বাংলাদেশের কবিতা :
৫টি কবিতা
(- ফারহানা রহমান )
প্রতিশ্রুতি//
চিরসুপ্তির পথে অপলক জেগে থেকে
তোমার দীর্ঘ প্রতিশ্রুতির উষ্ণতা পেতে চাই
জলকুহকের তরল আধাঁরে
রাত্রি গড়ে পড়বে বলে
তুমি সিগাল উড়িয়ে দাও সমুদ্রে
অথচ সমুদ্রের এক একটি
ঢেউয়ে তোমার চুম্বন স্পর্শ
অনুবাদ হয়ে আছে...
ফাঁকি //
কিছুটাতো বিস্ময় ছিলোই
সেতুর ওপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকার
নাজানা রাস্তায় হারিয়ে যাবার ।
যে নিস্তেজ অভিমুখে তোমার
পথিকজন্মের মনোহর সাজিয়েছো
সেখানে নির্জনে হু হু করে ডাকে ডাহুক পাখিরা
বোবা রোদ নিরব ক্লান্তিতে তাকিয়ে তাকিয়ে
ছায়াদের অভিমান দেখে ভাবে
আজন্ম তৃষিত প্রেম নিয়েও কোথাও
আমাদের যৌথ জীবনে বিস্তর
লেখা থাকে ফাঁকি...
লিভিংরুমের কার্পেটের নিচে //
ভিজিয়ে দিচ্ছো ফ্রেইগ্রেন্সে
আর চায়ের কাপে কমলার তুমুল আঘ্রাণ
অথচ বাঁকল খসানো আঁধারে হারিয়ে গেছে আলোর প্রিজম
রেশম পোকার মতো গুটিসুটি রমণীর বুকে
নিদ্রাহীন স্বপ্নের ফসিল,
বিষণ্ণ আত্মা
ছিন্নভিন্ন হৃদয়
উদাসীন দুএকটা অভিমানী পালক এদিক সেদিকে
আজ চাপা পড়ে আছে
লিভিংরুমের কার্পেটের নিচে......
অন্বেষণ //
রাতের শেষের রেখাটি যখন
আলো হয়ে নুইয়ে পড়ে আর
শিশিরের মতোই টুপটাপ ঝরে পড়ে ভোরের মিলন
আমি কোন সুদূর অতীতে যেন হেঁটে যাই
সেখানে মাটিতে ছিল উইপোকাদের ঢিবি
ঝিরঝির বাতাসে লেবু পাতার আঘ্রাণ,
আমলকীর টক, এলাচ ফুলের মায়াবী সৌরভ
শিশিরের বৃষ্টির ভিতর হারানো স্বপ্নের অন্বেষণ
তখন আমি ঝুল বারান্দায়
দোল খেতে খতে মরে যাই
সাথে মরে যায় আমার কল্পনা, স্বপ্ন, স্মৃতি
আঙুলের স্পর্শ লেগে থাকা পুরনো পানির মগ, প্লেট,
জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে জড়িয়ে থাকা
দেয়াল, পাথর, কাচ, কাঠ, লোহা
সিমেন্টের ভাঙা টুকরোগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে
মানুষের ছেঁড়া অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতোই যন্ত্রণাভোগ করে, আর কাঁদে...
পাখি উড়ছে হেমন্ত বাতাসে //
দেয়ালের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে আমি কী দেখি ?
একটি নৌকা ;
আমি বসে আছি ।
আর?
আর একটি নদী
চারদিকে পাহাড় নদীটিকে ঘিরে আছে
অসংখ্য মাছরাঙ্গা পাখি উড়ছে হেমন্ত বাতাসে
আমি খাবার ছিটিয়ে দিচ্ছি !
আর ?
আর একটি নিরাপদ জায়গা দিয়েছি ওদের
যা, আমার নেই...
৫টি কবিতা
(- ফারহানা রহমান )
প্রতিশ্রুতি//
চিরসুপ্তির পথে অপলক জেগে থেকে
তোমার দীর্ঘ প্রতিশ্রুতির উষ্ণতা পেতে চাই
জলকুহকের তরল আধাঁরে
রাত্রি গড়ে পড়বে বলে
তুমি সিগাল উড়িয়ে দাও সমুদ্রে
অথচ সমুদ্রের এক একটি
ঢেউয়ে তোমার চুম্বন স্পর্শ
অনুবাদ হয়ে আছে...
ফাঁকি //
কিছুটাতো বিস্ময় ছিলোই
সেতুর ওপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকার
নাজানা রাস্তায় হারিয়ে যাবার ।
যে নিস্তেজ অভিমুখে তোমার
পথিকজন্মের মনোহর সাজিয়েছো
সেখানে নির্জনে হু হু করে ডাকে ডাহুক পাখিরা
বোবা রোদ নিরব ক্লান্তিতে তাকিয়ে তাকিয়ে
ছায়াদের অভিমান দেখে ভাবে
আজন্ম তৃষিত প্রেম নিয়েও কোথাও
আমাদের যৌথ জীবনে বিস্তর
লেখা থাকে ফাঁকি...
লিভিংরুমের কার্পেটের নিচে //
ভিজিয়ে দিচ্ছো ফ্রেইগ্রেন্সে
আর চায়ের কাপে কমলার তুমুল আঘ্রাণ
অথচ বাঁকল খসানো আঁধারে হারিয়ে গেছে আলোর প্রিজম
রেশম পোকার মতো গুটিসুটি রমণীর বুকে
নিদ্রাহীন স্বপ্নের ফসিল,
বিষণ্ণ আত্মা
ছিন্নভিন্ন হৃদয়
উদাসীন দুএকটা অভিমানী পালক এদিক সেদিকে
আজ চাপা পড়ে আছে
লিভিংরুমের কার্পেটের নিচে......
অন্বেষণ //
রাতের শেষের রেখাটি যখন
আলো হয়ে নুইয়ে পড়ে আর
শিশিরের মতোই টুপটাপ ঝরে পড়ে ভোরের মিলন
আমি কোন সুদূর অতীতে যেন হেঁটে যাই
সেখানে মাটিতে ছিল উইপোকাদের ঢিবি
ঝিরঝির বাতাসে লেবু পাতার আঘ্রাণ,
আমলকীর টক, এলাচ ফুলের মায়াবী সৌরভ
শিশিরের বৃষ্টির ভিতর হারানো স্বপ্নের অন্বেষণ
তখন আমি ঝুল বারান্দায়
দোল খেতে খতে মরে যাই
সাথে মরে যায় আমার কল্পনা, স্বপ্ন, স্মৃতি
আঙুলের স্পর্শ লেগে থাকা পুরনো পানির মগ, প্লেট,
জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে জড়িয়ে থাকা
দেয়াল, পাথর, কাচ, কাঠ, লোহা
সিমেন্টের ভাঙা টুকরোগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে
মানুষের ছেঁড়া অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতোই যন্ত্রণাভোগ করে, আর কাঁদে...
পাখি উড়ছে হেমন্ত বাতাসে //
দেয়ালের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে আমি কী দেখি ?
একটি নৌকা ;
আমি বসে আছি ।
আর?
আর একটি নদী
চারদিকে পাহাড় নদীটিকে ঘিরে আছে
অসংখ্য মাছরাঙ্গা পাখি উড়ছে হেমন্ত বাতাসে
আমি খাবার ছিটিয়ে দিচ্ছি !
আর ?
আর একটি নিরাপদ জায়গা দিয়েছি ওদের
যা, আমার নেই...
No comments:
Post a Comment