কমল সরকারের কবিতা
ম্যাজিশিয়ান-১
শূন্য ঝুলি থেকে তিনি
অনায়াসে বের করে আনেন লাল নীল বল,
কাগজের মোড়ক থেকে আশ্চর্য ফুলের তোড়া।
তিনি যাদুকাঠি ছুঁয়ে দিলে
টুপির পালক থেকে জলজ্যান্ত উড়ে যায়
সাদা কবুতর;
তাঁর আঙুলের ইশারায়
পলকে অদৃশ্য হয়
হাতের তালুতে বিছানো রুমাল।
এইসব ম্যাজিক দেখে সমবেত পথচারী
একটা দুটো খুচরো ছুঁড়ে দেয় তাঁর দিকে।
আসলে তালি বাজানোয় তাদের হাত যতটা প্রশস্ত
অর্থ প্রদানে ঠিক ততটা নয়।
ম্যাজিশিয়ান জানেন
এমন খুচরো উপার্জনে তাঁর মেয়ের
অপারেশন সম্ভব নয় কিছুতে।
ধুলোমাটি থেকে কয়েন তুলে নিতে নিতে তিনি
আকাশের দিকে তাকান :
কোন যাদু তুমি জানো না ঈশ্বর!
তুমিও শালা আরেকটা ধাপ্পাবাজ।।
ম্যাজিশিয়ান-২
এমন কোন ম্যাজিক তিনি জানেন না যে
শূন্য ঝুলি থেকে টুপ টাপ খসে পড়বে তেল নুন আনাজপাতি,
কিংবা টুপির ভেতর থেকে টুক করে লাফ দিয়ে নেমে যাবে তরতাজা মাছ!
বুকে পাথর চেপে রেখে দিয়ে তিনি
বিস্ময়ে দেখেন
কী আশ্চর্য কৌশলে
একবেলার চাল-ডালে তিনবেলা পুষিয়ে দিচ্ছে তাঁর নিপুণা গৃহিণী!
আঁচলের গিঁট থেকে কী অসম্ভব উপায়ে
বেরিয়ে-আসা আধুলি-টাকায়
মিটে যাচ্ছে মেয়েটির বেলুন বা আচারের আবদার!
অত:পর মেয়েটির স্বর্গীয় হাসির ছটায়
কানায় কানায় ঘর ভরে গেলে
তাঁর বুকের থেকে খসে পড়ে সমস্ত পাথর।
দেয়ালে লেপ্টে থাকা ছেঁড়া-ফাটা ক্যালেন্ডার থেকে তখন
নীরবে হেসে যান ধুলোট ঈশ্বর।।
চিত্র ঋণ : লিন্ডা
ম্যাজিশিয়ান-১
শূন্য ঝুলি থেকে তিনি
অনায়াসে বের করে আনেন লাল নীল বল,
কাগজের মোড়ক থেকে আশ্চর্য ফুলের তোড়া।
তিনি যাদুকাঠি ছুঁয়ে দিলে
টুপির পালক থেকে জলজ্যান্ত উড়ে যায়
সাদা কবুতর;
তাঁর আঙুলের ইশারায়
পলকে অদৃশ্য হয়
হাতের তালুতে বিছানো রুমাল।
এইসব ম্যাজিক দেখে সমবেত পথচারী
একটা দুটো খুচরো ছুঁড়ে দেয় তাঁর দিকে।
আসলে তালি বাজানোয় তাদের হাত যতটা প্রশস্ত
অর্থ প্রদানে ঠিক ততটা নয়।
ম্যাজিশিয়ান জানেন
এমন খুচরো উপার্জনে তাঁর মেয়ের
অপারেশন সম্ভব নয় কিছুতে।
ধুলোমাটি থেকে কয়েন তুলে নিতে নিতে তিনি
আকাশের দিকে তাকান :
কোন যাদু তুমি জানো না ঈশ্বর!
তুমিও শালা আরেকটা ধাপ্পাবাজ।।
ম্যাজিশিয়ান-২
এমন কোন ম্যাজিক তিনি জানেন না যে
শূন্য ঝুলি থেকে টুপ টাপ খসে পড়বে তেল নুন আনাজপাতি,
কিংবা টুপির ভেতর থেকে টুক করে লাফ দিয়ে নেমে যাবে তরতাজা মাছ!
বুকে পাথর চেপে রেখে দিয়ে তিনি
বিস্ময়ে দেখেন
কী আশ্চর্য কৌশলে
একবেলার চাল-ডালে তিনবেলা পুষিয়ে দিচ্ছে তাঁর নিপুণা গৃহিণী!
আঁচলের গিঁট থেকে কী অসম্ভব উপায়ে
বেরিয়ে-আসা আধুলি-টাকায়
মিটে যাচ্ছে মেয়েটির বেলুন বা আচারের আবদার!
অত:পর মেয়েটির স্বর্গীয় হাসির ছটায়
কানায় কানায় ঘর ভরে গেলে
তাঁর বুকের থেকে খসে পড়ে সমস্ত পাথর।
দেয়ালে লেপ্টে থাকা ছেঁড়া-ফাটা ক্যালেন্ডার থেকে তখন
নীরবে হেসে যান ধুলোট ঈশ্বর।।
চিত্র ঋণ : লিন্ডা
No comments:
Post a Comment