বুক রিভিউ :
কাব্যগ্রন্থ: আনুপাহাড়ের জলছবি(বইটি সব্যসাচী হাজরার ২০১০-এর জানুয়ারিতে প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ (‘তৃতীয় ফ্লাওয়ার শো’) ও ২০১১ তে প্রকাশিত দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ(“ওভ্যানোর ওভেনে’) -এর নির্বাচিত কবিতার এবং ২০০৭-২০১০ পর্যন্ত আরও কিছু অপ্রকাশিত কবিতার একটি সংকলন।)
প্রকাশ:২০১৭
প্রকাশনী:সুতরাং
প্রকাশক: সঞ্জয় ঋষি
আনুপাহাড়ের জলছবিঃ সব্যসাচী হাজরা
পাঠ-প্রতিক্রিয়া: পীযূষকান্তি বিশ্বাস
পাঠকামী/পীযূষকান্তি বিশ্বাস
কবিতা পড়তে গিয়ে নানান অভিজ্ঞতা হল । কবিতা চিনতে গিয়ে হোঁচট খেলাম । কবিকুলকেও চিনতে চিনতে সময় লেগে যায়, কবির ভাষা, ছন্দ, ধ্বনি, চিন্তা, দর্শন, কাব্য ইতিহাস, আর নিজেকে আলাদা করে দেখতে চাওয়া । আর যদি তা এইসময়ের হয় । অর্কেষ্টার ধ্বনি আর ভিতরে একটা একটা নোটের ব্যক্তিত্ব ফুটে ফুটে আসে অথচ কেউ কাউকে নালিফাই করে না, পরিপূরকের চরিত্রে যখন এক একজন ধ্বনিযন্ত্র নিজের চরিত্রকে ধরে রাখে, এমন সঙ্গীতকে দুহাতেই শিখে নিতে হয় বাজনা বাজানো, তাকে হয়ে উঠতে হয় সব্যসাচী, হ্যাঁ- আজকে সব্যসাচী হাজরার কথা বলছি । তার কবিতার কথা । তার দেওয়া এই উপহার আনুপাহাড়ের জলছবি ।
বই - আনুপাহাড়ের জলছবিঃ সব্যসাচী হাজরা ।
সব্যসাচীর কবিতার সঙ্গে আমি আগে পরিচিত । কিন্তু যে কবিতা আমি তার চিনি, বলা যায় সেই চেনা অতি গভীর নয় । এই বইটি পাঠ করতে করতে তা আবিষ্কার করলাম, আমার এখনো চেনা অনেক বাকি । তার কবিতায় একটা সঙ্গীত আছে, নানান বাজনা বাজে, তবলাটা বেশী পরিষ্কার, পিয়ানো স্টোন আর সেই কথাই আজ বিষয় হিসাবে তার কবিতায় মুখ্য হয়ে আসে, ছন্দের এমন অপরূপ কাজ আমি আগে দেখি নাই ।
"অলিতে - গলিতে
ধা-নি-সা-গা
নি-সা
নি-সা
মা-ধা-নি..." -কবিতাঃ হিং চার চিল
এই সব আমার কাছে নতুন, একটা আঁধার আর আলোর বায়স্কোপ । তার এই ধারার কবিতা স্বতন্ত্র, আলাদা ও পৃথকভাবে সব্যসাচীকে ভিড় থেকে বাইরে অবস্থান করে । একদিন কবির সঙ্গে আলাপকালে জিজ্ঞাসা করার সুযোগ হয়েছিলো যে এই কবিতাগুলো কি ধারার ? প্রেম, বিরহ, একাকীত্বের ? নাকি অনন্ত সত্য আর নান্দনিক কবিতা ? সব্য চোখে মুখে অপার বিস্ময় নিয়ে হো হো করে হেসে উঠেছিলো ।
