প্রদীপ চক্রবর্তী ' র কবিতা
.............................. ...........
সমকামী বাঁশি
এক .
শান্ত কুসুমিত এক প্রকল্প
তার পাশে
পুরোনো অভ্যাসে
শুয়ে পড়েছি
বিজলিলতার গিঁট কিভাবে খুলতে পারে
এই নবদূর্বা বৃষ্টির দেশ ,
অনিদ্রা সারাক্ষণ
দুচোখ খোলা থাকলে দেখা যাবেই
মানুষের সবচে প্রিয় ক্ষত , এখনো মানুষ
এই প্রাচুর্য্য আশা করা যায় বড়ো হবে ...
দুই .
ফুটে -- ওঠা থেকে অভূত ভেঙেছে
যমুনা জুড়ে খরোতোয়া যায় না ধরা
ভেঙেছে বিরল মৌনতায় বনশ্রেণী ভেঙেছে
জলছুঁই পাশে গলিঘুঁজি খন্দ খানায়
সজল সোঁদা নম্র থোপা শিরীষ ফুলের
অঞ্জুলা বনে নীল চলো না আমার সঙ্গে
অগণিত মরা নদীর বালি ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে আছে ট্রাক
রোগা মেয়েটির মৃদুতা মেশানো কাঠের জানলা
আঁকাবাঁকা পথে উড়তে উড়তে থমকে দাঁড়ায়
সমস্ত ছবিটাই শালবল্লীর ওপারে সুদূর ..
নির্জন বিদ্বেষী নই ,
প্রবঞ্চিত সর্বহারা একাকী নায়িকার ভেসে আসে
গানের অমোঘ দ্রাক্ষারস
সেই বৃষ্টির বাইরে তুমি ভিজে যাচ্ছ
পৃথিবীর দিকে শ্রী হরিণ
দাবদগ্ধ উৎসারিত অনিমেষ
প্রথিত নদীর বাঁকে পাখিরা যখন
মধ্যমে ভেঙে যায় ....
তিন .
হে মেঘমথিত পুলক , মোশনে ক্লিক করো
দেখো কাঙালকে শাকের খেত দেখাতে নেই
বিশাখা , কৃত্তিকা আর কি কি সব নিয়ে
আকাশটা জন্ম -- মূক
তার নীচে দাঁড়িয়ে তুমি একটা মেয়েকে
খুন করার কথা ভাবছো ?
ভাবছো যামিনী রায়ের পটে আঁকা ছবি
ভাঙা ছাদ | থমথমে সিঁড়ি | পাতালবাহিনী একটি পুকুর
রাধাগোবিন্দের মন্দিরচূড়ার মতো রাঙা মনোরেল
কাজল নীল ক্রিমরোজ উড়ছে কফিসপে
সপসপে মাঝবয়সী জামার হাতায় ভিজে চোখে মুছে
অন্ধ কানাই চাঁদে যাবে না অপেক্ষা করবে
সেই ডিসিশনে রোগা হচ্ছে রোদ
এই কাঁপন তার মিষ্টি লাগছে
এটা খুনির দান করা শব্দ
না মীরণের ছুরিকা
অমীমাংসিত প্রশ্নে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যায়
তার চোখ
নিঃস্ব পশমিক ভ্রান্তিলতা
সুদূর অব্যবহৃত পোলটুকু পেরোলেই
পোলকা নাচ ,
ব্রীজ আছে তবু ছায়াবাঘ নেই ...
অসাধারণ
ReplyDeleteঅসাধারণ খুব ভালো লাগলো ।
ReplyDeleteখুব ভালো কবিতা। প্রদীপ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, অভিবাদন ।
ReplyDeleteবরাবরের মতোন আবারো ভালোলাগা দাদা
ReplyDeleteমুগ্দ্ধ হলাম. কয়েকবার পড়লাম ۔
ReplyDeleteতিন নং কবিতাটা সবচাইতে ভালো। বর্ষায় ভিজেছে তোমার কবিতা। চোখে রাইঘুম।
ReplyDelete