রঞ্জন মৈত্রের দুটো কবিতা
শেড ট্রী
দিনের শুরুতে ঘুমে ছিলাম
চায়ের শুরুতে বাথরুম কেটে ওয়াশরুম
তখন ভোঁ পড়ছে
টুকরিগুলি হাঁটছে ছায়াতরুর পাশ দিয়ে
মুখের মধ্যে আরাম ছড়ানো
মাথার মধ্যে হলদে হচ্ছে সূর্য
এভাবে কবিতা হয় না
যে কোন কিছু থেকেই কবিতা সম্ভব
শুরুতে কোথায় ছিলাম
তারপর ভাঙা ট্রানজিস্টারের মধ্যে আস্ত দেবদুলাল।
পরিক্রমার খবর বলতে
চায়ের বনে যার পাশে যাই তারেই ক্লিক
তারপর ওয়াশরুম কেটে বাথরুম
ভাত ও ছুটির অন্তরা
এভাবে শেষ হয় না
যে কোন বিন্দুতেই শেষ হওয়া সম্ভব
শুধু গন্ধ হয়ে যায় একটি বাগান
আমার পায়ের ছাপ সন্ধ্যা হয়ে গেলে
প্রত্ন
তুমি কেল্লায় ছিলে
আর পায়রাতেও
তারপর অস্ত গেলে আরাবল্লী শ্রেণির পিছনে
এই যে তোমাকে আর সূর্যকে মিশিয়ে ফেলছি
আর নীলবোর্ডে লেখা ইতিহাস থেকে
গাইডের মুখ থেকে
উড়ে আসছে সিঁড়িগুলো
ডানা বেয়ে ডাক বেয়ে যত নেমে যাওয়া
অপেক্ষা করতে হবে
তুমি শব্দটি পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে
সূর্য হয়ে ফেরে কিনা
কেল্লা শব্দটির পাশে পায়রা হয়ে
ফেরে কিনা কোন ফেলে যাওয়া।
No comments:
Post a Comment