আর একটা প্যারামিটার নিয়ে কাজ করেন সব্যসাচী, সেটা হল এবসার্ডিটি, এমন ভাবে ঐতিহাসিক আবহ এমন অনুপাতে মিশ্রিত করে বিকারে চড়ান তাতে কেমিক্যালের চিত্রকল্প ভেঙে বিক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে, তারপর সেইগুলিকে ছন্দে ধরে ফেলেন এই আধুনিক যুগের ছন্দ যাদুকর কবি সব্যসাচী হাজরা ।
"আমার প্রাইমারি ত্রিভুজ আকার দিনে
তিনটে পটাশ ফিঙে হয়ে গেলো,
ধরো আমি প্রিন্টেড টীতে
নিমন্ত্রণ করেছি
হেরোডোটাস আর তার বন্ধুকে..." -কবিতাঃ নিমন্ত্রণ করেছি হেরোডোটাস আর তার বন্ধুকে ।
কবিতা নিয়ে আমি বলার মতো তেমন কোন ব্যক্তিত্ব মনে করি না, আমি নিজের পাঠক স্বত্বা দিয়ে এইটুকুই বুঝি, পাঠকামি করি, সব্যসাচীর লেখা পাঠকামিকে এমন ভাবে ঝাঁকিয়ে দেয়, পাঠক হতে গিয়ে আমি নিজেই বুঝি আমার অক্ষমতা । আরও কিছু মাইল দৌড়িয়ে নিয়ে যায় তার কবিতা । তার কবিতা ঠিক দেগে দেওয়া যায় না, বা বলা যায় না এইটা এই কবিতা বা এই কবি এই এই কবি দ্বারা প্রভাবিত । এর রচনাভঙ্গি, কাঠামো, চলন, ভাষা, বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে যাওয়া আবার ফিরে আসা এক কঠিন অনুশীলন দাবী করে । সব্যসাচী সেটা করেন বুঝি, শিল্পী মনের কথা বিকশিত করা তার বাঁয়ে হাতের খেল, ডান হাতে উনি শুধু পিয়ানো বাজান ।
"ঢাক
ঢোল
দেহ
সিমেন লিং, হায়দ্রার ঐ দুঃস্থ অচিন
বুঝতে চাও ?
দোহাই ওদের
তা ধিনা ধিন্ ধা তিনা তিন
আয়তনের নানারূপ
বায়োডাটা ওদের ভূঅঙ্গে ছিল
পশুদের ধানে দু-ইঞ্চি ছিট
দাদা বৌদি
আহত পাঠশালা " - কবিতাঃ বঙ্গতাল ।
বারবার তবলা, হারমোনিয়াম চলে আসে তার কবিতায় । আসে বাংলা নদী-মাঠের কথা । বাংলার নিজস্ব ঘরানায় নতুন করে একটা তাল অনুভব হয় যার কথা আমরা কোন ছন্দে আজও ধরে পারি নাই । এই বইটি আজ পড়তে পড়তে আর এক সব্যসাচীকে দেখতে পাই, আর এক কবির মনের কথা ।
"এই ছুটি থেকে পর পর
হিসেবের ঝড়
আমার শরীর চারটে কোয়াডে
দেড়মাস টাঙিয়ে রেখেছি
হুখোলা শামুকের পাশে
নিরীহ হব
ত্রিপর্ণের মদে আলগা হব
যদি তোমাদের রু-এ বৃক্ক হতে পারি..." - কবিতাঃতিনটে ঈ ।
এই কবিতা সচরাচর পড়তে পাই না । বাংলা ভাষায় নানান আঙ্গিক, নানান গল্প, নানান ধারার নির্মাণ, বিনির্মাণ চোখে পড়ে, এই কবিতার চরিত্র, ভাষা, সাক্ষর, শব্দচয়ন জারা হাটকে । যদি তোমাদের রু-এ বৃক্ক হতে পারি এমন তথ্যকথা কি অনায়াসে শারীরিক বিজ্ঞানকে মিশিয়ে ফেলতে পারে । এইসব শব্দাবলী কোনদিন ভেবে উঠতে পারিনি ।
