অন্য প্রভাত ও স্মৃতিচারণ
মাধবী দাস
"কালো চুলে পাকা দাড়ি ,দীপ্ত চোখে অদ্ভুত সুষমা
কপালে চিরহরিৎ অরণ্যের শোভা
মগজে বিনিসুতোর মালা
বুকের চাতাল জুড়ে শব্দের বৃষ্টিরা
প্রকৃত সাধক যেন স্বয়ং রামধনু ...
ছোট সংসারটি কবিতার পালকে পালকে মোড়া
চায়ের আড্ডায় প্লেটে বসে থাকে উষ্ণ চাওমিন
চুমুকে পেখম মেলে মনের ময়ূর
আকাশের রং বদলে যায়
দু- ফোঁটা কালিতে
গভীরতম দুঃখগুলো মধুরতম হলে
ঘোড়া ছোটে আধুনিক থেকে উত্তরাধুনিকের পথে
রাশি রাশি কবিতার মিউজিয়াম দরজা খুলে দেয়..."
১৪২৪ 'কৃতি এখন' পত্রিকার বর্ষবরণ সংখ্যায় সম্পাদক কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় 'প্রভাত চৌধুরী' শিরোনামে আমার লেখা এই কবিতাটি ছেপেছিলেন। প্রভাতদা সম্পর্কে কিছু লেখার আগে আমার এই কবিতাটি দিয়ে শুরু করার পেছনে একটি কাহিনি আছে। কলকাতায় গেলেই প্রভাতদার পটলডাঙা স্ট্রিটের বাড়িতে যাওয়াটা আমাদের পরিবারের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কবিতাপাক্ষিক যেহেতু অনলাইনে লেখা গ্রাহ্য করে না, তাই যখনই যেতাম কয়েকটা লেখা প্রভাতদার হাতেই দিয়ে আসতাম। ডাকযোগে লেখা পাঠানো আমার ইচ্ছে থাকলেও নানা কারণে হয়ে ওঠে না। ২০১৫ সালের প্রভাতদার জন্মদিনের ঠিক দু-মাস আগে প্রায় দশ-বারো খানা লেখা প্রভাতদার হাতে যখন দিলাম তার মধ্যে এই লেখাটিও ছিল ।বারবার পড়ছিলেন। সামনে বসে ছিলাম আমি ।মনে মনে খুব খুশি হচ্ছিলাম এই ভেবে লেখাটি কবিতাপাক্ষিক- এর জন্মদিন সংখ্যায় মনোনীত হয়ে গেল ভেবে। সব আশায় জল ঢেলে দিয়ে প্রভাতদা বললেন --বেশ ভালো লিখেছ ,তবে এটা আমার কাছে রেখে দিচ্ছি ।এটা 'কবিতাপাক্ষিক' ছাপবে না ।কারণ জিজ্ঞাসা করার সাহস আমার নেই বলেই ,মনে একটু কষ্ট পেলেও ,মুখে বললাম -- ছাপা না হোক, আপনার ভালো লেগেছে এটাই আমার প্রাপ্তি। এই হলেন প্রভাতদা। কখনওই নিজের ঢাক তো বাজাবেনই না ,অন্যদেরও বাজাতে দেবেন না। 'কৃতি' সম্পাদক কল্যাণদার প্রতি আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি, এই লেখাটি(একটু পরিবর্তিত) তিনি পরবর্তীতে ছেপেছেন বলে। কবিতাটি যতবার আত্মপাঠ করি ততবার যেন চোখ বুজে প্রভাতদাকে দেখতে পাই।
