারি না
ছাদের তো কোন নম্বর থাকে না
কিন্তু পাহাড়ে যাবো বলে যখন আমি
কপালে নম্বর পরি
অমনি টক জল
পাহাড় থেকে গড়িয়ে নামে বমির তেতো
ছাদ তখন খানিক লেবু লজেন্স
খানিক ধমক মেশা নিভৃত
ছুঁতে পারি না বলে
একমুঠো শান্তিজল, বিপদতারিণী সুতো
রেখে যায় ঘুমের বালিসে
গেলাস গেলাস পাহাড়ি মেঘ
রাখা থাকে ছোট্ট টেবিলে
গড়িয়ে পড়া বমির একপাশে ছাদ
একপাশে আমি
ঘুমোই...
আমাদের চলন্ত ঘুম ভাঙে না
(৭)
আমরা একে অন্যের সেরে ওঠা না বুঝলে
অসুখ প্রবণতা না বুঝলে
জ্বরের বাতাসে সিপ দেবো কী করে
কী করে অস্তিত্ব বদল করে
সম্পর্কে গুলে দেবো সূর্যমুখী রঙ
হে ছাদ...
তোমার অরণ্যে অন্ধ পোকাজীবন
অন্ধ বাস্তুগন্ধ
সব কেমন স্মিত হাসির মতো
সাবধানী গর্তের মতো
নির্জন শ্বাসের আকারে সভ্যতার আবেগটুকু
হে ছাদ...
তোমার মাঝে আমির স্বাদ
আমার মাঝে তোমার চলাফেরা
সব নিরন্তর হোক
ঘুমের স্থিতি হোক
(৮)
কোথায় যে কীভাবে চেনা হয়ে ওঠে অস্তিত্ব...
যেদিন নারকেল পাতায় সূর্য এসে বসে
খোলা আকাশ পকেটে পুরে
নরম তুমি... আমার ছাদজন্ম...
তিরতিরে রক্তপ্রবণতাকে ধুয়ে মুছে
সহজ কথাবার্তা হ’লে
শেকড়ের আলো হ’লে
আমি ধীরে ধীরে গরমিল মুছতে মুছতে
ছাতিমছায়া
মানুষ-গন্ধ নিতে নিতে অপরিহার্য স্নান
দরজা জানালা ছেড়ে , মিথোজীবীতা ছেড়ে
ছাদজন্ম আমার...
কপালে দিগন্তরেখা এঁকে দাও
মুছে দাও দুহাতের মরীচিকা গাছ
"যেদিন নারকেল পাতায় সূর্য এসে বসে
ReplyDeleteখোলা আকাশ পকেটে পুরে
নরম তুমি... আমার ছাদজন্ম..."... আলো দিয়ে গেলো ।
৬ এর অভিনবত্ব আর ৮ এর মেদুরতা, দুইয়ের মাঝে আত্মবিশ্বাসী ৭.. সব মিলিয়ে মুগ্ধতা।
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteসঙ্কটে এই সব ছাদ... হ্লাদিনি সৃষ্টিশীল
ReplyDelete