ওর কবিতা শুধু পড়ার নয়, দেখারও, শোনারও, অংক কষের মেলানোরও । এমন এমন চিত্র, ইতিহাস, বিজ্ঞান, ভূগোল চলে আসে, আর তা মিলিয়ে যায় পঙক্তিতে পঙক্তিতে, অবাক করার মতো । এই বইটি সংগ্রহ করেছিলাম কলকাতা কফি হাউসের সাক্ষাতে । সে আর এক কাহিনী । সব্যসাচীর কাছে তখন কপি শেষ । কোন এক ঘনিষ্ঠ কবিবন্ধুর কাছে এই কপিটি ছিল । তাকেও কফিহাউসের আড্ডাতে ডাকা হল । বলা যায় তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে আমাকে এই বইটি উপহার দেওয়া হল । আমি লজ্জা পাচ্ছিলাম, কিন্তু বন্ধুটিও তেমন কিছু বাঁধা দিলেন না দেখে আমি ভাবলাম 'ওকে' । পরেরদিন আমার দিল্লির ফ্লাইট, আমি তা মিস করতে চাইনি । পরে জেনেছি, ঐ বন্ধুটির নাম পার্থসারথি ভৌমিক। ও নিজেও ভাল একজন কবি এবং তার সঙ্গে পরিচয় হবার পর বললেন সব্যসাচীকে ছেড়ে কথা বলবেন না ।
আসলে এমন একটি বই সংগ্রহে রাখার মতো । ভিন্নতর স্বাদের জন্য । আগামীতে সব্যসাচী কবি হিসাবে কোথায় স্থান পাবে অথবা কত বড় কবি হবে সেই হিসাবে আমার কোন এস্টিমেট নেই, কিন্তু এইটুকু জানি, এই এতটা বয়সেও নিজের একটা সিগনেচার আবিষ্কার করে ফেলেছে ।
কাব্যগ্রন্থ: আনুপাহাড়ের জলছবি(বইটি সব্যসাচী হাজরার ২০১০-এর জানুয়ারিতে প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ (‘তৃতীয় ফ্লাওয়ার শো’) ও ২০১১ তে প্রকাশিত দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ(“ওভ্যানোর ওভেনে’) -এর নির্বাচিত কবিতার এবং ২০০৭-২০১০ পর্যন্ত আরও কিছু অপ্রকাশিত কবিতার একটি সংকলন।)
প্রকাশ:২০১৭
প্রকাশনী:সুতরাং
প্রকাশক: সঞ্জয় ঋষি
আনুপাহাড়ের জলছবিঃ সব্যসাচী হাজরা
পাঠ-প্রতিক্রিয়া: পীযূষকান্তি বিশ্বাস
পাঠকামী/পীযূষকান্তি বিশ্বাস
কবিতা পড়তে গিয়ে নানান অভিজ্ঞতা হল । কবিতা চিনতে গিয়ে হোঁচট খেলাম । কবিকুলকেও চিনতে চিনতে সময় লেগে যায়, কবির ভাষা, ছন্দ, ধ্বনি, চিন্তা, দর্শন, কাব্য ইতিহাস, আর নিজেকে আলাদা করে দেখতে চাওয়া । আর যদি তা এইসময়ের হয় । অর্কেষ্টার ধ্বনি আর ভিতরে একটা একটা নোটের ব্যক্তিত্ব ফুটে ফুটে আসে অথচ কেউ কাউকে নালিফাই করে না, পরিপূরকের চরিত্রে যখন এক একজন ধ্বনিযন্ত্র নিজের চরিত্রকে ধরে রাখে, এমন সঙ্গীতকে দুহাতেই শিখে নিতে হয় বাজনা বাজানো, তাকে হয়ে উঠতে হয় সব্যসাচী, হ্যাঁ- আজকে সব্যসাচী হাজরার কথা বলছি । তার কবিতার কথা । তার দেওয়া এই উপহার আনুপাহাড়ের জলছবি ।
