চিত্রকালার নানা দিক : মনতোষ বসাক
কিউবিজম
অনুভূতিপ্রবণ মানুষের আবেগ ও অনুভূতিকে প্রকাশ করার তাগিদ থেকেই সৃষ্টি হয়েছিল শিল্পকলার। সভ্যতার ঊষা লগ্নে মানুষের জীবন ও যাপন থেকে উঠে আশা যে অনুভূতি তার ই সার্থক রূপ দান আদিম গুহাচিত্র। আদিম মানবের বেঁচে থাকার জন্য পশু শিকার এবং এই পশু শিকার করতে গিয়ে যে অ্যাডভেঞ্চার ও সৌন্দর্যবোধ এই দুইয়ের সংমিশ্রণেই শিল্পকলার শুভ আরম্ভ।
সময় পরিবর্তনশীল। এই সময়ের হাত ধরেই শিল্পের ও গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের সৌন্দর্যবোধের ও পরিবর্তন হয়েছে স্বাভাবিক নিয়মেই। শিল্প-সংস্কৃতির পরিবর্তন হয়েছে দ্রুত ও বহুমাত্রায়। সময় প্রভাব ফেলেছে শিল্পের ওপর আবার শিল্পও সমাজকে প্রভাবিত করেছে।
ইতিমধ্যে ফটোগ্রাফির উদ্ভব বিশ্ব শিল্পকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। শিল্প সম্পর্কিত সমস্ত ধ্যান ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটে, কি আঙ্গিকে, বিষয়বস্তুতে বা মাধ্যমে। এই মাধ্যম , আঙ্গিক ও শৈলী নিয়ে পাশ্চাত্য শিল্পীদের মধ্যে শুরু হয় না না পরীক্ষা নিরীক্ষা। ফলস্বরূপ না না মুনির না না মত..... ইম্প্রেশনিজম, এক্সপ্রেশনিজম, কিউবিজম, ফিউচারিজম, সুরিয়ালিজম, ফবিজম ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিউবিজম সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই যে নামটি উঠে আসে তিনি হলেন জন্ ব্রাক ।কিন্তু এর আবিষ্কারক হিসেবে স্পেনীয় শিল্পী পাবলো পিকাসো কেই আমরা জানি ।অর্থাৎ কিউবিজমের সার্থক রুপাকার পাবলো পিকাসো। যদিও ভোরের পাখি বিহারীলালের কোথায় "সন্ধ্যেবেলায় তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালানোর আগে থাকে সকালবেলার সলতে পাকানোর ইতিহাস" এই কিউবিজমের সলতে পাঠিয়েছিলেন কিউবিজমের পূর্ববর্তী ধারার শিল্পী পল্ সেজান (ইম্প্রেশনিস্ট) সেজানের শিল্পকলার মধ্যেই নিহিত ছিল কিউবিজমের বীজ। সেজানের শেষ দিককার কাজে লক্ষ করা যায় অযথা বাহুল্য বর্জন করে বস্তুর মূল আকৃতি আনার চেষ্টা করেছেন। জ্যামিতিক আকারের ওপর জোর দিয়েছেন। কিউবিস্ট শিল্পীরা সেজানের এই লক্ষণটি গ্রহণ করেছিলেন তারা প্রত্যেকটি বস্তুকে জ্যামিতিক কাঠামোতে ভাঙতে সক্ষম হয়েছিলেন।
কিউবিস্ট শিল্পীরাই প্রথম যারা নাকি চোখের দৃষ্টিকে অস্বীকার করে বস্তুর অন্তর্নিহিত রূপ আঁকতে সচেষ্ট ছিলেন। জ্যামিতিক আকার এর সাথে সাথে একি ছবির মধ্যে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ ব্যবহার করে এক নতুন আঙ্গিকের সূচনা করলেন। বস্তুর পার্শ্ব রূপ দেখানোর চেষ্টা করলেন। রেখার মধ্যে পৌনঃপুনিক এর ব্যবহার ও জ্যামিতিক কাঠামো ব্যবহার করে বস্তুর মধ্যে একপ্রকার কাঠিন্য আনতেন কিউবিস্ট শিল্পীরা যা নাকি কিউবিজমের অন্যতম প্রধান গুণ।
এই ভাবে জ্যামিতিক আকার প্রয়োগের মাধ্যমে বিষয়বস্তুকে বিভিন্য ভাবে ভাঙচুর করেছেন কিউবিস্ট শিল্পীরা এবং তা করতে গিয়ে ছবির মধ্যে রংএর চাকচিক্য কে পুরোপুরিভাবেই বর্জন করেছেন শিল্পীরা। এই ধারার কাজগুলো মূলত হাজার 1909 থেকে 1912 এর মধ্যে করেন। শিল্প বোদ্ধারা একে অ্যানালিটিক্যাল কিউবিজম বলে চিহ্নিত করেছেন।
1912 সালের পরবর্তীতে দেখা যায় যে কিউবিজমে আবারো রঙের প্রাধান্য চলে আসে যা নাকি সিন্থেটিক কিউবিজম বলে আমরা জানি। পিকাসো নিগ্রো ভাস্কর্য ও মুখোশ এর প্রতি আকৃষ্ট হন। নিগ্রো ভাস্কর্যের স্বতন্ত্র রূপ ও মুখোশের কৌণিক আকৃতি যা নাকি অনেক বেশি কাঠিন্য আনতে পারে এই সমস্ত অপাদান থেকেই পিকাসো তৈরি করে ফেললেন নিগ্রোইড কিউবিজম।
এই শিল্প আন্দোলন পরবর্তী আধুনিক শিল্পের এক বিরাট সম্ভাবনার উৎস হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।