কোচবিহারের মতো প্রান্তিক শহরে বেড়ে উঠেছি আমি ।ছোট থেকেই টুকটাক লেখালেখি করতাম ।দাদা কলকাতায় পড়াশোনা করার সময় কোনও এক কবি বন্ধুর কাছ থেকে আমার জন্য আকাশি নীল আর হলুদ রঙের মলাটের কবিতাপাক্ষিক লেখা দুটি চটি পত্রিকা হাতে দিয়ে বলেছিল --'লিখতে হয় তো আগে এই পত্রিকা দুটো ভালো করে পোড়ে নে ।জানিস প্রভাত চৌধুরী কে ?গোটা কলকাতার তরুণ কবির আশ্রয়স্থল কবিতাপাক্ষিক।' সালটা ১৯৯৬ -৯৭ হবে ।আমার লেখালেখি তখন ডায়েরির পাতা ছাড়িয়ে বাড়ির দেওয়াল টপকে স্কুল ম্যাগাজিন ও নবলিপি, কৈশোর, ঝড়-তুফানের মতো কোচবিহারের দু-একটা লিটল ম্যাগাজিনে মুদ্রণ রূপ পেয়েছে। কবিতাপাক্ষিক এর পাতা উল্টে পাল্টে পড়ার পর ইচ্ছে হয়েছিল ডাকযোগে গ্রাহক হই ,কিন্তু সেই সময় বাবা-মা চাইতেন পড়াশুনা শেষ করে এসব নিয়ে যেন মাতামাতি করি ।
তারপর দীর্ঘ প্রায় পনেরো-ষোলো বছর আমার আর কবিতাপাক্ষিক পড়া হয়নি। নিজের লেখাও চলছিল গদাইলস্করি চালে। চাকরি জীবনে প্রবেশ করার পর হাতে এল মোবাইল। জয়েন করলাম ফেসবুক দুনিয়ায়। পরিচয় হলো বাংলার বিভিন্ন পত্র পত্রিকার সম্পাদকদের সঙ্গে ।ঠিকানা নিয়ে লেখা পাঠানো শুরু করলাম ।'কবিতা আশ্রম',অদিতি ,'আজ রোববার 'এমন কিছু কিছু পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত যখন হচ্ছিল তখন একদিন কবিতাপাক্ষিকের এডিটোরিয়াল বডির সদস্য আফজাল আলী কর্মজীবনে বদলি হয়ে কুচবিহারে এসে লেখালেখির সূত্র ধরেই আমার বাড়িতে এলেন। আলাপচারিতায় কবিতার প্রসঙ্গ আসতেই , আমার কবিতা পড়ে নিজেই কিছু কবিতা নিয়ে গেলেন প্রভাতদাকে দেখাবেন বলে। তার আগে তিনি জানিয়ে গেলেন প্রভাতদা সম্পাদনার ক্ষেত্রে কতটা কঠোর। অতএব শেষ কথা উনি বলবেন। কিছুদিন পর আফজালদার মুখেই জানতে পারলাম দশটি লেখার মধ্যে আমার মাত্র দুটি লেখা মনোনীত হয়েছে। বাকি কবিতাগুলো কেন মনোনীত হলো না ,কী হলে মনোনীত হত এসব জানানোর জন্য প্রভাতদা একদিন নিজেই ফোন করেছিলেন।---'আমি প্রভাত চৌধুরী বলছি' গলাটা শুনেই চমকে উঠেছিলাম। প্রভাত চৌধুরী ফোন করছেন আমাকে? নিজের কানকেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তারপর প্রায়ই ফোনে কথা বলতাম। কোন সময় তাঁকে বিরক্ত হতে দেখিনি। প্রথম দিনের কথাই বুঝতে পেরেছি কতটা আন্তরিক তিনি। যখন যেভাবে জানতে চেয়েছি। ফোনেই সেই সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন ।আজও তাই দিয়ে থাকেন।