বই - আনুপাহাড়ের জলছবিঃ সব্যসাচী হাজরা ।
সব্যসাচীর কবিতার সঙ্গে আমি আগে পরিচিত । কিন্তু যে কবিতা আমি তার চিনি, বলা যায় সেই চেনা অতি গভীর নয় । এই বইটি পাঠ করতে করতে তা আবিষ্কার করলাম, আমার এখনো চেনা অনেক বাকি । তার কবিতায় একটা সঙ্গীত আছে, নানান বাজনা বাজে, তবলাটা বেশী পরিষ্কার, পিয়ানো স্টোন আর সেই কথাই আজ বিষয় হিসাবে তার কবিতায় মুখ্য হয়ে আসে, ছন্দের এমন অপরূপ কাজ আমি আগে দেখি নাই ।
"অলিতে - গলিতে
ধা-নি-সা-গা
নি-সা
নি-সা
মা-ধা-নি..." -কবিতাঃ হিং চার চিল
এই সব আমার কাছে নতুন, একটা আঁধার আর আলোর বায়স্কোপ । তার এই ধারার কবিতা স্বতন্ত্র, আলাদা ও পৃথকভাবে সব্যসাচীকে ভিড় থেকে বাইরে অবস্থান করে । একদিন কবির সঙ্গে আলাপকালে জিজ্ঞাসা করার সুযোগ হয়েছিলো যে এই কবিতাগুলো কি ধারার ? প্রেম, বিরহ, একাকীত্বের ? নাকি অনন্ত সত্য আর নান্দনিক কবিতা ? সব্য চোখে মুখে অপার বিস্ময় নিয়ে হো হো করে হেসে উঠেছিলো ।
আর একটা প্যারামিটার নিয়ে কাজ করেন সব্যসাচী, সেটা হল এবসার্ডিটি, এমন ভাবে ঐতিহাসিক আবহ এমন অনুপাতে মিশ্রিত করে বিকারে চড়ান তাতে কেমিক্যালের চিত্রকল্প ভেঙে বিক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে, তারপর সেইগুলিকে ছন্দে ধরে ফেলেন এই আধুনিক যুগের ছন্দ যাদুকর কবি সব্যসাচী হাজরা ।
"আমার প্রাইমারি ত্রিভুজ আকার দিনে
তিনটে পটাশ ফিঙে হয়ে গেলো,
ধরো আমি প্রিন্টেড টীতে
নিমন্ত্রণ করেছি
হেরোডোটাস আর তার বন্ধুকে..." -কবিতাঃ নিমন্ত্রণ করেছি হেরোডোটাস আর তার বন্ধুকে ।
কবিতা নিয়ে আমি বলার মতো তেমন কোন ব্যক্তিত্ব মনে করি না, আমি নিজের পাঠক স্বত্বা দিয়ে এইটুকুই বুঝি, পাঠকামি করি, সব্যসাচীর লেখা পাঠকামিকে এমন ভাবে ঝাঁকিয়ে দেয়, পাঠক হতে গিয়ে আমি নিজেই বুঝি আমার অক্ষমতা । আরও কিছু মাইল দৌড়িয়ে নিয়ে যায় তার কবিতা । তার কবিতা ঠিক দেগে দেওয়া যায় না, বা বলা যায় না এইটা এই কবিতা বা এই কবি এই এই কবি দ্বারা প্রভাবিত । এর রচনাভঙ্গি, কাঠামো, চলন, ভাষা, বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে যাওয়া আবার ফিরে আসা এক কঠিন অনুশীলন দাবী করে । সব্যসাচী সেটা করেন বুঝি, শিল্পী মনের কথা বিকশিত করা তার বাঁয়ে হাতের খেল, ডান হাতে উনি শুধু পিয়ানো বাজান ।
"ঢাক
ঢোল
দেহ
সিমেন লিং, হায়দ্রার ঐ দুঃস্থ অচিন
বুঝতে চাও ?