কিউবিজম
অনুভূতিপ্রবণ মানুষের আবেগ ও অনুভূতিকে প্রকাশ করার তাগিদ থেকেই সৃষ্টি হয়েছিল শিল্পকলার। সভ্যতার ঊষা লগ্নে মানুষের জীবন ও যাপন থেকে উঠে আশা যে অনুভূতি তার ই সার্থক রূপ দান আদিম গুহাচিত্র। আদিম মানবের বেঁচে থাকার জন্য পশু শিকার এবং এই পশু শিকার করতে গিয়ে যে অ্যাডভেঞ্চার ও সৌন্দর্যবোধ এই দুইয়ের সংমিশ্রণেই শিল্পকলার শুভ আরম্ভ।
সময় পরিবর্তনশীল। এই সময়ের হাত ধরেই শিল্পের ও গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের সৌন্দর্যবোধের ও পরিবর্তন হয়েছে স্বাভাবিক নিয়মেই। শিল্প-সংস্কৃতির পরিবর্তন হয়েছে দ্রুত ও বহুমাত্রায়। সময় প্রভাব ফেলেছে শিল্পের ওপর আবার শিল্পও সমাজকে প্রভাবিত করেছে।
ইতিমধ্যে ফটোগ্রাফির উদ্ভব বিশ্ব শিল্পকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। শিল্প সম্পর্কিত সমস্ত ধ্যান ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটে, কি আঙ্গিকে, বিষয়বস্তুতে বা মাধ্যমে। এই মাধ্যম , আঙ্গিক ও শৈলী নিয়ে পাশ্চাত্য শিল্পীদের মধ্যে শুরু হয় না না পরীক্ষা নিরীক্ষা। ফলস্বরূপ না না মুনির না না মত..... ইম্প্রেশনিজম, এক্সপ্রেশনিজম, কিউবিজম, ফিউচারিজম, সুরিয়ালিজম, ফবিজম ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিউবিজম সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই যে নামটি উঠে আসে তিনি হলেন জন্ ব্রাক ।কিন্তু এর আবিষ্কারক হিসেবে স্পেনীয় শিল্পী পাবলো পিকাসো কেই আমরা জানি ।অর্থাৎ কিউবিজমের সার্থক রুপাকার পাবলো পিকাসো। যদিও ভোরের পাখি বিহারীলালের কোথায় "সন্ধ্যেবেলায় তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালানোর আগে থাকে সকালবেলার সলতে পাকানোর ইতিহাস" এই কিউবিজমের সলতে পাঠিয়েছিলেন কিউবিজমের পূর্ববর্তী ধারার শিল্পী পল্ সেজান (ইম্প্রেশনিস্ট) সেজানের শিল্পকলার মধ্যেই নিহিত ছিল কিউবিজমের বীজ। সেজানের শেষ দিককার কাজে লক্ষ করা যায় অযথা বাহুল্য বর্জন করে বস্তুর মূল আকৃতি আনার চেষ্টা করেছেন। জ্যামিতিক আকারের ওপর জোর দিয়েছেন। কিউবিস্ট শিল্পীরা সেজানের এই লক্ষণটি গ্রহণ করেছিলেন তারা প্রত্যেকটি বস্তুকে জ্যামিতিক কাঠামোতে ভাঙতে সক্ষম হয়েছিলেন।
কিউবিস্ট শিল্পীরাই প্রথম যারা নাকি চোখের দৃষ্টিকে অস্বীকার করে বস্তুর অন্তর্নিহিত রূপ আঁকতে সচেষ্ট ছিলেন। জ্যামিতিক আকার এর সাথে সাথে একি ছবির মধ্যে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ ব্যবহার করে এক নতুন আঙ্গিকের সূচনা করলেন। বস্তুর পার্শ্ব রূপ দেখানোর চেষ্টা করলেন। রেখার মধ্যে পৌনঃপুনিক এর ব্যবহার ও জ্যামিতিক কাঠামো ব্যবহার করে বস্তুর মধ্যে একপ্রকার কাঠিন্য আনতেন কিউবিস্ট শিল্পীরা যা নাকি কিউবিজমের অন্যতম প্রধান গুণ।
এই ভাবে জ্যামিতিক আকার প্রয়োগের মাধ্যমে বিষয়বস্তুকে বিভিন্য ভাবে ভাঙচুর করেছেন কিউবিস্ট শিল্পীরা এবং তা করতে গিয়ে ছবির মধ্যে রংএর চাকচিক্য কে পুরোপুরিভাবেই বর্জন করেছেন শিল্পীরা। এই ধারার কাজগুলো মূলত হাজার 1909 থেকে 1912 এর মধ্যে করেন। শিল্প বোদ্ধারা একে অ্যানালিটিক্যাল কিউবিজম বলে চিহ্নিত করেছেন।
1912 সালের পরবর্তীতে দেখা যায় যে কিউবিজমে আবারো রঙের প্রাধান্য চলে আসে যা নাকি সিন্থেটিক কিউবিজম বলে আমরা জানি। পিকাসো নিগ্রো ভাস্কর্য ও মুখোশ এর প্রতি আকৃষ্ট হন। নিগ্রো ভাস্কর্যের স্বতন্ত্র রূপ ও মুখোশের কৌণিক আকৃতি যা নাকি অনেক বেশি কাঠিন্য আনতে পারে এই সমস্ত অপাদান থেকেই পিকাসো তৈরি করে ফেললেন নিগ্রোইড কিউবিজম।
এই শিল্প আন্দোলন পরবর্তী আধুনিক শিল্পের এক বিরাট সম্ভাবনার উৎস হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।
No comments:
Post a Comment