অভিষেক সাহার গুচ্ছ কবিতা
খেয়াল
শেষ হবে
১.
অসীম ছুঁয়ে কিছু পাথর পেলাম
আর শূন্যতা
চার শতাংশ গভীরতায়
ভেবে নিচ্ছি যা যা
পুনজন্ম হচ্ছে বারবার
মৌসুমি বায়ুর মত খেলছে ।
২.
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি..
কিছুটা শব্দ কানে আসছে
কিছুটা সিঁড়িতে
কিছুটা জল গড়ছে মাথায়
কিছুটা ছাদে,
মাঝে বাঁশির ভেতর উত্তর নিল
সকাল হতে যত পা এগিয়েছি
বারুদের দেশে
ভালবাসা বলা হল না
অসুখের মাঝে
এই অসুখ রিফিলে শেষ হয় না
ফ্যান ভাত বা লোকাল ট্রেনের মত
নেশা কেটে গেলে ।
৩.
আমি, সত্য বলি নদী
অথচ না তাকালে নদী নেই
আমি, সুন্দর বলি নদী
ঠোঁট হারালে কি বলতাম ?
এই সুখ জড়িয়ে নিল বাতাস
ক্ষয় ও পাথরে যেমন পূর্বাভাস,
যে মত্ত হুড়োহুড়ি বিশ্ব জুড়ে
সেখানেই
রোদ আর নিঃশ্বাস স্বচ্ছ হয়
এখানে শব্দ হতে পারে
নৈঃশব্দে্র স্তব
৪.
কেও কেও পিঠ ফিরিয়ে নেয়
আশ্বিনে
কম্পমান রূপের বিভায়
চোখের সামনে চোখ রেখে ছল হয়
ভাসিয়ে নিয়ে যায় ফুলদানি
সেই চোখ থেকে চলে যাওয়া
ভয়, যেন
সমুদ্রের ঢেও অথবা সুরাপান
স্বর্গমোহ অথবা
অমরশিল্প ।
৫.
প্রতিটি নিঃশ্বাসে যে উত্তাপ
বেড়িয়ে আসছে
শিতলতা কাটিয়ে ওঠার মত
এই রুপকথার ছদ্মনাম মায়া
আঞ্জলি ফেরানো মুখ
কোট করেছিল ‘সব’
ছুঁয়ে দেখা স্বপ্ন
আঙ্গুলে ঝরে পরা দৃশ্য
যেমনটা উত্তর দেখে মেলানো।
নিঃশ্বাস
অভিষেক সাহা
যতটা দূরে
সেই খেলার জায়গাটা
ঠিক যতটুকু না হলে খেলা হয় না
ওখানে
হলুদ গায়ে রোদে ভাসল দুপুর
প্রাঞ্জলে চৌকাঠ ধুয়ে নেবার পর
পাতা পাতার খেলা শুরু হলে
ডুব সাঁতার ভুলে যায় আঙ্গুল
যতটা দূরে থাকুক সিড়ি
ঠিক জুঁড়ে যাবে দেওয়াল
নাম লিখলেই লিখা যায় ছ‒অ‒ন‒দ‒অ
বুকের ভেতর প্রসারিত হবে বিছানা,
নরম ঘাসের তফাতে আশ্রয় পাবে
চেনা অথবা অচেনা গন্ধ
ছদ্মবেশে বাজার অথবা গলি
ভয় দিলেই ছড়িয়ে দেবে রং
.............................. .............................. .............................. ...
No comments:
Post a Comment