দোহাই ওদের
তা ধিনা ধিন্ ধা তিনা তিন
আয়তনের নানারূপ
বায়োডাটা ওদের ভূঅঙ্গে ছিল
পশুদের ধানে দু-ইঞ্চি ছিট
দাদা বৌদি
আহত পাঠশালা " - কবিতাঃ বঙ্গতাল ।
বারবার তবলা, হারমোনিয়াম চলে আসে তার কবিতায় । আসে বাংলা নদী-মাঠের কথা । বাংলার নিজস্ব ঘরানায় নতুন করে একটা তাল অনুভব হয় যার কথা আমরা কোন ছন্দে আজও ধরে পারি নাই । এই বইটি আজ পড়তে পড়তে আর এক সব্যসাচীকে দেখতে পাই, আর এক কবির মনের কথা ।
"এই ছুটি থেকে পর পর
হিসেবের ঝড়
আমার শরীর চারটে কোয়াডে
দেড়মাস টাঙিয়ে রেখেছি
হুখোলা শামুকের পাশে
নিরীহ হব
ত্রিপর্ণের মদে আলগা হব
যদি তোমাদের রু-এ বৃক্ক হতে পারি..." - কবিতাঃতিনটে ঈ ।
এই কবিতা সচরাচর পড়তে পাই না । বাংলা ভাষায় নানান আঙ্গিক, নানান গল্প, নানান ধারার নির্মাণ, বিনির্মাণ চোখে পড়ে, এই কবিতার চরিত্র, ভাষা, সাক্ষর, শব্দচয়ন জারা হাটকে । যদি তোমাদের রু-এ বৃক্ক হতে পারি এমন তথ্যকথা কি অনায়াসে শারীরিক বিজ্ঞানকে মিশিয়ে ফেলতে পারে । এইসব শব্দাবলী কোনদিন ভেবে উঠতে পারিনি ।
ওর কবিতা শুধু পড়ার নয়, দেখারও, শোনারও, অংক কষের মেলানোরও । এমন এমন চিত্র, ইতিহাস, বিজ্ঞান, ভূগোল চলে আসে, আর তা মিলিয়ে যায় পঙক্তিতে পঙক্তিতে, অবাক করার মতো । এই বইটি সংগ্রহ করেছিলাম কলকাতা কফি হাউসের সাক্ষাতে । সে আর এক কাহিনী । সব্যসাচীর কাছে তখন কপি শেষ । কোন এক ঘনিষ্ঠ কবিবন্ধুর কাছে এই কপিটি ছিল । তাকেও কফিহাউসের আড্ডাতে ডাকা হল । বলা যায় তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে আমাকে এই বইটি উপহার দেওয়া হল । আমি লজ্জা পাচ্ছিলাম, কিন্তু বন্ধুটিও তেমন কিছু বাঁধা দিলেন না দেখে আমি ভাবলাম 'ওকে' । পরেরদিন আমার দিল্লির ফ্লাইট, আমি তা মিস করতে চাইনি । পরে জেনেছি, ঐ বন্ধুটির নাম পার্থসারথি ভৌমিক। ও নিজেও ভাল একজন কবি এবং তার সঙ্গে পরিচয় হবার পর বললেন সব্যসাচীকে ছেড়ে কথা বলবেন না ।
আসলে এমন একটি বই সংগ্রহে রাখার মতো । ভিন্নতর স্বাদের জন্য । আগামীতে সব্যসাচী কবি হিসাবে কোথায় স্থান পাবে অথবা কত বড় কবি হবে সেই হিসাবে আমার কোন এস্টিমেট নেই, কিন্তু এইটুকু জানি, এই এতটা বয়সেও নিজের একটা সিগনেচার আবিষ্কার করে ফেলেছে ।
খুব ভাল কাজ। পীযূষকে অভিনন্দন। তোমাকেও।
ReplyDeleteসব্যসাচীর এই 'আনুপাহাড়ের জলছবি'নিয়ে আলোচনা করার জন্যে কবি ও সম্পাদক , পীযূষকান্তি বিশ্বাসকে অভিনন্দন ! সব্যসাচী কবিতার পথে হাঁটে অসমসাহসী , দশদিক থেকে গ্রহণ ক'রে কবিতায় ফিরিয়ে দেয় ধ্বনিব্যাঞ্জনা । পাহাড়ের ছায়া জলতরঙ্গকে আশ্রয় করে । তার প্রতিক্রিয়া কলমে সঞ্চয় করতে সৎ , পরিশ্রমী , অনুসন্ধিৎসু , গবেষক পাঠকই করতে পারেন ।
ReplyDelete