Wednesday, January 31, 2018





ঘোড়ার সাথে কয়েকটা দৃশ্যবার্তা : রাহুল 
--------------------------------------------------------------------
রাহুল : 

এই মুহূর্তে বয়ে চলেছি মোমের তাজমহল।জানি : হাঁ-মুখেই ঘটে যায় যাবতীয় বিশ্বস্ত সচ্ছ্বতা।বরফের পরে কি আছে জানি না।যদিও সিলেবাসের ১ম চ্যাপ্টারে অতিবেগুনী কালির আঁচড়।বাইনোকুলারে চোখ রাখলে : চিঁহি শব্দটা ক্রমশঃ দূরে সরে যায় ~


ঘোড়া :

মানছি : আপাতত তোমার হাতেও নাবিকের সওয়ারি।ডিয়ার রাহুল ~ তোমার : গোপন / অগোপন / প্রাপ্তবয়স্ক ঢেউ ~ সবটুকুই পাতাল জলসাঘরে পুঁতে রেখো।আয়নায় হাত মুছলে ~ সেই আসল রাজপুত্তুর



রাহুল :

তাহলে বলো ~ সবটুকু টেনে-হিঁচড়ে-ছিঁড়ে-ভেঙে ~ ১টাও ভুলভাল বানান্ নয়।আমরা সবাই কখনো না কখনো কোনো অলীক সমুদ্রের সাথে মিশে ~ শ্যাওলা হতে চাই।পর্দা তুলে দেখো ~ তুমিও রক্তমাংসের ১টা চাঁদ খুঁজে পাবে ~


ঘোড়া :

আজ তো অমাবস্যা তিথি।হ্যাঁ বলাই যায় চিকচিক করতে থাকা উল্টো পূর্ণিমার হাঁস।শুনতে পাচ্ছো রাস্তাটা কেমন বাঁশির তালে দুলছে।মুরগীর খাঁচাগুলো কাঁপছে।আমরা কিন্তু সময়কে জলীয় সামুদ্রিক বলতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি


রাহুল :

অভ্যাস ~ অদ্ভুত কোনো অনাড়ম্বর গুহা।মাথা ভিজেছে : তাই ডুবে গেছি।স্যাঁতসেঁতে চুলগুলো : উদোম পায়রার পালক।তোমার বিছানা ~ আমার দেশ।দুটোতেই নেশা।খুঁড়ে চলি খনির খেয়ালে আকরিক উপাখ্যান


ঘোড়া :

যে মুহূর্তে তুমি প্রত্নতাত্ত্বিক হলে ~ ব্যক্তিগত আবিষ্কার।এসো : ডুবে যাও ~ গোপন অক্ষরের সঙ্গমরত হ্রদ।এখন একটা ঈগল এসে খুঁজবে তোমার রাসায়নিক খনিজ মুদ্গর।ব্যর্থ চোখ ~ নোঙরের জমা-খরচ খেড়োখাতা।নিশ্চিত পরাজিত


রাহুল :

এভাবে কেনো বলছো।ঠোঁটের অংশবিশেষে কোনো আপাত জায়গীরদার নেই।বরফ খেয়ালে ফসল ফলাই।আসুক : যা খুশী মাই কা বাপ্।লক্ষ্যভেদী শব্দের পাঁচিল ~ ত্রিশুল ছুঁড়ে উড়িয়ে দিই দেওয়ালের নুনক্ষেত


ঘোড়া :

হা হা হা।বেশ বলেছো : যেনো মরাহাতির সাইরেন পরমাণু।তবু ভাবি আকাশ / পাহাড় / সবুজ - কমলালেবুর বাগান।আজ যা মরূদ্যান আছে : অগ্নুৎপাতে ঝুলন্ত মালভূমির ছাদ।এখানেই তামাম ভালোবাসা : যৌনতা যৌনের অযৌন উত্তরসূরি ~ আড়াআড়ি ব্যসের কোহল্



শব্দরূপ : রাহুল



No comments:

Post a Comment