শতানীক রায়ের কবিতা
নিয়মমাফিক এই পথে…
বাবাকে প্রতিদিন বলি— ঘুমিয়ে পড়ো৷ ঘুমোনো ছাড়া আর কিছু নেই। যুদ্ধ হয়েছিল অনর্গল। এই ঘাসকে অযথা ভুলেছিল কতজন। কতজনকে কাকের গল্প বলতে হয়েছিল। পাখির ডানাভাঙা কবিতা। ঘুমিয়ে পড়তে হবে— মাকেও একদিন বললাম। ক্রিয়া থেকে ক্রিয়াহীনতা একটি আকাশ। আকাশে ভেসে থাকা মানুষ। তারা কি পদ্ম হয়েছে আজ। ভুলে যাওয়া ঘর। ঠিকানাহীনতা। কোনো কাগজের হয় না এমন শরীর হোক আমাদের। আমাদের জন্য কত কিছু অপেক্ষা করে আছে। শুধু ঘাস শুনেছে আমাদের গল্প। কখন অতল না পেয়ে সাদা ডানা মেলা পাখি হয়েছিল সে। সব সেই যুদ্ধের মাঠ থেকে ভেসে। ভুলে গেছি এখনও মানব থেকে যায়। ভুলে গেছি ঘাসের স্পর্শে শস্যশ্যামল মানুষ পুনরায় বাড়ি খুঁজে পায়।
২
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কতগুলো বছর কেটে গেল। টের পেতে ভুলে গেছি। আদৌ আছি কিনা এও এক অজানায় পাড়ি দেওয়ার মতো। ছোটোবেলায় যার কোনো পক্ষীরাজ ছিল না সেরকম দিনগুলোতে যদি মাংসের ঘোড়া হয়ে আসে কেউ। সমগ্র তখনই শুরু। এই মতো সমগ্রের কোনো অতীত ছিল না। মনে হওয়াও কি তেমন ছিল? কোনো এক জীবনে কতগুলো বছর কাটিয়ে ছিলাম। জলছবিও এখন আর প্রতিবিম্ব দেখায় না। স্তরীকরণ তাহলে কীসের। কী নিয়ে তবে টানাপোড়েন? রোদজলের সরু রাস্তাটাই থাকে। কোনো এক বাড়ি থেকে বেরিয়ে ফেরার পথ। নির্জনতা। সরু পথটাই থাকে। যেটা এক-একটা সময় একটু বেশি-ই সরু হয়ে যায়।
৩
যেখানে শুধু সংকেত লক্ষ করি। ভঙ্গিমায় যেখানে শুরু ও শেষ। সেইসব অজগরের দেশ মনে পড়ে। ভাষাহীন রোগ। আত্মজীবনীতে ডুবে যাওয়া। শ্রম অথবা বিন্যাসের রাজনীতি। কাকে বলব এত কথা। নিঃশব্দ প্রার্থনায় কে ডুবে গিয়ে উঠে আসে। আমাকেই অনেক বিভাজিত হতে হয়। অনেক শ্রম ও স্বপ্নের জাল কেটে এগোতে গিয়ে ছেলেবেলা নয়তো যা কিছু গাছের ফল হিসেবে সুন্দর ছিল যা কিছু ছিল একাই সুন্দর। শোভিত গানের দেশের মানুষের মতো স্রোত ভাঙতে ভুলে গিয়ে কোনো এক নগরে প্রবেশ করা। আর সেখান থেকেই এত সব আলোচনা আর আয়োজন মিলেমিশে গল্প আসে।
খুব ভালো লাগলো। জীবন থেকে উঠে আসা। প্রীতমদা
ReplyDeleteবাহ্!
ReplyDeleteএই লেখাগুলির চলন ভালো লাগলো। "কোনো কাগজের হয় না এমন শরীর হোক আমাদের", এই কথাটি অনেকদিন স্মৃতিতে থাকবে।
ReplyDeleteভীষণ ভালো লাগলো
ReplyDeleteঅসাধারণ। ভীষণ ভালো লাগলো দাদা।
ReplyDelete-মিন্টু দাস