মহুয়া বৈদ্যর কবিতা
এই রঙ
১.
মেরে ফেলবার পর একটি মশার রং নীল
অথচ আকাশ থেকে গাঢ়তর একফালি কালো
নিয়ম মাফিক এসে জমা হয় এই পৃথিবীতে
সেই মতো হিসেবের খাতা,দুই পোঁচ ঘন লাল রং
সাপটিয়ে বিছিয়ে দিল, আমার মুখের পাশটিতে
এই ভালো, এমন তো মনে হয় বড় বেশি ভালো
প্রতিটি পতঙ্গ যেন আদতেই মুঠোমুঠো নীল
নীল রঙ ফুলেদের পরাগে ছড়ায়, তারপর
বেহিসেবী মধুটুকু প্রাণপণ টানে অবিরাম
এমন করেই ধীরে ধীরে, ফুলেদের নাম জানলাম।
২.
তান বলছিল ওর কমলালেবুর গাছ মরে গেছে,
ছবিও পাঠালো। শুকনো পাতার মরা কাঠ--
পাতাগুলি কমলা যদিও...
আমার কমলা গাছ এখনো সবুজ,
চারটি পাঁচটি কচি পাতা
ছবিদুটি ভিউয়ারে পাশাপাশি স্থান নিয়ে আছে
কমলা কমলা রঙ হাল ছেড়ে কখনো সবুজ
সবুজ আপেল নিয়ে আসে,
মরে গিয়ে পাতাকে রাঙায়...
রাঙায়,পাতাকে? ফলহীন সবুজ কমলা রঙ
পাশাপাশি দুর্দিনে পাত পেতে স্থির বসে আছে
উত্তরায়ন
ছায়াহীন এই আমি কায়ার সন্ধানে তবে যাবো
সাত জুন রবিবার দু'হাজার কুড়ি
দুপুর বারোটা
চিরদিন পাশে থাকা ছায়াটুকু
আজ তিনি পায়ে পড়বেন
বিনম্র বিনয় এই কোনখানে রাখি!
সূর্যদেব,একাকী আমিও
উড়ো কথাদের পদ্য
১.
এইসব ভূতজন্ম অনভ্যাস অক্ষরের ত্রাস
লিখে রাখি মৃদু মৃদু মহাকাল সময়-সন্ত্রাস
২.
উঝুমপুরের দেশে নিঝুমপুরের সেই মেয়ে
আনমনে তাকিয়েছে পরজ রাগের গান গেয়ে
দিন যায় মাস যায় কথার উপর জমে কথা
কথাই পাহাড় হয়,পাথরের ভুল সফলতা
তবু সেই পাথরেই ভালোবেসে লিখে রাখি নাম
ক্ষয়ে যাওয়া সহবাস তোমাকে আদর পাঠালাম
৩.
অই দ্যাখো বাঁকা চাঁদ,হিম পড়ে ধুলোবালি মুখে
বরফ যুগের থেকে নামিয়েছি এই ডাকনাম
তবু যদি শারীরিক শীত শীত কাতর অসুখে
হেমন্তের রোদ মেখো, ধান্যের শপথ রাখলাম
মরাকাঠ ডালপালা বিস্তৃত এ শুষ্ক চরাচরে
সচন্দন পুষ্পগন্ধ ভাসিয়েছি মেঘলা সফরে
৪.
এই সেই ওষ্ঠ-ভার এই নাও অলক্তক-রাগ
এমন মেঘের দলে আশাতীত ভ্রমণ গরাগ
শ্রাবণের অতিরিক্ত যদি কিছু ফেলে যাই,সাঁকো
নড়বড়ে।তুমি এই হালখানি সাবধানে রাখো
সাবেক জলের পদ্যে দিক ঠিক করে নিও চোখ
আকাশের ধ্রুবতারা থেকে নামে অচিন পালক।
আহা...অনবদ্য ❤
ReplyDeleteকিসব মুক্তোঝরা অনবদ্য লেখা, আহা।
ReplyDeleteকিসব মুক্তোঝরা অনবদ্য লেখা, আহা।
ReplyDeleteকিসব মুক্তোঝরা অনবদ্য লেখা, আহা।
ReplyDelete