২০১৬ সালে নিরুক্ত পত্রিকার অনুষ্ঠানে কলকাতা যাব শুনে প্রভাতদা পটলডাঙ্গা স্ট্রিটের বাড়িতে ডাকলেন কবি বন্ধু শাহাবুদ্দিন ফিরোজের সঙ্গে শিয়ালদার হোটেল থেকে আমরা সপরিবারে পটলডাঙা স্ট্রিটে চাপা গলি পথ দিয়ে অন্ধকার সিঁড়ি বেয়ে পৌঁছালাম 'কবিতাপাক্ষিক' দপ্তরে। বইয়ের সাম্রাজ্যে রাজা হয়ে বসে আছেন তিনি। উল্টোদিকে চেয়ারে বসে ছিলেন একজন রাশভারী মানুষ। যার চোখের দিকে তাকালেই মাথা নত হয়ে আসে। সেই নাসেরদার সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দিলেন নিজেই। ভেতরঘর থেকে বেরিয়ে এলেন আটপৌরে শাড়ি পরিহিতা বৌদি। সে এক অদ্ভুত আন্তরিকতা! যেন কত দিনের পরিচয়! বৌদি, নাসেরদা দুজনকে প্রণাম সেরে আমরা যখন প্রভাতদার পায়ের কাছে গিয়েছি।প্রভাতদা আঙুল দিয়ে রবীন্দ্রনাথকে দেখিয়ে বললেন- যতদিন উনি বেঁচে আছেন আমি প্রণাম নেব না কারও।ছেলে,ছেলের বাবা, মুখ টিপে হাসছিল! আমি কিন্তু প্রভাতদার অনুভূতি বুঝতে পেরেছিলাম , আরও বেশি করে বুঝতে পেরেছিলাম নীলিমা সাহা সম্পাদিত 'নিনি' পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে প্রভাতদার সেই সাক্ষাৎকারটি পড়ে। কতটা আত্মমগ্ন হয়ে রবীন্দ্রনাথকে তিনি ভালবাসেন, শ্রদ্ধা করেন, এই লেখাটি না পড়লে বোঝা যাবে না।
'মধু তিষ্ঠতি জিহ্বাগ্রে হৃদয় তু হলাহল'--এই মতের তীব্র বিরোধী প্রভাতদা ।সস্তা সৌজন্যবোধ তাঁর একদম নেই। মুখে আর মনে তিনি একজন মানুষ। কবিতা লিখতে এসে কেউ বানান ভুল করলে তাই তিনি ভীষণ ক্ষেপে যান ।ভর্ৎসনা করেন। কিন্তু পরমুহুর্তেই হাতে ধরে সব শিখিয়ে দেন।বাংলার ছাত্রী ও শিক্ষিকা হয়ে যতটা বানান সম্পর্কে জেনেছিলাম তার থেকে অনেক বেশি শিখেছি প্রভাতদার বকা খেয়ে খেয়ে।এই বকাকে যাঁরা তিরস্কার ভেবেছেন তাঁরা দূরে সরে গেছেন অভিমান করে। আর যাঁরা বুঝেছেন এই তিরস্কার আসলে তরুণদের নিঃস্বার্থ তৈরি করার পন্থা তাঁরা আজীবন এই তিরস্কার শোনার জন্য প্রভাতদার কবিতাপাক্ষিক -এর বইয়ে ঠাসা ঘরটিতে ঘুরে ঘুরে যাবেন আমার বিশ্বাস। আর তাই কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে কবিতাপাক্ষিক তথা প্রভাতদা আজও সমান প্রাসঙ্গিক।
আমার পড়া প্রভাতদার প্রথম বই 'লাবণ্য একি লাবণ্য 'সেখান থেকে যে কথাগুলোকে জীবনের ধ্রুব করে নিয়েছি সেগুলো তুলে ধরলাম --
এক) প্রতি যুগের কবির তাঁর আগের কবির ছাঁচ ভেঙে ফেলাটাই প্রাথমিক কাজ। তারপর তাঁর নিজস্ব একটা সাঁচ তৈরি করা দরকার ।
দুই)একজন কবিকে তাঁর সমসময় থেকে কিছুটা বা চল্লিশ /পঞ্চাশ বছর এগিয়ে থাকতে হবে।
তিন) পরিকল্পনা গ্রহণ করে কবিতা লেখা উচিত।
চার) লাবণ্যহীন কবিতা বলে কোন শব্দবন্ধ নন্দনতত্ত্বে নেই ।
