Tuesday, January 30, 2018

বাংলাদেশের সুমী সিকান্দারের কবিতা 

বনিমনা/ সুমী সিকানদার

এক দঙ্গল তুষারের মাঝে
ক্যালিগ্রাফ রেখে যেতে যেতে মনে হলো

উদ্ধত জলপ্রপাতের তোড়ে
যখন পা ফস্কে যেতেও সামলে নেবে ,

তখন এই মাইগ্রেট করে উড়ে আসা ডানাকেই খুঁজবে
তাই রয়ে গেছি এফ এম এ।

জমাট জমে থাকা উচ্ছৃঙ্খল ইমেইলের ৫৪০ শব্দে
তোমাকে রেখে যেতে গিয়ে মনে হলো

আচমকা পাওয়ার অফ হয়ে ঘুটঘুটে আঁধার
আর মাইনাস মিলে, কিছুতেই আমাকে দেখতে দেবে না।

বরং অস্ফুট ভীত গলায় ছোট্ট ডাক 'আছো' ?
আমি জানি তো, আছি । সারাক্ষণ আছি।

দ্রুত পর্দা সরিয়ে না দেখা আঁধার অন্দরে ঢুকে
হিমাঙ্কে আলো হয়ে আছি বনিবনা করে
যতক্ষণ না মেকি আলোটা এসে ঢঙ শুরু করে।



লবঙ্গঘ্রান


গির্জা থেকে আসা ঢং ঢং আওয়াজটা আসলে আওয়াজ নয়
নাম ধরে ডাকার ইশারা । আমাকে কিম্বা তোমাকেই।

অন্যমনষ্ক শিশিরের বুক চিরে দেয় আমাদের নম্র পা , আঙ্গুল
অনেকটা ঘাস হেঁটে দেখে ফেলি রাংতা মোড়ক , লুকিয়ে লুকিয়ে।

পুরোনো গির্জাটকে খুঁজে না পেয়ে ফিরে গেলো দ্বাদশকাল
পাশ থেকে সরে গেছিলো লবঙ্গঘ্রাণ, তার গালের স্পর্শ ।

শিশিরের ঠোঁটে ভেজা সেই অহরহ নাম ধরে ডাকি

দুজনের বিলম্বিত রাতসহ দুরবিন জেগে থাকে , থাকেই।

আর জাগে বড়দিনের বিয়ার ঢালা কেকের ঘ্রাণ
কোন এক বড়দিনে হারিয়ে ফেলা চোখ ভেবে কাটছি ভ্যানিলা লেমন ।

ঘ্রাণ পাও ? এবার আলোয় ফুঁ দাও । দাও।

1 comment: