কুয়োর অন্ধকার
সেলিম মণ্ডল
১
যদি কুয়ো থেকে না বেরোতে পারেন, পৃথিবী সম্পর্কে কী ধারণা পাবেন? পৃথিবী ন্যাসপাতি নয়, ন্যাসপাতির মতো। কামড়ে খাব বলেই খেয়ে নেওয়া যাবে না। ঝকঝকে দাঁত দিয়ে বড়োজোর মনোমুগ্ধকর নকল হাসি দেওয়া যেতে পারে।
২
পুকুর কেটে সাঁতার কাটবে ভেবে কেটে ফেলেছ কুয়ো। বর্ষার আগেই শুরু হয়েছে গোঁ গোঁ। সোনালী খসখসে পিঠে আদর করা হাতগুলো জলে নিজছায়া দেখে পালিয়েছে। এখন নিজেকে আদর করার জন্য একমাত্র পা অবলম্বন।
৩
দলবদ্ধ ব্যাঙ, কুয়োর মধ্যে বসবাস শুরু করতে থাকল। নিজের একটা রাষ্ট্র পেয়েছে ভেবে মহানন্দে কাটাতে থাকল দিন। প্রতিদিন নিজেদের মুখ দেখতে দেখতে তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। একদিন সর্দার ভাবল, সবাই মিলে না হোক; অন্তত নিজে পালাবে। কিন্তু কিছুতেই সফল হল না। তারপর কুয়োতে কাঁটাতার দিয়ে নোটিশ টাঙিয়ে দিল, প্রবেশ নিষেধ।
কারো আর যাতায়াত নেই। একটা পরিত্যক্ত কুয়ো পড়ে থাকতে থাকতে ভরে উঠল আবর্জনায়। তারপর বর্ষা এল। ভেসে উঠল আরও অজস্র ব্যাঙ। সোনালী নয়, কুচকুচে কালো।
খুব ভালো
ReplyDelete