পাঁচ)ইউরোপ কিংবা আমেরিকার অনুকরণ নয় নতুন এক ভাষ্য তৈরি করতে হবে ।বাংলা কবিতার এখানেই ভবিষ্যৎ।
প্রভাতদার লেখা সম্পর্কে আলোকপাত করার ধৃষ্ঠতা আমার নেই ।কেবল যে যে বই গুলো পড়েছি সেগুলো থেকে নিজস্ব অনুভূতিটুকু শেয়ার করতে পারি।'সাক্ষাৎকার', ' আবার সাক্ষাৎকার ',নোট বই, পুর্বাহ্নের কবিতা ,সুন্দরবন ও অন্যান্য কবিতা ,সুসমাচার এবং ,যখন পড়ে শেষ করেছি কেমন একটা ঘোর যেন আমাকে গ্রাস করেছে ।সারা দিন রাত জেগে থাকার মুহূর্ত এবং কোন সময় ঘুমের মধ্যেও আমি ঘোড়ার কাঠের পা দেখতে শুরু করেছিলাম। লিখতে পারছিলাম না কিছু। যা লিখি, লেখার শেষে মনে হয় প্রভাতদার কবিতার অন্ধ অনুকরণ। অনেকে আমার কবিতা পড়ে সরাসরি মন্তব্য করা শুরু করলেন -- এগুলো তো পুরো প্রভাতদার স্টাইল ! তাঁদের কেমন করে বোঝাই ,এমন লেখা ইচ্ছাকৃত নয় !নিরুপায় হয়ে আমি প্রভাতদাকেই ফোন করলাম ।শরণাপন্ন হলাম প্রভাতদারই ।তিনি যা বললেন, তা আজও অক্ষরে অক্ষরে পালন করি।---" যে কোন বই পড়ার পর আমাদের রবীন্দ্রনাথকে পড়তে হবে তারপর কিছুদিন বিরতি নিয়ে কলম ধরতে হবে তাহলেই সব সমস্যা মিটে যাবে"। অন্য কেউ হলে অনুগামী তৈরি হচ্ছেন জেনে খুশি হতেন হয়তো। প্রভাতদা বরাবর চান আনুগত্য নয়, ভালো লেখা উঠে আসুক।
আজ যতটুকু পরিচিতি আমি পেয়েছি তা প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'অযোগবাহ বর্ণ' -এর জন্য ।কাব্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় কবিতাপাক্ষিক থেকে ।বইটির কবিতা নির্বাচন থেকে নামকরণ, প্রচ্ছদ সবটাই প্রায় প্রভাতদার। প্রভাতদা ভরসা না দিলে বই করার সাহস আমার হত না। আমি জানি এমন সাহস দিয়ে বহু তরুণ কবিকে তিনি বাংলা কবিতার জগতে পরিচিতি দিয়ে চলেছেন ,অথচ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলে সেই কৃতজ্ঞতা টুকুও নিতে তিনি নিমরাজি ।বরং পারলে রেগে গিয়ে আরও একটা ধমক দিয়ে দেবেন।
প্রভাতদার একটি বিশেষ গুণ, তিনি বিনা কারণে পিঠ চাপড়াতে পারেন না। লেখা ভালো হলে যেমন সামনেই প্রশংসা করেন তেমনি ভালো না লাগলে মুখের উপর বলে দেন -এই লেখা চলবে না।
কবিতাপাক্ষিক আর প্রভাত চৌধুরী যেন জোড়কলম মহীরুহ। আমাদের মতো বাংলা ভাষার বহু শব্দচাষী এবং চারাগাছ এই জোড়কলম মহীরুহের ছায়ায় নিজেদের প্রতিনিয়ত তৈরি করার সুযোগ পাচ্ছে নিজস্ব পথে।কবি হিসেবে তিনি যে বাংলা সাহিত্যে নিজস্ব ভাষা তৈরি করেছেন ,একথা যেমন বাংলা কবিতার পাঠক মাত্র স্বীকার করবেন তেমনি প্রভাত চৌধুরীর নাম উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি অ্যাবস্ট্রাক্ট নাউন সকলের চোখের সামনে ভেসে উঠবেই---নাউনটি 'কবিতাপাক্ষিক'।
নানা কাজের ঝামেলায় ব্যস্ততম দিনগুলো কেমন ভাবে কেটে যায় নিজেও হয়তো মনে রাখি না। বছরের বিশেষ দিনগুলো ছাড়া কিংবা প্রয়োজন ছাড়া প্রভাতদাকে ফোন করাও তেমন ভাবে হয়ে ওঠে না। অনেক সময় ইচ্ছে করেও ফোন করি না ,জানি একটা ছকবাঁধা জীবনে তিনি চলেন ।এমন করেই গড়িয়ে যাচ্ছিল দিনগুলো ,কিন্তু কয়েকদিন আগে ফেসবুকে একটি পোস্টে দেখলাম -প্রভাত দা অসুস্থ ।ঠিক তখন থেকে মনের যে উদ্বেগ শুরু হলো, তাতে বুঝতে পারলাম প্রভাতদা আমাদের জীবনে কতটা প্রাসঙ্গিক ।কেবলই মনে হচ্ছিল ছুটে যাই। কাছে গিয়ে একটু বসি ।অসুস্থতার এতগুলো দিন পেরিয়ে যাবার পরও 'কবিতা উৎসবে 'ডাক পাওয়ায় কলকাতার টিকিট কেটে প্রভাতদাকে জানিয়েছিলাম ।তারপর মাঝে বিশ -পঁচিশ দিন কোনও ফোন করিনি ।অথচ ঠিক চব্বিশ তারিখ প্রভাতদার ফোন ।আমি তখন কলকাতায় নেমেছি মাত্র। যথারীতি নির্দেশ -বাড়িতে চলে এসো। বাড়িতে গিয়ে কোনদিন খালি মুখে ফিরে আসতে পারিনি আমরা ।শিয়ালদা স্টেশন থেকে প্রভাতদার বাড়ি হাঁটাপথ হওয়ায় প্রায় সময়ই রাতের খাওয়াটা ওখানেই খেয়ে গাড়িতে উঠি এটাই প্রভাতদা এবং বৌদি দুজনেই প্রত্যাশা করেন। সঙ্গে থাকবে গাড়িতে ওঠা থেকে শুরু করে বাড়িতে ঠিকঠাক পৌঁছানোর পর ফোন করার নির্দেশ। প্রায় সময়ই বাড়িতে পৌঁছানোর পরপরই আমরা ফোন করার আগেই প্রভাতদার ফোন চলে আসে ।ঠিক ঠাক পৌঁছে গেছি শুনে যেন কত নিশ্চিন্ত হলেন। এইরকম ভালবাসার বাঁধনে বেঁধে রেখেছেন তিনি সবাইকে। এত ব্যস্ত মানুষ আমাদের মত মানুষের জন্য যে এতটা সময় নির্দ্বিধায় নষ্ট করে দেন, তা আমাদের জীবনের পরম প্রাপ্তি বলেই মনে করি।
আফজলদার মাধ্যমেই পরিচয় হয়েছিল প্রভাতদার সঙ্গে ,তারপর এতগুলো বছরে কেমন করে যে কবিতাপাক্ষিক এর প্রতিটি মানুষ নিজের হয়ে গেছেন জানি না ।নাসের দা, গৌরাঙ্গদাকেও ইতোমধ্যে হারিয়েছি আমরা। প্রভাতদার শারীরিক অসুস্থতার জন্য কবিতাপাক্ষিক আর প্রকাশিত হচ্ছে না এই মুহূর্তে।আমার মতো বহু অক্ষরপাগল মানুষ তবুও আশাবাদী।প্রভাতদার সুস্থ ও দীর্ঘ কাব্যজীবন প্রত্যাশা করি।
সুন্দর লেখা। অজানা অনেক কিছু জানলাম চেনা প্রভাতদা সম্পর্কে।
ReplyDelete